রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৫

ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সানি লিওন!

 
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও সানি লিওন- সংগৃহিত
জনপ্রিয়তার হিসেবে বলিউডে সানি লিওনের অবস্থান পোক্ত হয়েছে এরই মধ্যে। যদিও সর্বক্ষেত্রে নিজের অতীত ইতিহাস এখনো ছাপিয়ে যেতে পারেননি সাবেক এই পর্ণস্টার। বিভিন্ন সময়ে শোনা যায়, বলিউডের সামনের সারির তারকারা রাজি হন না সানির সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করতে কিংবা বনেদী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না তার প্রতি। এবার সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে চলল বলে! শোনা যাচ্ছে, করণ জোহরের নতুন সিনেমায় ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মতো তারকার সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা মিলবে সানির!

অবশ্য এরই মধ্যে অক্ষয় কুমার অভিনীত ও প্রভুদেবা পরিচালিত 'সিং ইজ ব্লিং' সিনেমায় সানি লিওন কাজ করেছেন অতিথি চরিত্রে। অতিথি হিসেবেই করণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশনের নতুন সিনেমায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে নাকি এ বিষয়ক চুক্তিও সই হয়ে গেছে।
 
বলিউডের খ্যাতিমান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধর্ম প্রোডাকশনের কর্ণধার করণ। নিজের পরিচালিত ও প্রযোজিত সিনেমার কলাকুশলী বাছাইয়ে বরাবরই খুব খুঁতখুঁতে তিনি। সানি লিওনের মতো শিল্পীর প্রতি শুরুতে তেমন আগ্রহ তিনি দেখাননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুশলী করণও মেনে নিয়েছেন, বক্সঅফিসে সানি লিওনও প্রভাব ফেলতে পেরেছেন। তাই নিজের আগামী সিনেমায় একটি অতিথি চরিত্রের মাধ্যমে আলোচিত/সমালোচিত এই তারকাকে কাজে নিয়েছেন তিনি। ছবির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জানানো হয়নি বিস্তারিত কোনো তথ্য। তবে জানা গেছে, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, রণবীর কাপুর ও আনুশকা শর্মা অভিনয় করবেন নতুন এই সিনেমায়।
 
অতিথি চরিত্র তেমন বিরাট কোনো অর্জন নয় বটে, তবে বলিউডবোদ্ধারা বলছেন- এই সিনেমায় কাজের মাধ্যমে সানি লিওন ঠাঁই পাচ্ছেন বড় প্রতিষ্ঠানের ছায়াতলে। সুফলও পাবেন তাতে। যথারীতি এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য কারো জানা যায়নি।

যে খবরে ভারতীয় গণমাধ্যমে তোলপাড়

শিনা বোরা, ভারতে মুম্বাইভিত্তিক আইএনএক্স মিডিয়ার সাবেক নির্বাহী ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে। চলন্ত গাড়িতে ইন্দ্রানীই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে ছিলেন তার সাবেক স্বামী সঞ্জিব খান্না। হত্যার পর শিনার দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয় যাতে তারা 'নিরাপদ' থাকতে পারেন। শিনাকে সবসময় নিজের বোন বলে পরিচয় দিতেন ইন্দ্রানী। বন্ধু-বান্ধব খোঁজ করলে ইন্দ্রানী বলতেন, 'শিনা পড়াশোনার জন্য বিদেশ গেছে'।
প্রায় তিন বছর আগের ঘটনাটি নিয়ে এখন ভারতীয় গণমাধ্যমে তোলপাড়। আর ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় এখন ভারতের মিডিয়া প্রতিষ্ঠান স্টার ইন্ডিয়ার সাবেক সিইও পিটার মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী। কাগজে-কলমে এখন পর্যন্ত ইন্দ্রানীর তিনটি বিয়ের খবর পাওয়া গেছে।
 
সম্প্রতি ওই খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেন ইন্দ্রানীর সেই সময়কার গাড়িচালক শ্যাম রাই। শিনা খুন হওয়ার পর যে গ্রামে তার দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয় সেই স্থানটি চিহ্নিত করেন শ্যাম রাই। গত ২১ আগস্ট অস্ত্র আইনে শ্যাম গ্রেফতার হওয়ার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইন্দ্রানীকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিনা হত্যায় জাড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন ইন্দ্রানী। আরো জানান, শিনা তার মেয়ে, বোন নন।  
 
এরপরও শিনা হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ জানা যাচ্ছে না; প্রতিদিন বেড়িয়ে আসছে নতুন তথ্য। এরকম তথ্যের সর্বশেষটি হলো, শিনার সঙ্গে তার মায়ের বর্তমান স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ের আগের স্ত্রীর ছেলে রাহুলের প্রেম ছিল। সামাজিক সম্পর্কের হিসেবে তারা সৎ ভাই-বোন। বিষয়টি ইন্দ্রানীর পছন্দ না হওয়ায় মেয়েকে হত্যা করেন তিনি।
 
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে 'হত্যার সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শিনা। আর সেকথা মা ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন তিনি।
 
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল শিনাকে হত্যা করা হয়। ইন্দ্রানীর গাড়িচালক শ্যাম রাই যে স্থানটি চিহ্নিত করেছিলেন সেখান থেকেই শিনা হত্যার মাস খানেক পর তার দেহাবশেষ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হলেও তা বেশি দূর এগোয়নি। এখন পর্যন্ত শিনা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসা না গেলেও সৎ ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ককেই মূল কারণ মনে করছেন অনেকে। তবে মুম্বাই পুলিশের মতে, শিনা হত্যার কারণ অন্য।
 
২০০২ সালে পিটার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাকে বিয়ে করেন ইন্দ্রানী। কয়েক বছর পর স্টার ছেড়ে সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থার অংশিদারিত্বে তৈরি করেন আইএনএক্স মিডিয়া গ্রুপ। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুই বছরের মধ্যেই আইএনএক্স ছাড়তে হয় তাদের। আত্মসাতের সেই অর্থের একটি বড় অংশ শিনার নামে জমা ছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ। সম্ভবত শিনার নামে জমা করা সেই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় শিনাকে হত্যা করা হয় বলে মনে করছে তারা।

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিদ্যুৎস্পর্শে মা-মেয়ের মৃত্যু

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিদ্যুৎ স্পর্শে মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-ঈশ্বরদী পৌর শহরের ফতে মোহাম্মদপুর টাঙ্কির মোড় এলাকার আইনুল হকের স্ত্রী নাজু খাতুন (৫০) ও তার মেয়ে তারানা খাতুন (২০)। এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির আঙ্গিনায় তারের উপর কাপড় শুকাতে দেওয়ার সময় অসাবধানতাবশতঃ বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যায় মা নাজু খাতুন ও মেয়ে তারানা। সে সময় অনেকক্ষণ বিদ্যুতায়িত হয়েছিলেন তারা। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ বিদ্যুৎস্পর্শে মা-মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এবার বৃদ্ধাকে পালাক্রমে ধর্ষণ

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় আমানীপুর গ্রামের এক বৃদ্ধাকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত ২ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আর এঘটনায় একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী।
পুলিশ জানায়, উপজেলার টিলাগাও ইউনিয়নের সালামতপুর গ্রামের শাহাব উদ্দিনের বখাটে ছেলে শাহিন উদ্দিন (৩০) শুক্রবার রাত ২টার দিকে একই ইউনিয়নের আমানীপুর গ্রামের জনৈক বৃদ্ধার (৫০) ঘরে কৌশলে প্রবেশ করে জোরপূর্বক রাত ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
বৃদ্ধার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে ধর্ষককে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষককে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। পাশাপাশি ভিকটিমকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই সুভাষ জানান, ধর্ষককে আটক করা হয়েছে এবং ভিকটিমের মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে।

পাবনায় কিশোরীকে অপহরণকালে ৪ অপহরনকারী আটক

পাবনার ঈশ্বরদীতে সেলিম রেজা (১৬) নামের এক কিশোরীকে অপহরণকালে পুলিশ ৪ অপহরনকারীকে আটক করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার হার্ডিঞ্জ ব্রীজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার জানান, জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের আকমল হোসেনের ছেলে সেলিম রেজার সাথে সাঁথিয়া উপজেলার আরিফা খাতুন (২৬) নামের এক মহিলার কিছুদিন ধরে মোবাইল ফোনে প্রেমের সর্ম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার বিকেলে আরিফা সেলিম রেজাকে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ এলাকায় দেখা করতে বললে সেলিম সেখানে যায়। এসময় একটি মাইক্রোবাসের ৪ আরোহী সেলিম রেজাকে অপহরনের চেষ্টা চালায়। এ সময় সেলিম রেজা চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে অপহরনকারী দলের সদস্য মাহফুজ শেখ, কামরুল ইসলাম ও রুবেলকে আটক করে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় সেলিম রেজার মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মাদারীপুরে শ্রেণিকক্ষে আটকে চুমো দেয়ার অপমানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

মাদারীপুর : শ্রেণিকক্ষে আটকে চুমো দেয়ায় এবং বখাটের উৎপাতে মাদারীপুরে এবার প্রাণ গেল এক স্কুল ছাত্রীর।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা মুক্তিসেনা হাই স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী আজমেরি আক্তার কিরণকে (১৪) একই শ্রেণির সম্রাট নামে এক ছাত্র তাকে উত্যক্ত করত বলে ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ।
স্কুলের নিচতলা থেকে হাত ধরে টেনে নিয়ে দোতলার একটি কক্ষে আটকে চুমো দেয়ার ঘটনায় আগামী রোববার বিচারের কথা নির্ধারিত হলেও এর আগেই বুধবার সন্ধ্যায় বসতঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।
খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। তবে আর্থিকভাবে দরিদ্র হওয়ায় এবং বিচার পাবেন না এই ধারণায় মামলা করেন নি ওই স্কুলছাত্রীর বাবা-মা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি সাধারণ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে আজমেরির আত্মহত্যার পর থেকেই সম্রাট ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে।
গত ১৯ আগষ্ট সম্রাট ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের একটি খালি শ্রেণিকক্ষে জোর করে নিয়ে যায়। ২২ আগষ্ট ওই ছাত্রী এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। ২৬ আগষ্ট বুধবার সে মারা যায়।
পাঁচখোলা মুক্তিসেনা হাই স্কুল ও কলেজ এবং নিহত আজমেরির পরিবারিক সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের সিরাজ মাতুব্বরের মেয়ে আজমেরি আক্তার কিরন পাঁচখোলা মুক্তিসেনা হাই স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। একই এলাকার লতিফ সরদারের পুত্র সম্রাট একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সম্রাট দুই মাস ধরে আজমেরিকে উত্যক্ত করত। গত ১৯ আগষ্ট বিদ্যালয়ের টিফিনের সময় সম্রাট আজমেরিকে জোর করে একটি খালি কক্ষে নিয়ে যায়। ওই দিনই সে বিষয়টি শ্রেণী শিক্ষক সালমা বেগমকে জানায়। সালমা বেগমের পরামর্শে আজমেরি ২২ আগষ্ট বিষয়টি লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষককে জানায়। প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য ওই দিনই চার সদস্যের একটি কমিটি করেন। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শহীদুল আলম, দুলাল মুখার্জী, কামাল হোসেন মৃধা ও সালমা বেগমকে তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তারা ২৫ আগষ্ট প্রধান শিক্ষকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
আজমেরির মা ঝর্ণা বেগম বলেন, ১৯ তারিখের বিষয়টি প্রথম সে আমাদের বলেনি। ঘরের মধ্যে সব সময় মন খারাপ করে বসে থাকত। তার কি হয়েছে আমি জানতে চাই, তখন সে আমাকে সব জানায়। মেয়েকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। এরপরে সে মঙ্গলবার স্কুলে থেকে ফিরে এসে কান্না করতে থাকে। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। বুধবার সে আর স্কুলে যায়নি। আমরা কৃষিকাজে বাড়ির বাইরে গেলে সে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাস দেয়। সম্রাটের অপমান সইতে না পেরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাৎক্ষনিকভাবে স¤্রাটের বিচার করা হলে আমার মেয়ে এ পথ বেছে নিত না।
নিহত আজমেরির বাবা সিরাজ মাতুব্বর বলেন, আমার মেয়েটি লাজুক চাপা স্বভাবের, সহজে কাউকে কিছু বলত না। স¤্রাট খারাপ কিছু করেছে না হলে সে আত্মহত্যা করবে কেন? আমরা গরীব মানুষ। যে কারণেই হোক ওর মৃত্যুর বিচার পাব কিভাবে। মামলা চালানোর মত অবস্থা আমাদের নেই। তাই কোন মামলা করিনি। প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলেছেন। আমিও তাই তাদের কাছে বিচারের কথা বলেছি।
পাঁচখোলা ইউপি চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন টুকু মোল্লা বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ওই মেয়েটির বাড়িতে যাই। তার পরিবারের কারও উপর কোন অভিযোগ নেই। তারাই বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলেছে। এ বিষয়ে মীমাংসার কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি।
পাঁচখোলা মুক্তিসেনা হাই স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাশার মিয়া বলেন, মেয়েটির অভিযোগ পেয়ে সম্রাটকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম সে অভিযোগ অস্বীকার করে। তখন ঘটনাটি জানার জন্য তদন্ত কমিটি করে দেই। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার আগেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। এখন পরিবার চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে, পরিবার থেকে এমন তথ্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা কোন অভিযোগ করেনি। মেয়েটির মা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি, তার মৃত্যুর জন্যকেউ দায়ী হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৩ আগষ্ট মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার ও হ্যাপী আক্তার বখাটেদের অত্যাচারে মারা যায়।

সবুজবাগে কাবিন নামা দেখার নামে গৃহবধূকে গণধর্ষণ!


রাজধানীর সবুজবাগে কাবিন নামা দেখার নামে গৃহবধূকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
গৃহবধূর অভিযোগ, গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে সবুজবাগ এলাকার ‘চিহ্নিত বখাটে’ মনির, কবির, খোকন, লিটন, মেহেদিসহ ১০ জন তাঁর বাসায় আসেন। এসময় তিনি ও তাঁর স্বামী বাসায় ছিলেন। তারা বাসার অন্যদের কাছে আমাদের সম্পর্কে জানতে চান, আমরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী কি না? এরপর আমরা বাসায় আসার পর তার আমাদের সম্পর্ক জানতে চান। পরে আমরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেওয়ার পর তাঁরা কাবিননামা দেখাতে বলে। কিন্তু এসময় বাসায় আমাদের কাবিননামা না থাকায় তাঁরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
এসময় তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় প্রথমে তাঁর স্বামীকে মারধর করে। এরপর তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করেন তাঁরা। বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে তিনি থানায় গিয়ে মামলা করেন।
সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুন্সি লোকমান বলেন, গতকাল রাতে ওই নারী থানার এসে মামলা করেন। এরপর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-১ এর পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষা শেষে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভতি করা হবে।

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

beautyfull song of bd

world loget kiss

সৎপুত্রের সঙ্গে প্রেম- মেয়েকে খুন করলেন চ্যানেলের মালিক


ইন্দ্রানী মুকের্জিয়া। ২০০২ সালের দিকে ভারতের বিখ্যাত টিভি নেটওয়ার্ক স্টার ইন্ডিয়ায় মানবসমপদ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। সে সময়ই স্টার ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী পিটার মুকের্জিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক হয় তার। পরে বিয়ে করেন তারা। ইন্দ্রানী ছিলেন পিটারের দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু পিটার ছিলেন ইন্দ্রানীর তৃতীয় স্বামী। স্টার ইন্ডিয়া ত্যাগ করার পর স্বামীর সঙ্গে মিলে আরেকটি মিডিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করেন ইন্দ্রানী। সে মিডিয়া নেটওয়ার্কেরই অধীনে রয়েছে জনপ্রিয় বলিউড গানের চ্যানেল-নাইন এক্স 
। গত পরশু তাকে নিজ মেয়েকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ! এ ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ভারতে।
চমকে উঠার মতো তথ্য হলো, ইন্দ্রানীকে তার মেয়ে শীনা বোরাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হলেও এতদিন ধরে সবাই জানতেন শীনা বোরা ছিল তার ‘বোন’! চার বছর আগে প্রথম গুজব বের হয়, শীনা বোরা তার আগের ঘরের মেয়ে। কিন্তু তখনও হালে পানি পায়নি সেসব গুজব। ২০১২ সাল থেকে শীনাকে কেউ দেখেনি। তখনই তাকে খুন করা হয়। কিন্তু পরশু পর্যন্ত দুনিয়া জানতো শীনা যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করছেন। কিন্তু সবকিছুই পাল্টে গেল একটি মাত্র ঘটনায়। ইন্দ্রানীর গাড়িচালক শ্যাম রায়কে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকদিন আগে একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে এমন তথ্য, যা তদন্তকারীদেরও স্তব্ধ করে দেয়। শ্যাম রায় পুলিশকে জানায়, শীনা বোরা ইন্দ্রানীর বোন নয়, মেয়ে। তাকে চার বছর আগে ইন্দ্রানী নিজে শ্যামসহ কয়েকজন সহযোগীকে দিয়ে খুন করে। মৃত্যুর সময় শীনার বয়স ছিল ২৪ বছর। নিজের নানা-নানীর কাছে তিনি বড় হন। কিন্তু দুনিয়ার সবাই তখনও জানতো, এ নানা-নানী ছিল তার পিতা-মাতা! মেয়ে শীনাকে শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হননি ইন্দ্রানী। বরং লাশ পুড়িয়ে পুঁতে ফেলেন মুম্বই শহর থেকে ৮৪ কিলোমিটার দূরে রাইগাডের গভীর জঙ্গলের এক খামারবাড়ির ভেতরে। শ্যাম রায় পুলিশকে ওই স্থানে নিয়েও যান। প্রথমে এ তথ্য বিশ্বাস করেনি পুলিশ। তবে রাইগাড পুলিশকে তথ্যটি যাচাই করতে বলে মুম্বই পুলিশ। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শ্যামা রায়ের তথ্যের ভিত্তিতে ওই স্থানে পাওয়া যায় একটি দেহাবশেষ! এ তথ্যে চমকে উঠে মুম্বই পুলিশ। ওই দেহাবশেষ এখন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মুম্বইয়ে নেয়া হয়েছে। এ খবর পেয়ে খোদ মুম্বই পুলিশ প্রধান রাকেশ মারিয়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করেন ইন্দ্রানীকে। ইন্দ্রানী অনেকক্ষণ অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে খুনের কথা স্বীকার করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর কলকাতা থেকে ইন্দ্রানীর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খান্নাকেও আটক করে পুলিশ।
তবে শীনাকে হত্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কিছু জানানো হয়নি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণেই খুন হয় শীনা। ইন্দ্রানীর বর্তমান স্বামী পিটার মুকের্জিয়ার আগের ঘরের ছেলে রাহুলের সঙ্গে প্রেম করতো শীনা। এ বিষয়টি কিছুতেই মানতে পারেননি তিনি। এটিও শীনাকে হত্যার অন্যতম কারণ হতে পারে। স্ত্রী ইন্দ্রানীর গ্রেপ্তার ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে স্তব্ধ হয়ে গেছেন পিটার মুকের্জিয়া। তার মনে হচ্ছে, ১৫ বছরের সংসার জীবনে তাকে পুরোটা সময় অন্ধকারে রাখা হয়েছে। তিনিও জানান, তার ছেলে রাহুলের সঙ্গে শীনার সম্পর্ক নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল ইন্দ্রানীর। কেননা, সম্পর্কে শীনা ও রাহুল সৎভাই-বোন। তাদের মধ্যে প্রচলিত বিধানে সম্পর্ক হতে পারে না। কিন্তু তারা যে সৎভাই-বোন, এটা কেবল জানতেন ইন্দ্রানী। আবার পিটারেরও আপত্তি ছিল। কেননা, তিনি জানতেন শীনা তার শ্যালিকা। সে হিসেবেও নিজের ছেলের সঙ্গে শ্যালিকার সম্পর্ক মানতে পারেননি তিনি। তবে নিজের আপত্তির কারণ সম্পর্কে এ বিষয়টিকে সামনে আনেননি পিটার। তিনি বলেন, শীনা রাহুলের সঙ্গে থাকছিল, যার কিনা কোন আয়ই নেই। এ সমপর্ক নিয়ে ভীষণ অসন্তুষ্ট ছিল ইন্দ্রানী। শীনার পিতা-মাতার (প্রকৃতপক্ষে ইন্দ্রানীর পিতা-মাতা) পক্ষ থেকেও প্রচুর চাপ ছিল। কিন্তু গত পরশুই পিটার জানতে পারেন, শীনা আসলে ইন্দ্রানীর বোন ছিল না। ছিল ইন্দ্রানীর মেয়ে। পিটার বলেন, আমি কখনোই গুজব সিরিয়াসলি নিইনি। চার বছর আগে প্রথম যখন এ গুজব শুনেছি, সঙ্গে সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন এ তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেই আসছে। এটি আরও বেশি ভয়াবহ বিষয়। আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, আমি চার বছর আগে যা শুনেছি, তা সত্যি হতে পারে। পিটার বলেন, ২০১২ সালে শীনা নিখোঁজ হয়। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখার জন্য গিয়েছে সে। আমি তখন কিছুটা আশ্বস্ত হই। আমার ছেলে রাহুলকে বলি সে যাতে শীনাকে ভুলে যায় ও সামনের দিকে অগ্রসর হয়। গত পরশুর আগেও আমি জানতাম, শীনা তার পিতামাতার পরিচয় সম্পর্কে জানতো। কিন্তু আমি এখন জানলাম, ইন্দ্রানীই ছিল শীনার মা! আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি!
শীনার নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তিনি কোন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেননি ইন্দ্রানী। বরং, শীনা যুক্তরাষ্ট্রে ভাল আছে বলে দাবি করে আসছিলেন তিনি। ওদিকে গুয়াহাটিতে থাকা শীনার ভাই মিখায়েল, যাকে ইন্দ্রানী নিজের ভাই বলে দাবি করতেন, তিনি বলেন, আমি শীনাকে বহুবার ফোন দিয়েছি। কিন্তু শীনা কখনোই ফোন ধরতো না। ইন্দ্রানী আমাকে বলতো, শীনা যুক্তরাষ্ট্রে আছে। ও ভালই আছে। প্রায় দেড় বছর ধরে এমন হয়েছে। কিন্তু আমি খোঁজ নিয়ে দেখি সে আসলে যুক্তরাষ্ট্রে নেই। এরপর আমি তাকে শীনাকে নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করে দিই। মিখায়েল বলেন, আমাকে ও আমার বোন শীনাকে কখনোই ইন্দ্রানী নিজের সন্তান বলে স্বীকৃতি বা পরিচয় দেননি। কিন্তু মিখায়েল নিশ্চিত করে জানান, তিনি ও শীনা ইন্দ্রানীর সন্তান ছিলেন। যদিও ইন্দ্রানীকে বোন বলে পরিচয় দিতে হতো তাদের। মিখায়েল বলেন- হ্যাঁ, শীনা ও ইন্দ্রানীর মধ্যে প্রচুর ঝগড়া হতো। কিন্তু কী নিয়ে ঝগড়া হতো, তা জানাতে রাজি হননি মিখায়েল। তবে তিনি জানান, আমি শুনেছি ইন্দ্রানী সব স্বীকার করেছেন। আমি চাই সে নিজেই যাতে সবকিছু খুলে বলে পুলিশের কাছে। কিন্তু সে যদি অস্বীকার করে, তবে আমি সব প্রমাণ গণমাধ্যমকে দেবো। আমার কাছে সব ছবি ও প্রমাণ আছে। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য সম্পদ বা অর্থ নয় বলেই তার দাবি। তিনি বলেন, আমি শুধু বিচার চাই। শীনা নির্দোষ এক মেয়ে। সে এভাবে খুন হতে পারে না। আমার বিশ্বাস, আমি বিচার পাবো। তবে কেন ইন্দ্রানীকে এতদিন নিজের বোন বলে পরিচয় দিতেন তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মিখাইল। তার দাবি, আর্থিকভাবে ইন্দ্রানীর ওপর নির্ভর করতে হতো তাদের। বিশেষ করে নানা-নানীর অসুখের খরচও চালাতে হতো। সত্যি কথা প্রকাশ করলে এসব বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিতো ইন্দ্রানী।

মা’কে জখম করায় বাবাকে হত্যা করে ছেলের আত্মহত্যা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বাবাকে হত্যার পর ছেলে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার বিকালে উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, নাপিতখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল জলিল (৬০) ও তার ছেলে স্থানীয় মিরুখালী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো, জহির (১৭)।
পুলিশ জানায়, বিকাল চারটার দিকে নাপিতখালী গ্রামের বাড়িতে আব্দুল জলিল স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেন। এসময় ছেলে জহির মাকে কুপিয়ে আহত করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে জলিলকে কুপিয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে এক কিলেমিটার দূরে মিরুখালী গ্রামের নূরু ডাক্তার বাড়ির একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে জহির আত্মহত্যা করে।
তবে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, জলিলের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের জের ধরে এ হত্যাকা- ঘটেছে। মঠবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিবুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তাগাছায় ব্যাংক ম্যানেজার পুত্রের হাতে পিতা হত্যা

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ঘোষবাড়ি গ্রামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অশিতীপর বৃদ্ধ পিতাকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকালে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল তৎপর রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংক ফুলপুর শাখার ম্যানেজার হযরত আলী দুদু সুকৌশলে অন্য ভাই বোনদের ঠকিয়ে পিতার সকল সম্পত্তি নিজ নামে লিখিয়ে নিয়ে অন্য ভাইদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে বৃদ্ধ পিতা জিন্নত আলী সরকার(৮২) কথা উঠালে প্রায়ই তাকে সন্তান হযরত আলী দুদু ও নাতনি বিউটি আক্তারের হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে এবং নাতনি মিলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন শেষে গলা টিপে হত্যা করে। গতকাল সকালে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাজের মহিলাকে তারা কৌশলে অন্যত্র সরিয়ে রাখে। নিহতের অপর ছেলে আবুল কালাম জানান, তার বড় ভাই ও ভাতিজি মিলে তাদের পিতাকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন বড় ভাই দুদু তাদেরকে ঠকিয়ে বাবার সম্পত্তি লিখিয়ে নেবার পর থেকে তাদেরকে আর বাড়িতে উঠতে দেয় না এবং বৃদ্ধ পিতাকে নিজের পাকা ঘরে না রেখে টিনের খুপরি ঘরে ফেলে রাখতো ও প্রায়ই নির্যাতন করতো। মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মো. ফজলুল করিম লাশ উদ্ধার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান লাশের গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যা কি না নিশ্চিত হওয়া যাবে।

হিজড়া বানানোর ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট


ছেলেটির নাম ছিল জাহাঙ্গীর হোসেন। বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার দোনাইল গ্রামে। দেখতে সুন্দর। হঠাৎ একদিন নিখোঁজ হয়ে যায় জাহাঙ্গীর। পরিবারের সবাই দিশাহারা হয়ে পড়ে ছেলের খোঁজে। সব আত্মীয়স্বজনের বাসায় খোঁজা হলো। কিন্তু কোথাও খোঁজ মিললো না তার। এক মাস পর হঠাৎ বাড়ি ফিরে কান্না জুড়ে দিল জাহাঙ্গীর। তার কান্না থামতেই চায় না। অনেক বুঝানোর পর  সে জানায়, হিজড়াদের একটি চক্র তাকে ফুসলিয়ে খুলনার ফুলতলায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি ক্লিনিকে নিয়ে জোর করে তার পুরুষাঙ্গ কেটে তাকে বানানো হয়েছে হিজড়া। তারা তার নাম রেখেছে রত্মা। সেদিনের জাহাঙ্গীর আর আজকের রত্মা মানবজমিন-এর কাছে বর্ণনা করেছেন তার জীবনের হৃদয় বিদারক অভিজ্ঞতা।
জাহাঙ্গীর হোসেন একা নন। হিজড়া বানানোর ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে এমন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অনেকের জীবন। রাজধানী এবং এর আশপাশে বিভিন্ন ক্লিনিকে পুরুষের যৌনাঙ্গ কেটে বানানো হচ্ছে হিজড়া। এর মাধ্যমে হিজড়া সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরকারি চাকরির প্রলোভন আর হিজড়া সরদারদের আয় বাড়ানোর প্রচেষ্টা- এ দুইয়ের মারপ্যাচে দেশে বাড়ছে হিজড়াদের সংখ্যা। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে হিজড়া সরদারদের বা গুরুদের বিলাসী জীবনের চাঞ্চল্যকর তথ্য। হিজড়া সরদারদের কারও কারও মাসিক আয় দেড় থেকে তিন লাখ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দালালের মাধ্যমে পুরুষদের ক্লিনিকে আনা হয়। অনেক সময় তাদের চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়। হিজড়া সরদাররা তাদের নিয়ে যায় ক্লিনিকে। অপারেশনের মাধ্যমে তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে নারী যৌনাঙ্গে রূপান্তরিত করে দেয়া হয়। পুরুষ থেকে হিজড়ায় রূপান্তরিত একাধিক হিজড়া জানিয়েছেন, এতে খরচ বাবদ ক্লিনিক প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার ও দালালরা ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। ধামরাই, উত্তরা, খুলনার ফুলতলায় এই ধরনের ক্লিনিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। সরজমিনে দেখা যায়, ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডে থেকে ৫০ গজ দূরে মানিকগঞ্জ-ঢাকা প্রধান সড়কের পাশেই রোম আমেরিকান হাসপাতাল। এ হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরেই হিজড়া বানানোর কাজ চলে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে থানা রোডে এ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেন ডা. গোলাম রহমান শাহজাহান। মূলত লিঙ্গ কেটে হিজড়া তৈরিই ওই হাসপাতালের মূল কাজ বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে রোম আমেরিকান হাসপাতালের কর্ণধার ডা. গোলাম রহমান শাহজাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, অনেক আগে এই কাজ করেছি। এখন করছি না। আমি তো জোর করে কারও পুংলিঙ্গ কাটিনি। ছেলেরা ইচ্ছাকৃতভাবেই এসে পুরুষাঙ্গ কাটাতো বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিমাসে ৩-৪ জনকে অপারেশন করাতেন তিনি।
ওদিকে, হিজড়া নামের আড়ালে লিঙ্গ কর্তন করা হাজার হাজার পুরুষ ঢাকাসহ সারা দেশে চাঁদাবাজি, রাস্তায় মানুষকে ব্ল্যাক মেইল, মাদক ব্যবসা, খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন পার্কে রাতের আঁধারে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু হিজড়াদের সঙ্গে অপরাধীদেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচটের রশিদ মার্কেট এলাকায় এ ধরনের একটি চক্র জনতার হাতে ধরা পড়ে। হিজড়া সেজে চাঁদাবাজিকালে স্থানীয়রা তিন পুরুষকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এসময় তারা স্বীকার করে তারা পুরুষ। পরে নয়নতারা নামে হিজড়া সরদারের হস্তক্ষেপে তাদের পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় এলাকাবাসী। ওই দিন আটক ভুয়া হিজড়ারা ছিলেন- আতিকুর রহমান (৩০) ওরফে সাজেদা, মমিন উদ্দিন (২৬) ওরফে মাহি এবং মো. অন্তর (২১) ওরফে অন্তরা।
ভুয়া হিজড়াদের একজন বলেছেন, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থেকে কাজের সন্ধানে তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার কাঁচাবাজারের আড়তে আসেন। এরপর থেকেই নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হিজড়া সরদার নয়নতারা তাকে এই পেশায় আসতে বাধ্য করেন। স্থানীয় এক হিজড়া জানান, গাজীরচটের বটতলা এলাকার হিজড়াদের সরদার আবদুল ওরফে রাশেদা ও নয়নতারা অনেক দিন আগে নিজেরাই পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে এই পেশায় ঢুকেছেন। রাশেদার দলে শতাধিক হিজড়া আর নয়নতারার দলে সাত জন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাদের ‘ছল্লাই’ বা ‘বাধাই’ তোলার (চাঁদা) টাকায় রাশেদা ও নয়নতারা ইতিমধ্যে নিজ এলাকায় ফ্ল্যাট বাড়ির মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে নয়নতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কেইস স্টাডি-১: ধামরাই পৌরসভার তালতলায় থাকেন নোলক হিজড়া। আট নম্বর ওয়ার্ডের ১০৩ হোল্ডিংয়ে তার বাসার অবস্থান। বাসার ওয়ালে বড় অক্ষরে লিখা হিজড়া বাড়ি। সুন্দর পরিপাটি বাড়িটি তার নিজেরই। বাবা-মার দেয়া তার নাম ছিল রাফি। রাফি থেকে নোলক। যাত্রাবাড়ীতে তাদের বাড়ি। সম্প্রতি তার বাসায় গেলে নোলক হিজড়া জানান, তার জীবনের কাহিনী। বলেন, ঢাকার বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছোটবেলায় পড়ালেখা করেছেন তিনি। তার দুই ভাই রয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের পদে বাবা চাকরি করেন। ১০ বছর বয়সে বুঝতে পারি আমি হিজড়া। এরপর বাড়ি থেকে চলে আসি। ১৫ থেকে ১৬ বছর আগে ধামরাই আসেন তিনি। একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখন। সাতক্ষীরা, বগুড়া, দিনাজপুর ও মানিকগঞ্জের জেলার হিজড়া রয়েছে তার সঙ্গে। এই মুহূর্তে তার নেতৃত্বে দলটিতে ৩০ জন হিজড়া রয়েছে। প্রত্যেকই ‘মেয়ে’ হিজড়া বলে নোলক দাবি করেন। নোলক জানান, তিনি ভারতের দিল্লি ওলম্যাক প্লাস্টিক সার্জারি থেকে নিজের স্তনকে স্লিকন সার্জারি এবং যৌনাঙ্গকে থাই সার্জারি করেছেন। এতে বাংলাদেশী টাকায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার উপরে খরচ হয়েছে। মাঝে মধ্যে ভারতে যান তিনি। গত তিন-চার মাস আগেও চার মেয়েকে একই কায়দায় সার্জারি করে হিজড়া বানিয়ে এনেছেন নোলক। তারা হলেন- মোমেন, রিনা, বিশাখা ও বিপাশা।
তিনি জানান, যারা পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া হয় তারা রাতে ছিনতাই করে। মানুষকে ব্ল্যাক মেইল করে টাকা আয় করে। আর পৃথিবীতে যারা হিড়জা হয়ে এসেছেন তারা এসব করতে পারে না। ধামরাইয়ের রোম আমেরিকান হাসপাতালে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানো হয়। গত ৫-৬ মাস আগেও ভুয়া হিজড়াদের লিঙ্গ কেটে হিজড়া বানানোর খবর পেয়ে তারা হাসপাতালটিতে গিয়ে ভুয়াদের ধরে মারধর দিয়ে পুলিশকে দিয়েছেন। তার দলের একজন ছোট (নতুন) হিজড়া দৈনিক কমপক্ষে ৫০০ টাকা এবং মোটামুটি সিনিয়র পর্যায়ের  হিজড়া ২০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। সরকার আপনাদের পুলিশে নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবছে। এমন বক্তব্যের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের চাকরি দেয়ার সিদ্ধান্তে তারা রাজি নন। কারণ রাস্তায় দাঁড় করিয়ে কত টাকা বেতন দেবে সরকার। আড়াই লাখ দেবে? আমরা খেয়ে পরে অনেক ভাল আছি। সিনিয়র পর্যায়ে যারা রয়েছেন তাদের ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানান নোলক। অনেকের বাড়ি ও প্লট রয়েছে। যারা চাকরির কথা বলছেন তারা সামাজিকতা ঠিক রাখার জন্য বলেন। আসলে তারা মনে-প্রাণে চান না বলে তিনি মন্তব্য করেন। নোলক জানান, বাইর থেকে তাদের নামে ফান্ড আসলেও তাতে তেমন লাভ হয় না। বছরে ৪০ লাখ থেকে ৩ কোটি টাকার ফান্ডও আমেরিকা থেকে আসে। ‘সুস্থ জীবন’ ও ‘বন্ধু  সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ নামের সংগঠনের নামে এসব টাকা আসে বলে তিনি  উল্লেখ করেন। বাড়ি যান কিনা জানতে চাইলে তিনি নেতিবাচক উত্তর দেন। আশপাশের কেউ বিপদে পড়লে টাকাপয়সা দিয়ে তার দল ও নিজে সাহায্য করেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কোন গরিব মেয়ে বিয়ে দিতে পারছে না, আমাদের কাছে আসলে সহযোগিতা করি। পাড়া-মহল্লার মসজিদ-মাদরাসায় সাহায্য-সহযোগিতা করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
কেইস স্টাডি-২: জাহাঙ্গীর হোসেনকে যখন ফুলতলার একটি  ক্লিনিকে ঢোকানো হয় তখন চিকিৎসকের হাতে অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতি। জাহাঙ্গীর আঁতকে ওঠেন। তাকে উলঙ্গ করে অস্ত্রোপচার বেডে চিৎ করে শোয়ানো হয়। জাহাঙ্গীর বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ডাক্তারের হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু হিজড়া বাহিনী পিছু ছাড়ছে না। তারা চাপ দেয় ডাক্তারকে। তাকে অচেতন অবস্থায় করে লিঙ্গ কেটে ফেলে। জ্ঞান ফেরার পর তাকে কিছুদিন চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর তার নামকরণ করা হয় রত্না। সেই থেকে সে রত্না হিজড়া নামে পরিচিত। জাহাঙ্গীরসহ তারা ছয় ভাই। চার ভাই ঢাকার ফকিরাপুলে নিজস্ব প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করেন। সমপ্রতি ফকিরাপুলের ছাপাখানায় জাহাঙ্গীরের বড় ভাই আসলাম মিয়ার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরের বয়স যখন ১৮ থেকে ১৯ বছর তখন সে একটি চক্রের খপ্পরে পড়ে হিজড়াদের খাতায় নাম লেখায়। চার-পাঁচ বছর আগেই তার গোপন অঙ্গ কাটা হয় বলে তিনি জানান। আসলাম বলেন, তারা যখন বুঝতে পারেন তারা ভাই হিজড়া তখন ঢাকায় চিকিৎসাও করিয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। আমাদের ভাইদের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। সবার আদরের। কিন্তু তার লিঙ্গ কেটে হিজড়া হওয়ার পর হিজড়াদের সঙ্গেই থাকে। তার বয়স এখন ২৫ থেকে ২৬ হবে। সে নাগরপুরে সুমি হিজড়াদের দলে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আসলাম মিয়া আরও জানান, সে সুন্দর নাচতে পারতো। ফলে দ্রুত অন্য হিজড়াদের নজরে আসে তার ভাই। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসে। বাবা নেই। মাকে এক নজর দেখে আবার চলে যায়। মন চাইলে কয়দিন থাকেও। এ বিষয়ে রত্নার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মানবজমিনকে জানান, খুলনায় নিয়ে হিজড়ারা তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এ কারণে আমার এই জীবনের আর কোন মূল্য নেই। জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। গডফাদার হিজড়াদের বিচার চান তিনি। নাম উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ঢাকায় মুন্না হিজড়া, আবুল হিজড়া, আবদুল হিজড়া কোটি কোটি টাকার মালিক। গাড়িতে চড়ে চলাচল করেন। অসহায় হিজড়াদের এভাবে লিঙ্গ কেটে তাদের দলে নিয়ে আসে। সরকারি চাকরিতে যেতে রাজি আছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সমাজবিজ্ঞানীরা যা বলেন: পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানোর তৎপরতা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, হিজড়াদের সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। সমাজ ধ্বংসের পথে চলছে। সমাজের অবক্ষয় হয়েছে এবং মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। গরিব অসহায় মানুষকে ধোকায় ফেলে এই কাজ করছে কিছু অসাধু লোক। চাকরি বা টাকার লোভে হিজড়া হলে পরবর্তীকালে পুরুষের কী হবে তা ভাবতে হবে? পুরুষের অস্তিত্ব নষ্ট করা উচিত নয়। প্রশাসনকেও এদিকে নজর দিতে হবে।
হিজড়াদের সংখ্যা: বাংলাদেশে সরকারিভাবে হিজড়াদের কোনো পরিসংখ্যান নেই। আদম শুমারির সময় তৃতীয় লিঙ্গের অপশন না থাকায় হিজড়াদের গণনা করা হয়নি। সর্বশেষ ২০১৩ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১০ হাজার। বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্যানুযায়ী এ সংখ্যা ৩০ হাজার  থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার। শুধু ঢাকা শহরে হিজড়ার সংখ্যা ১০ হাজারের ওপর বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

বাসা থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ!

রাজধানীর সবুজবাগে এক গৃহবধূকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
ওই নারীর অভিযোগ, গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে সবুজবাগ এলাকার ‘চিহ্নিত বখাটে’ খোকন, লিটন, মনির, কবির, মেহেদিসহ ১০ জন তাঁর বাসায় আসেন। তখন তিনি ও তাঁর স্বামী বাসায় ছিলেন। ওই ব্যক্তিরা বাসায় এসে জানতে চান, তাঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী কি না? ওই নারী বলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেওয়ার পর তাঁরা কাবিননামা দেখাতে বলেন। কিন্তু তখন বাসায় কাবিননামা না থাকায় তাঁরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ওই নারীর ভাষ্য, টাকা দিতে না পারায় প্রথমে তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়। এরপর মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন তাঁরা। বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তিনি থানায় গিয়ে মামলা করেন।
সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুন্সি লোকমান বলেন, গতকাল রাতে ওই নারী থানার এসে মামলা করেন। এরপর আজ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-১ এর পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষা শেষে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে স্থানান্তর করা হবে।

অন্তর্বাসে সেলেনার সেক্সি সেলফি

maxresdefault ভক্তদের উদ্দেশ্যে নিজের সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রায় সকল তারকা- সেলফির এই রমরমা যুগে ভক্তদের কাছাকাছি থাকতে এরচে ভালো মাধ্যম আর হয় না! তবে সম্প্রতি এক সেলফি পোস্ট করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন সেলেনা গোমেজ।
২১ বছর বয়সী এই পপ সেনসেশন কাপড় বদলানোর ঘর কিংবা বাথরুমে দাড়িয়ে নিজের ছবি তোলেন মোবাইলে, পোস্ট করেন টুইটারে। ছবিতে তার ছাপা পেন্টি টেনে নিচে নামিয়েছেন ‘সেক্সি’ লুকের জন্য, সাদা ছোট ট্যাংটপেও বেশ খোলামেলা তিনি।
এই ছবি নিয়েই শুরু হয়েছে হৈ চৈ। হবে না কেন! ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মর্নিং’। তারকার কাছ থেকে এমন আবেদময় সকালের আমন্ত্রনে ভক্তরা একটু তো হৈ চৈ করবেই।

গোপন বৈঠক থেকে জামায়াত আমীরসহ আটক ৯

 গোপন বৈঠক থেকে পটিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীরসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার পাইকপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে নাশকতার পরিকল্পনার বিভিন্ন কাগজপত্র ও দলীয় বই উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক নয়জন হলেন- উপজেলা জামায়াত আমীর মুকিবুল ইসলাম চৌধুরী ফারুক(৫০), নজরুল ইসলাম চৌধুরী(৪০), মোহাম্মদ ইসহাক(৫৯), জসীম উদ্দিন(৩৪), হোসাইন আহমদ(৬৫), মো. ইকবাল(৫০), মাহমুদুল হক(৬২). আবদুল আলীম চৌধুরী(৭৬) ও নুরুল আলম।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মুকিবুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সরকারি বিরোধী বিভিন্ন প্রচারপত্র, নাশকতার পরিকল্পনার নথি ও তাদের দলীয় বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।  আটক জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতারণার ক্ষেত্রে নারীরাই সেরা !

কানাডা ভিত্তিক ডেটিং সাইট অ্যাশলে ম্যাডিসন-এর তথ্য হ্যাকড হওয়ার পর বিবাহিতদের সংসারে ভাঙনের সুর অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা দেখিয়েছেন, প্রতারণার ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরাই এগিয়ে। তাদের মতে, অনেক দিক থেকে নারীদের বৈশিষ্ট্যই এমন যে তারা সহজেই কাজটি করতে পারেন। এখানে জেনে নিন নারীর এমনই ৭টি বৈশিষ্ট্যের কথা যার কারণে তারা পুরুষের তুলনায় সহজেই প্রতারণা করতে পারেন।
১. বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে যে সব সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে দেখা যায় নারীদের নানা ভূমিকা। তারা কিভাবে সংসার সামলাচ্ছেন, কিভাবে অন্যের মনে আগুন লাগাচ্ছেন এমন নানা নেতিবাচক বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়। আর দর্শক নারীদের বিশাল অংশ এ থেকে নানা শিক্ষা পেয়ে থাকেন এবং তা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
২. ইন্টারনেটে সোশাল মিডিয়া বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ভুয়া নম্বর এবং নাম ব্যবহার করতে নারীরাই এগিয়ে। ভুয়া নাম-পরিচয়ে বন্ধুত্ব স্থাপনের বিষয়টি নারীরাই বেশি উপভোগ করেন। কাজেই তাদের মাঝে কৃত্রিমতা সৃষ্টির স্বভাব বিদ্যমান।
৩. পুরুষের দেহে নারীদের পারফিউমের গন্ধ পেলেই তিনি অপরাধী চিহ্নিত হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে বাঁচার পথ সীমিত। কিন্তু নারীদের দেহে এমন গন্ধকে তারা সহজেই নানা প্রসাধনী সামগ্রির বাজে অবস্থা হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। এ কাজটি করেও থাকেন তারা।
৪. নারীরা নিজেদের চেহারাকে নানা উপাদানে ভিন্নরূপ দিতে আগ্রহী ও সিদ্ধহস্ত। নানা রকম ক্রিম, লোশন বা মেকআপ দিয়ে নিজেকে ঢেকে ফেলার প্রবণতা নারীদের মাঝে সহজাত। কাজেই তারা কৃত্রিমতাই বিশ্বাসী।
৫. আবেগের নানা কারুকার্যে দারুণ পটিয়সী নারীরা। তারা সহজেই এর ব্যবহারে পুরুষদের পরাস্ত করতে পারেন। এর দ্বারাই তারা নিজেদের সমস্যাগুলো সামাল দিয়ে ফেলেন। আবার সঙ্গীর কোনো সন্দেহজনক আচরণ সহজেই ধরে ফেলেন।
৬. তারা বিস্তারিতভাবে জানার আগ্রহ রাখেন, কিন্তু দৃষ্টি দেন ছোটখাটো বিষয়ের দিকে। ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারে তারা অবৈধ কোনো কাজ করতে যান না। সঙ্গীর উপার্জন বেশি হলে দারুণ খুশি নারীরা। কিন্তু তার খরচ যদি বেশ হয়, তবে সেখানে আপত্তি তাদের। এর প্রতিটি অংশ জানতে চান নারীরা।
৭. প্রতারণার মতো কিছু করতে গেলে পুরুষদের মতো তারা অনলাইনে তা করতে আগ্রহী নন। কারণ নিজের তথ্য ফাঁসের বিষয়ে নারীরা অনেক বেশি সচেতন।

ঐশ্বরিয়া-আনুশকার সাথে পর্দা ভাগাভাগি করবেন সানি লিওন!

sunny-ash-anuঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, রণবীর কাপুর, আনুশকা শর্মার মতো অভিনয়শিল্পীদের সাথে পর্দা ভাগাভাগি করবেন বিতর্কিত অভিনেত্রী সানি লিওন! এমনই এক খবরে সম্প্রতি আলোচনার ঝড় উঠেছে বিটাউনে। শোনা যাচ্ছে নির্মাতা কারান জোহারের নতুন সিনেমা ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি।
“বলিউডের প্রথম সারির ব্যানারের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন সানির বহুদিনের। কিন্তু এই স্বপ্ন সত্যি হতে অনেকটাই সময় লেগেছে তার।”
অক্ষয় কুমার হাতেই অবশ্য সানির স্বপ্নের রাস্তা অবশ্য প্রসন্ন হয়েছে আগেই। তার নতুন সিনেমা ‘সিং ইজ ব্লিং’- এ সানিকে অতিথি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ করে দেন অক্ষয়। এর ঠিক পরপরই কারান জোহারও তাকে ডাকলেন নিজের সিনেমায় অতিথি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।
সূত্রটি আরও বলছে, “বক্স-অফিসে সানি লিওনির চাহিদা কতো বেশি, তা ভালো করেই জানেন কারান। আর তাই সানির এই জনপ্রিয়তাকে নিজের সিনেমায় কাজে লাগাতে চান তিনি। অপরদিকে কারানের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুশি সানিও, দেরিতে হোক তবুও প্রথম সারির শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন সানি।”
এখন পর্যন্ত সানির আবেদনময়ী রূপকেই কাজে লাগাচ্ছেন মুম্বাইয়ের নির্মাতারা। সাবেক এই পর্ন তারকাকে আগামীতে দেখা যাবে মিলাপ জাভেরি পরিচালিত সিনেমা ‘মাস্তিজাদে’তে তুষার কাপুরের বিপরীতে।
অতিরিক্ত যৌনতার অভিযোগ তুলে সিনেমাটি দীর্ঘ দিন আটকে রেখেছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড। অবশেষে ছাড়পত্র পেয়ে এখন মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘মাস্তিজাদে’।

আরকান আর্মির আস্তানা ঘেরাও

2015_08_28_21_15_36_2ZVX8X9erfFDZnrLG6NPv1CQuJXpRa_originalমিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ ‘আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) আরকান আর্মির সন্ত্রাসীদের ধরতে থানছিতে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার সকালে সীমান্তে যৌথবাহিনীর চিরুনি অভিযানের মুখে আরকান আর্মির সদস্যরা পিছু হটে। পরে একটি দল বড়মধক ক্যাম্প থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ঙারেসাক্ষ্যং নামক স্থানে আরকান আর্মিদের একটি আস্তানার সন্ধান পায়। বিকেল থেকে ওই আস্তানাটি ঘিরে রেখেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
বিজিবির সূত্রমতে, সাঙ্গু রিজার্ভসহ সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে যৌথবাহিনীর সদস্যরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে। তবে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ও বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে অভিযান পরিচালনা করতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে যৌথবাহিনীর সদস্যদের।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

এবার ঢাকার পর্দা কাঁপাবে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’



যুক্তরাষ্ট্রে গত ৭ই আগস্ট মুক্তির পর থেকে পর্দা কাঁপাচ্ছে মার্ভেল কমিকসের ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’। এবার ঢাকার পর্দায় আসছে ছবিটি। আজ ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে সাড়াজাগানো এ ছবি। জশ ট্রাঙ্কের পরিচালনায় ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাইলন টেলার, মাইকেল জর্ডান, কেট মারা,  জেমি বেল, টবি কেবল, ক্যাথি প্রমুখ। রবার্ট কুজলার ও সাইমন কিনবার্গের প্রযোজনায় এর চিত্রনাট্য লিখেছেন সাইমন কিনবার্গ ও জেরেমি সলটার। জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘দ্য কিল পয়েন্ট’ ও ‘ক্রোনিকেল’-এর পরিচালক জশ ট্রাঙ্ক অতি অল্পসময়ে নিজের জাত জানান হলিউডপাড়ায়। তিনিই সম্প্রতি নির্মাণ করলেন বহুল প্রতীক্ষিত ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’। মূলত চারজনের একটি দলকে কেন্দ্র করে ছবিটির গল্প। পারমাণবিক রশ্মির বিকিরণে হঠাৎ ভোল পাল্টে বিশেষ ক্ষমতা অর্জন করে চার মহাকাশচারী। দলনেতা রিড রিচার্ড, যার পক্ষে যখন তখন রাবারের মতো সম্ভব শরীরের আকৃতি বদলে ফেলা, আরেক সদস্য সুস্টর্মের রয়েছে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার বিশেষ ক্ষমতা, জনি স্টর্মের ক্ষমতা দপ করে সারা শরীরে আগুন জ্বালিয়ে ফেলা আর বেন গ্রিম দৈহিক আকৃতি বদলে যে কোনো সময় রূপ নেয় পাথুরে মানব অবয়বে। আর এই পারমাণবিক রশ্মির বিকিরণের বিষয়টি নিছক দূর্ঘটনা প্রসূত নয়। মানুষের জন্য অকল্যাণকর সব দানবীয় শক্তি আর শত্রুর বিরূদ্ধে লড়াই করার জন্যই এ চারজনকে  দেয়া হয় এ বিশেষ ক্ষমতা। এবারের পর্বে তেমনই এক দুধর্ষ শত্রু ডক্টর ডুমের সঙ্গে লড়াইতে কী অবস্থা দাঁড়ায় এ চার আশ্চর্য মানবের সেটাই দেখার অপেক্ষা।
ফক্সের প্রযোজনায় ২০০৫ সালে নির্মিত হয়েছিল সিরিজের প্রথম চলচ্চিত্র। সর্বশেষ ২০০৭ সালে মুক্তি পায় ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: রাইজ অব দ্য সাফার’। প্রথম ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে দারুণ সফল হলেও দ্বিতীয় ছবিটি আশানুরূপ সাড়া জাগাতে পারেনি। তাই এবার দর্শকদের আশা, এ ছবিটি ভুলিয়ে দেবে অতীতের ব্যর্থতা। আগের দুটি সিরিজে অভিনয় করা জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেসিকা অ্যালবার অনুপস্থিতি দর্শকদের অবাক করেছে। তবে পরিচালক জশ ট্রাঙ্কের এসব ব্যাপারে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। হলিউডের এক সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দর্শকরা সবসময় একটি মহাকাব্যিক, প্রকান্ড, বৃহৎ ও অনেক শক্তিশালীদের সমন্বয়ের লড়াই দেখতে চায়। এটি একটি বড় ছবি এবং এর মধ্যে অনেক উপাদান রয়েছে, যা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে। চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক সাইমন কিনবার্গ বলেন, এই ছবিতে বিশ্বমানের অভিনেতারা তাদের অভিনয়শৈলী প্রদর্শন করেছেন। মাইলস টেলার এখন আমেরিকান ছবিতে সবচেয়ে প্রতিভাবান অভিনেতা। ‘হুইপলাস’ ও ‘দ্য স্পেক্টেকুলার এডি’তে যিনি তার দক্ষতা দেখিয়েছেন। তার সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন কেট মারা, মাইকেল বি জর্ডান, জেমি বেল। এই চারজনের রসায়নটা দারুণ। সবমিলিয়ে দর্শকদের জন্য চমৎকার একটা প্রাপ্তি হবে ছবিটি।

কাজী জাফরের মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন খালেদা

Khaleda_sm_227452092সদ্যপ্রয়াত জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) রাত ৯টায় গুলশানের বাসভবনে গিয়ে জাফর আহমেদের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় ইউনাইটেড হাসপাতালের মরচুয়ারি থেকে একটি ফ্রোজেন অ্যাম্বুলেন্সে করে গুলশান ২ নম্বর সেক্টরের ৬৮ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় কাজী জাফর আহমেদের মরদেহ।
কাজী জাফর আহমেদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর পর মরহুমের স্ত্রী মমতাজ বেগম, বড় মেয়ে কাজী জয়া আহমেদ ও মেঝো মেয়ে কাজী সোনিয়া আহমেদকে সান্ত্বনা দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। খালেদা জিয়া কিছুটা সময় তাদের সঙ্গে কাটান।
এদিকে, খালেদা জিয়ার প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক থেকে ওভার টেলিফোনে কাজী জাফর আহমেদের স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অপরদিকে, পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত গুলশান বাসভবনেই থাকবে কাজী জাফর আহমেদের মরদেহ। এ সময়ের মধ্যে মরহুমের আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন কাজী জাফর আহমেদ। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাজী জাফর আহমেদের মৃত্যুর খবর শুনে সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, শান্তিতে নোবেল জয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান সাইয়েদুল হাসান ইকবাল, বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা শ্রদ্ধা জানাতে হাসপাতালে যান।
কাজী জাফর আহমেদের দাফন কোথায় হবে, তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত না হলেও জানাজার স্থান ও সময় চূড়ান্ত করেছেন মরহুমের পরিবার ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
আজন্ম সংগ্রামী এক সময়ের শ্রমিক নেতা কাজী জাফর আহমেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার সকাল ৮টায় টঙ্গীর মিলগেটে। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল ১১টায় এবং তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদে।
এরপরে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে জন্মস্থান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া’র কাজিবাড়িতে। সেখানে জানাজা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন কন্যার জনক কাজী জাফর আহমেদের ছোট মেয়ে কাজী রুনা আহমেদ অবস্থান করছেন অস্ট্রেলিয়ায়। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে দ্রুত দেশে আসার চেষ্টা করছেন তিনি।
বড় মেয়ে কাজী জয়া আহমেদ ও ছোট বোন কাজী সোনিয়া আহমেদ ঢাকাতেই অবস্থান করছেন। সারাদিন বাবার মরদেহের পাশেই ছিলেন তারা।
ভাষা আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়ে রাজনীতি অঙ্গনে প্রবেশ কাজী জাফর আহমেদের। ১৯৫৫ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগদান করেন। রাজশাহী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে তার পদচারণা  শুরু।
১৯৩৯ সালের ১ জুলাই কুমিল্লার প্রখ্যাত চিওড়া কাজী পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মেধাবী ছাত্র হিসেবে কাজী জাফর আহমদ খুলনা জেলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীকালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স ও এমএ (ইতিহাস) পাস করেন।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ এবং এল.এল.বি. কোর্স সম্পন্ন করা সত্ত্বেও কারাগারে চলে যাওয়ায় পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে পারেননি।
কাজী জাফর আহমদ ১৯৫৯-১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বিভিন্ন সময়ে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬২-১৯৬৩ সালে অবিভক্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (এপসু) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬২ সালে সামরিক শাসন ও শরীফ শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে কাজী জাফর আহমদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭২-১৯৭৪ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তখন ছিলেন ন্যাপের চেয়ারম্যান। এরপর ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনাইটেড পিপলস্ পার্টির (ইউপিপি) প্রথমে সাধারণ সম্পাদক ও পরে চেয়ারম্যান হিসেবে সক্রিয়ভাবে পার্টির সাংগঠনিক দায়িত্ব ও জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করেন।
কাজী জাফর আহমেদ ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী হন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির জন্মলগ্ন থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬-১৯৯০ সালে তিনি জাতীয় পার্টি সরকারে পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বন্দর-জাহাজ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক উপদেষ্টা, ১৯৮৯-১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬-১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের উপনেতা ও ১৯৮৯-১৯৯০ সালে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতা ছিলেন। ১৯৮৬-১৯৯৬ পর্যন্ত  পরপর তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি সে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আবাসিক হোটেল থেকে ৮ তরুণ-তরুণী আটক

জয়পুরহাটে আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৮ তরুণ-তরুণীকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় এক নারী দালালকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার(২৭ আগস্ট) দুপুরে শহরের তৃপ্তি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জয়পুরহাট শহরের তৃপ্তির মোড় এলাকায় পরিচালিত ‘তৃপ্তি আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ হচ্ছে’ এমন সংবাদ পেয়ে হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।

২৪ ঘণ্টা ধরে চুমু খেলেন ইমরান-কঙ্গনা

index
নানা কারণে ‘কাট্টি বাট্টি’ ছবিটির নাম চলে এসেছে হিটলিস্টে। ভাগ্নে ইমরান খানের সঙ্গে কঙ্গনা রানাউতের অভিনয় দেখে কেঁদেও ফেলেছেন আমির খান। আবার এই ছবির একটা গান ‘লিপ টু লিপ টু দে কিসিয়াঁ’র শুটিংয়ে ২৪ ঘন্টা ধরে চুমু খেতে হয়েছে ইমরান ও কঙ্গনাকে।
এই এক গান শুটিং করতে লেগেছে তিনদিন, প্রতিদিন আট ঘন্টা ধরে চুমু খেতে হয়েছে এই জুটিকে। গানের জন্য ছবির নির্মাতারা নাকি প্রথমবার স্টপ মোশন টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন। তাই বলে ২৪ ঘন্টা চুমু! অবশ্য নির্মাতা নিখিল আদবভানি জানিয়েছেন- কঙ্গনা এবং ইমরান দুজনেই খুব পেশাদার, তাই চুমুর এই দীর্ঘ দৃশ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি।
আগামি ২৮ অগাস্ট এই গান মুক্তি পাবে। ইতোমধ্যে টুইটারে ছড়িয়ে গেছে এই ছবির নতুন পোস্টার। সেই পোস্টারে চুম্বনের বিভিন্ন উপকারিতার কথাও ফলাও করে বলা হয়েছে! ১৮ সেপ্টেম্বর ছবি মুক্তির পরে বোঝা যাবে- কে কতটুকু উপকৃত হয়।

ইরানি ড্রোন কিনবে রাশিয়া!


 


রাশিয়া তেহরানের ড্রোন প্রযুক্তি আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইরানের বিমান শিল্প সংস্থা বা আইএআইও'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মান্তেকি এ খবর দিয়ে জানিয়েছেন, রাশিয়া ইরানের পাইলটবিহীন নানা বিমান বা ড্রোনের মধ্য থেকে একটি বিশেষ ড্রোনের প্রযুক্তি আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বলেছেন, তেহরান ও মস্কো এ বিষয়ে আলোচনা করছে।
মস্কোর কাছাকাছি ঝুকোভস্কি শহরে বিমান প্রদর্শনী মেলা 'ম্যাক্স'-২০১৫ –এর অবকাশে তিনি এইসব কথা জানান। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে এই মেলায় ছিলেন।
ইরান বহু ধরনের ড্রোন নির্মাণে পারদর্শিতা দেখিয়েছে। এইসব ড্রোনের মধ্যে রয়েছে, 'আবাবিল', 'ফোত্রোস', 'হাজেম' ও 'কাররার' নামের ড্রোন। 'কাররার' হচ্ছে হামলার কাজে ব্যবহারের জন্য নির্মিত দীর্ঘ-পাল্লার ড্রোন । এ ছাড়াও ইরানের রয়েছে মোহাজির, সারির, শাহেদ-১২৯, ইয়াসির ও জোহাল নামের ক্ষেপণাস্ত্র।

ইরান গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবারের মত তার নির্মিত ফাইটার ড্রোন প্রদর্শন করে। এই ড্রোন আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। ইরানের এই ড্রোন সব ধরনের যুদ্ধ-বিমান, পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন ও হেলিকপ্টারও ধ্বংস করতে সক্ষম।
এর আগে ইরান রুশ-নির্মিত সুখো-৩০ জঙ্গি বিমান সরবরাহ নিয়ে গত মঙ্গলবার রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। দুই ইঞ্জিন ও দুই আসনের এই বিমান সব আবহাওয়ার জন্য উপযোগী এবং যুদ্ধক্ষেত্রে বহুমুখী কাজে ব্যবহার করা যায়।
ইরানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট সোরেনা সাত্তারি বলেছেন, 'আমরা এই বিমান নিয়ে আলোচনা করেছি তবে তা কেনার বিষয়ে কথা বলিনি এবং মূলত প্রযুক্তিগত বিষয়েই কথা বলেছি।'
সূত্র : রেডিও তেহরান।

ব্লগার নীলাদ্রি হত্যায় আরও দুজন গ্রেপ্তার

ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বর ও সন্ধ্যায় শ্যামপুরের দোলাইপাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—কাউসার হোসেন খান (২৯) ও কামাল হোসেন সরদার (২৯)। এ নিয়ে নীলাদ্রি হত্যায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিবির উপকমিশনার (পূর্ব) মো. মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে নীলাদ্রি হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া নাহিয়ান ও মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকতে পারে এমন ছয়জনের নাম পাওয়া গেছে। এদের অন্যতম কাউসার ও কামাল সরদার। তারা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। কাউসার ও কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের কারণ বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নাহিয়ান ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তার চাচা শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। নীলাদ্রি হত্যায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা রেদোয়ানুল আজাদ রানাসহ সন্দেহভাজন হিসেবে নাম আসা বাকি চারজন ধরা পড়লে হত্যাকাণ্ডের সূত্র মিলতে পার মনে করছে তদন্তকারীরা। তবে রিমান্ডে নাহিয়ান ও মাসুদ রানা নীলাদ্রি হত্যায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
গত ৭ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর গোড়ানের ভাড়া বাসায় ঢুকে ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আশা মণি অজ্ঞাতপরিচয় চারজনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

bangla family party song

এবার পুত্রবধূকে ধর্ষণ করল শ্বশুর!!




এবার পুত্রবধূকে ধর্ষণ করল শ্বশুর!!

যশোরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে আজগর আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে গ্রামবাসী। গুরুতর আহতাবস্থায় আজগরকে পুলিশি প্রহরায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে কেউ একজন গোপনে এই ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছে।

কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসএম শামিম আক্তার বলেন, ‘গ্রামবাসী এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ফোর্স নিয়ে সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামে যাই। সেখান থেকে আজগর আলী নামে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
তিনি জানান, আলমসাধু চালক আজগরের স্ত্রী দুই মাস আগে চাকরি নিয়ে ওমান চলে গেছেন। তার বড় ছেলে মিলন হোসেন খুলনায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মিলনের স্ত্রী (২০) সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। গত ৪ আগস্ট রাত ১০টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় আজগর তার পুত্রবধূকে (মিলনের স্ত্রী) ধর্ষণ করে। ক্ষোভে-লজ্জায় পরদিন সকালে ধর্ষিতা পুত্রবধূ বাবার বাড়ি ঝিকরগাছা উপজেলার বোধখানা গ্রামে চলে যান।

এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে আজগর রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ছোট ছেলে সুমন তার বাবাকে আটকে পেটানো শুরু করে। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন এসে আজগরকে বেদম পেটায়। পরে পুলিশ গেলে গ্রামবাসী আজগরকে তাদের হাতে তুলে দেয়।
আজগরের শ্যালক আফজাল হোসেন ও গ্রামের ইউপি মেম্বার মতিয়ার রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনা সত্যি। সোমবার ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।


কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাছ আলী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আজগরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।











হঠাৎ জাসদ নিয়ে ঘাঁটাঘাটি কেন

2015_08_23_15_30_40_4vsVM6JlWFW6Kb6iIK1QowZQ4Kv6D5_original (1)আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা হঠাৎ করেই জাসদের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছেন। জাসদকে নিয়ে তারা কেন ঘাঁটাঘাটি করছেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না দলটি নেতা হাসানুল হক ইনু।
গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য জাসদকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি নেতা ড.আসাদুজ্জামান রিপনও।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিক্রিয়া দিলেন জাসদ সভাপতি ইনু। তিনি আবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী।
ইনু বলেন, ‘জাসদের কোনো নেতা খন্দকার মোস্তাকের সাথে হাত মেলায়নি। কারা মুশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল তা আপনারা জানেন। জাতীয় চার নেতা ছাড়া আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মুশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল। কিন্তু জাসদের কোনো নেতা যোগ দেয়নি।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাসদকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা যে বিবৃতি দিয়েছেন তা ভিত্তিহীন দাবি করে জাসদ নেতা বলেন, ‘বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যারা একই সুরে জাসদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন তাদের সঙ্গে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হতে চাচ্ছি না। বঙ্গবন্দু হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুশতাক সরকারের বিরুদ্ধে জাসদ একটি প্রচারপত্র দিয়েছিল।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মুশতাক সরকারের ৮৩ দিনের শাসনামলে জাসদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭০ জনের মতো কর্মীকে মেরে ফেলা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাসদকে জড়ানোর কোনো ভিত্তি নেই।’
ইনু দাবি করেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের অপকর্ম আড়াল করতেই এখন জাসদের বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত জাসদ রাজনৈতিক দল হিসেবে কী কর্মকাণ্ড করেছে তা পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশন রেডিও তে প্রচারিত ও প্রকাশিত।’
জাসদের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ হঠাৎ করেই জাসদের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছেন। জাসদকে নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করছেন আর কেন করছেন তা আমি জানি না।’

‘মুহাম্মদ (স) মুভি ইসলাম সম্পর্কে পাশ্চাত্যের বিভ্রান্তি দূর করবে’

ee895aabe35bc4572a625f0d8174fcf7_XL
রানে নির্মিত ‘মুহাম্মদ (স)’ মুভিটি পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পাশ্চাত্যের ভ্রান্ত ধারণা দূর করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন খ্যাতনামা ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক মাজিদ মাজিদি।
প্রায় ৪ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটি আগামীকাল ইরানের ১৪৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। ছবিটি আজ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারিগরী সমস্যার কারণে তা একদিন পিছিয়ে দেয়া হয়। ইরানে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে ১৭১ মিনিটির এ ছায়াছবি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনখণ্ডের এ ছায়াছবির প্রথম খণ্ডে মহানবীর (স) বাল্যের জীবনালেখ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তেহরানে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ‘মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (স)’ এর পরিচালক ৫৬ বছর বয়সী মাজিদ মাজিদি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পবিত্র দ্বীন ইসলামের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
সাক্ষাৎকারে মুসলিম বিশ্বে মহানবীর জীবন আলেখ্যের ভিত্তিতে নির্মিত ছায়াছবির চাহিদার কথাও তুলে ধরেন তিনি। মাজিদ মাজিদি বলেন, সৌদি আরবের মতো হাতেগোণা কয়েকটি দেশে এ চলচ্চিত্র নিয়ে সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশই এ ছবির বিষয়ে প্রচণ্ড আগ্রহ দেখিয়েছে।
মহানবীর জীবনীভিত্তিক প্রথম ছায়াছবি নির্মাণ করেছিলেন সিরিয়-আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা আক্কাদ। ওই ছায়াছবির নাম  ‘দ্য ম্যাসেজ’। ১৯৭৬ সালে তা মুক্তি পাওয়ার পর মুসলমান বিশ্বের কোনো কোনো মহল তার কঠোর সমালোচনা করেছিল। দ্বীনের নবীর জীবনীভিত্তিক ছবি নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিশ্বের কোনো কোনো মুসলমানের উদ্বেগের বিষয়টি অনুধাবন করে মাজিদ মাজিদি বলেন, ছবিতে বিকল্পভাবে মহান নবীকে উপস্থাপন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রে মহানবী ক্যামেরার দিকে পেছন ফিরে ছিলেন। তাঁর অবয়ব দেখা গেছে। কিন্তু তার চেহারা মোবারক দেখানো হয়নি।
হাসিমুখে বিশ্ববরেণ্য এ চিত্রনির্মাতা বলেন, ‘পুরো ছবিতে নায়কের দুর্দান্ত উপস্থিতি রয়েছে কিন্তু তাঁর চেহারা দেখানো হয় নি- সত্যিই এটা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল।‘  এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ পদ্ধতির আশ্রয় নেন মাজিদি এবং তিন তিনবার অস্কার বিজয়ী ইতালির সিনেমাটোগ্রাফার ভিত্তেরিও স্তোরারো।
মাজিদি বলেন, ছায়াছবিতে মহানবীকে তুলে ধরার জন্য বিশেষভাবে তৈরি স্টেডিক্যাম ব্যবহার করা হয়। চলচ্চিত্রটির যে দৃশ্যেই রাসূল (স)-কে দেখানো হয়েছে সেখানেই দৃশ্যটি নবীর দৃষ্টিভঙ্গি অর্থাৎ চলচ্চিত্রের ভাষায় ক্যারেক্টারস পয়েন্ট অব ভিউ বা পিওভি থেকে দেখানো হয়েছে। এমনকি নবীজির শৈশবের দৃশ্যও এ ভাবে চিত্রায়িত হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাজিদি বলেন, চলচ্চিত্রটিতে সবাই মুহাম্মদ (স)কে দেখার জন্য উদগ্রীব থাকবে কিন্তু কেউ তাঁর পবিত্র মুখমন্ডল দেখতে পাবেন না। তাঁর অবয়ব দেখা যাবে বা ক্যামেরার দিকে পেছন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন- এমন দৃশ্যই কেবল দেখা যাবে।
এ ছাড়া, মুহাম্মদ (স) বাকি দুই খণ্ড নির্মাণের ক্ষেত্রে কি সমস্যায় পড়তে হবে তাও তুলে ধরেন তিনি। মাজিদ মাজিদি বলেন, নবুয়ত লাভের পর মহানবীর সংলাপ নিয়েও বেশ সমস্যা দেখা দেবে। অবশ্য এ সমস্যা উৎরানো যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি ।

সুনিল কন্যা আথিয়ার বলিউড অভিষেক

Athiya-Shetty-Hot-Photos-Navel-Pics-Sexy-Photoshoot-Hero-Film-Actress-300x237
খুব শিগগিরই বলিউডে অভিষেক হচ্ছে বলিউডের দাপুটে অভিনেতা সুনিল শেঠি কন্যা আথিয়া শেঠির। তাও যেনতেনভাবে নয় বেশ রাজকীয়ভাবে অভিষেক হচ্ছে তার। ১৯৮৩ সালে সুভাষ ঘাই পরিচালিত ‘হিরো’ ছিল একটি সুপারহিট ছবি। জ্যাকিশ্রফ অভিনেতা হিসেবে এ ছবির মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন। এবার এ ছবির রিমেকের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হচ্ছে আথিয়ার। এবার ছবিটি পরিচালনা করছেন নিখিল আদভানি। আর এ ছবিতে আথিয়া অভিনয় করছেন সুরুজ পাঞ্চোলির বিপরীতে। এটি মূলত একটি অ্যাকশন-রোমান্টিক ছবি। এখানে আথিয়া অভিনয় করছেন একজন আধুনিক তরুণীর ভূমিকায়, যার সঙ্গে সুরুজের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর তাদের সম্পর্কে নানা রকম বাধা আসতে থাকে। আর এভাবেই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যান তারা। মজার ও বড় বিষয় হলো এ ছবিটি প্রযোজনা করছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। অনেক আগে থেকেই আথিয়াকে নিয়ে করা ছবি প্রযোজনার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। কথা অনুযায়ী কাজ করেছেন সালমান। এরই মধ্যে এ ছবির একটি প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সালমান খান, সুনিল শেঠি, আথিয়া শেঠি, সুরুজ পাঞ্চোলি, সুভাষ ঘাই, নিখিল আদভানিসহ আরও অনেকে। এ ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ। ছবিটির প্রিমিয়ারের সময় অনেকটাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সুনিল শেঠি। মেয়ে সম্পর্কে তিনি বলেন, আথিয়া ১৮ বছর বয়সেই নিউ ইয়র্কে চলচ্চিত্র নির্মানের ওপর পড়াশোনা শেষ করেছে। জেনে, শুনে ও বুঝেই সে অভিনয়ে নেমেছে। হয়তো সামনে নির্মাণও করবে। তবে আজকে ‘হিরো’ ছবিতে ওর অভিনয় দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ ও একইসঙ্গে গর্বিত। সবাইকে এ ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ রইলো। আথিয়া শেঠি বলেন, বাবার সঙ্গে বসে নিজের অভিনীত প্রথম ছবি দেখছিলাম। অনেক ভয় লাগছিল। কারণ, বাবার কাছ থেকেই অভিনয় শেখা আমার। তবে বাবা আমার অভিনয়ে খুশি হয়েছেন বলে আমি নিজে অনেক আনন্দিত। আশা করছি দর্শকদের ভাল লাগবে ছবিটি।

বিয়ন্সেকে হারিয়ে দিলেন কিম

এই দুই নারীর মধ্যে যে লড়াই চলছে তা একটু ভিন্ন। আর সেই ভিন্ন লড়াইয়ে বিয়ন্সেকে হারিয়ে দিয়েছেন কিম কার্দাশিয়ান। লড়াইটা ছিল ভক্তদের বশ করা।
এত দিন পর্যন্ত চার কোটি ৩৯ লাখ ফলোয়ার নিয়ে সেরার জায়গাটি নিজের দখলে রেখেছিলেন বেয়ন্সে। সেই সংখ্যা টপকে গিয়ে ‘ফার্স্ট পজিশন’ এ এখন কিম। তার ফলোয়ার সংখ্যা চার কোটি ৪২ লাখেরও বেশি। ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যায় বিয়ন্সেকে এ বার হারিয়েই দিলেন কিম।

বলিউডে বিদেশীদের অশ্লীলতা

বলিউডে শক্ত অবস্থান করা এতো সোজা নয়। তাইতো প্রবাসী থেকে তারকা হতে আসা এমন কয়েকজনকে টিকে থাকার লড়াইয়ে করতে হয়েছে অনেক ‘বোল্ড সিন’। নিজেকে অশ্লীলতায় বিলিয়ে দিয়েছেন।নিজেদের শরীরী জাদু দিয়েই কাবু করতে চেয়েছেন তারা।এমন কয়েকজন তারকা হলেনঃ
15slide2
বীনা মালিক
jacqueline-fernandez-hot-in-bikini-1
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ
বীনা মালিক
বিগ বস-এর ঘর থেকে শুরু হয় বীনার বলিউড যাত্রা। টিভির ছোটপর্দা থেকে বীনার অভিষেক হয় বড়পর্দায়। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হেমন্ত মধুকরের ছবি ‘মুম্বাই ১২৩ কেএম’ এ বীনার আবেদনে ঝড় ওঠে পর্দায়।তবে নিজেকে অতটা শক্ত অবস্থানে নিতে পারেন নি।

জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ
মিস শ্রীলঙ্কান জ্যাকলিন বলিউডে অভিষেক করেছিলেন আলাদীন ছবি দিয়ে। কিন্তু খুব একটা ভালো হয়নি অভিষেক। পরে মার্ডার ২ ছবিতে খোলামেলা দৃশ্যে করে চোখে পরে যান সবার। এখন তো বলিউড পারায় নিজের একটা জায়গায় করে নিয়েছেন।



hhhhhhhhhhhh
সানি লিওন

সানি লিওন
পূজা ভাটের হাত ধরে ‘জিসম টু’ ছবিতে বলিউডে প্রবেশ সানি লিওনের। প্রথম ছবিতেই সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছেন সানি আর এই ধারা এখনও জারি। তবে সানি বলিউডে আলোচনা-সমালোচনা সব কিছুর শীর্ষেই রয়েছেন।


images
নার্গিস ফাকরি
নার্গিস ফাকরি

‘রকস্টার’ ছবিতে রণবীরের বিপরীতে প্রথম বলিউডে দেখা মেলে নার্গিসের। প্রথম ছবিতেই আবেদনের ঝড় তোলে সিনেপর্দায়। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে নার্গিস কিংফিশার গার্ল ছিলেন। বলিউডের পাশাপাশি এখন হলিউডও মাতাচ্ছেন এই নায়িকা।

দশম শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে অপহরণ করেছে ছাত্রলীগ নেতারা

ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে মঙ্গলবার অপহরণ করেছে ছাত্রলীগ নেতারা। পরে সরকার দলীয় শীর্ষ নেতাদের চাপের মুখে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বিষয়টিকে প্রেম ঘটিত বলে দাবী করছেন।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিন ছাত্রী ক্লাশ শেষে বাড়ি ফিরছিলো। পথিমধ্যে তারা ফেনী-সোনাগাজী সড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ গোবিন্দপুর কলঘর নামক স্থানে পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা জেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শামীম, কালিদহ ইউনিয়ন সহ-সভাপতি মো: সৈকত ও ধলিয়া ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ অপহরণকারী ও অপহৃতাদের অভিভাবকদের নিয়ে জরুরী সভা আহবান করে। ওই সভায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শহীদ খোন্দকার, সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মীর হোসেন সহ সদস্য ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৪ ঘন্টা পর চাপের মুখে পড়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শহীদ খোন্দকার অপহরনের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, প্রেম ঘটিত কারণে তারা ঘুরতে বেরিয়েছে। এ ঘটনায় ওই তিন ছাত্রীর অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।

পাবনায় গণপিটুনিতে ৩ জন : গুজব রটিয়ে পরিকল্পিত হত্যা!

পাবনায় গণপিটুনিতে নিহত তিন ব্যক্তিই ছিলেন ব্যবসায়ী। অপহরণকারীর গুজব রটিয়ে একটি মহল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তাদের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। কেন, কী কারণে, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্তে নেমেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
গণপিটুনিতে তাদের নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা তিন হাজার মানুষকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত আলাউদ্দিন ওরফে আলালের ভাই রানা শেখ মঙ্গলবার মধ্যরাতে মামলাটি দায়ের করেন। তবে মামলায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিহতদের লাশ ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে গণপিটুনিতে নিহত তিনজনের নাম পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন ওরফে আলাল (৫০), দিনাজপুর সদর উপজেলার নয়নপুর কোতয়ালী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আসলাম হোসেন (৪৫) ও পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কড়ইতলা গ্রামের সোনাই সরদারের ছেলে বগুড়ার বিহারী কলোনীর বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিকী (৫০)। তারা পেশায় ব্যবসায়ী এবং পরস্পরের আত্মীয়।
নিহত আবু বক্কারের স্ত্রী বছিরন খাতুন বলেন, আমার স্বামী ঈদের সামনে পেঁয়াজ-রসুনের ব্যাবসা করার জন্য সাঁথিয়া চতুরহাটে গিয়েছিল। তিনি ছেলে ধরা বা অপহরণকারী ছিলেন না। এটা ষড়যন্ত্র। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই। নিহত আলাউদ্দিনের জামাই আইয়ুব আলী বলেন, আমার শ্বশুড়সহ নিহত তিনজন একে অপরের আত্মীয়। ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্যে চতুরহাটে এসেছিল। পরিকল্পিতভাবে একটি চক্র অপহরণের গুজব ছড়িয়ে তাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
বুধবার সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নগরবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী আলিফ পরিবহন নামে একটি বাস বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের সাঁথিয়া উপজেলাধীন করমজা চতুরহাট নামক স্থানে পৌঁছায়। এসময় বাসে থাকা তিন ব্যক্তিকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রতিভা বিপনন কেন্দ্রের সামনে নিয়ে নিজেরাই এলোপাথারি পেটাতে থাকে এবং তাদেরকে ছেলে ধরা (অপহরণকারী) বলে চিৎকার করতে থাকে। বেশকিছু দিন ধরে সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলায় কয়েকটি অপহরণের ঘটনায় আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছিল স্থানীয়দের মাঝে। অপহরণকারী ধরার চিৎকারে হাটের লোকজনও কোনো কিছু না জেনে-শুনে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তিন ব্যক্তির গণপিটুনিতে অংশ নেয়। মুহূর্তের মধ্যে দুই তিন হাজার লোক সেখানে জড়ো হয়ে ওই তিনজনকে ঘিরে রাখে। নির্মম প্রহারের একপর্যায়ে ওই তিন ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় ৪ পুলিশ সদস্য তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করলে জনতা তাদের ধাওয়া দেয়। পরে বেড়া ও আমিনপুর থানার পুলিশ এসে প্রায় পৌনে দুই ঘন্টা পর তাদের উদ্ধার করে। কিন্তু উদ্ধারের আগেই তারা মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাস্থল প্রতিভা বিপনন কেন্দ্রের মালিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ রাজন জানান, ওই সময় আমি দোকানের কর্মচারীর কাছ থেকে হিসাব বুঝে নিচ্ছিলাম। হঠাৎ তিন ব্যক্তিকে ধাওয়া করে আমার দোকানের সামনে অপহরণকারী বলে অনেক লোক বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এ অবস্থা দেখে আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে চলে যাই। তার পর শুনি তারা মারা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক ব্যক্তি জানান, আলিফ পরিবহন থেকে ওই তিন ব্যক্তিকে জোর করে নামিয়ে হাটের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর অপহরণকারী ও ছেলে ধরা বলে চিৎকার করে মারপিট করতে থাকে।
অপর একটি সূত্র জানায়, করমজা চতুরহাট জেলার অন্যতম বড় হাট। হাটটির অবস্থান সাঁথিয়া উপজেলার মধ্যে হলেও নিয়ন্ত্রণ করা হয় বেড়া পৌর প্রশাসন থেকে। সীমানা নিয়েও রয়েছে দ্বন্দ্ব ও জটিলতা। কোনো ঘটনা ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে তাই বেড়া ও সাঁথিয়া থানা পুলিশের মধ্যে দেখা দেয় দোটানা। আর এরই ফায়দা লোটে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। এই হাটের গরু ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে মঙ্গলবার অপহরণের গুজব ছড়িয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হতে পারে বলে ধারণা করছে অনেকে। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আসল ঘটনা।
পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোপনীয় শাখা) ছিদ্দিকুর রহমান জানান, আমরা থাৎক্ষনিকভাবে অপহরণকারী মনে করেছিলাম। কিন্ত ২৪ ঘন্টার তদন্তে আপাতত মনে হচ্ছে এটা ছিলো একটি গুজব। ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। নিহতদের মোবাইল সিমের কল লিস্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আরো তদন্ত করলে আসল অপরাধীদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে বলি তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে পাবনা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানান, ছেলে ধরা বা অপহরণকারী সন্দেহে তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হলেও এর পিছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। যা অধিকতর তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। অপহরণের গুজব ছড়িয়ে তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যারাই ঘটনার সাথে জড়িত থাক তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

প্রকাশ্যে নগ্নতার দাবিতে চলছে আন্দোলন


প্রকাশ্যে নগ্নতার দাবিতে চলছে আন্দোলন


পুরুষের মতো প্রকাশ্যে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ানো বা চলাফেরার স্বাধীনতার দাবিতে ফ্রি দ্যা নিপলশ্লোগানে উদাম শরীরে সারা বিশ্বের ৬০টি শহরের মেয়েরা রাস্তায় নেমেছে। তাদের দাবি, সকল পুরুষের মতো তারাও যেন স্বাধীনভাবে খালি গায়ে চলাফেরা করতে পারে। পুরুষের মতো তারাও যেন এ অধিকার পায়।
চলতি সপ্তাহেই নিউইয়র্কের মেয়েরা টাইমস স্কোয়ারে অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় দখল নিলে প্রতিবাদের মুখে তাদের সেখানে থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেনি টপলেস হওয়ার অধিকারের দাবি। গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৬০টি শহরে এ দাবিতে শোভাযাত্রা বের করে অর্ধ-নগ্ন মেয়েরা।

রোববার এ সকল অর্ধনগ্ন মেয়েদের বৃহত্তম শোভাযাত্রা বের হয় নিউইয়র্ক সিটিতে। এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাজ্যের ম্যানহ্যাটন, এডিনবার্গ প্রতিটি বড় বড় শহরে পুরুষের সঙ্গে তাদের সম-অধিকারের দাবিতে রাস্তায় বের হয়। দ্যা ডেইলি মেইল বলছে, শুধুমাত্র ম্যানহ্যাটনেই প্রায় ৩০০ এর বেশি মেয়ে উদাম গায়ে রাস্তায় বের হয়ে তাদির দাবি তুলে ধরে।

কিন্তু এইসকল অর্ধনগ্ন মেয়েদের প্রকাশ্যে নগ্ন হয়ে চলাফেরার অনুমতি দেয়া হবে কিনা এ নিয়ে সবকটি শহরেই চলছে বিশাল বিতর্ক।

এইসকল অর্ধনগ্ন মেয়েদের সমঅধিকারের দাবির আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্স সিটির একজন অভিনেত্রী ও মডেল রিচেল জেসে। দ্যা ডেইলি মেইলকে তিনি বলেন, ‘আমাদের রোববারের ক্যাম্পেইনটি ছিল মূলত পুরুষের সাথে মেয়েদেরও সমান অধিকারের দাবিতে। আমাদের দাবি হচ্ছে, সব দেশের ছেলেরা যখন প্রকাশ্যে খালি গায়ে চলাফেরা করতে পারে, তবে মেয়েরা কেন পারবে না। মেয়েদেরও সেই অধিকার দিতে হবে।

মেয়দের ফ্রি নিপলস’ (মুক্ত স্তনবৃন্ত) এর দাবি করে তিনি বলেন, পুরুষশাসিত এই বিশ্বে লিঙ্গ সমতা আনাই আমাদের ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য।

৬০টি শহরে পুলিশ বাধা দিলেও তা সত্ত্বেও খোলা শরীরে ফ্রি দ্যা নিপলস’ (স্তনবৃন্ত মুক্ত করো) এর দাবিতে মেয়েরা রাস্তায় নেমে তাদের দাবির পক্ষে ক্যাম্পেইন করে। তাদের মতে, এভাবে সারা বিশ্বে জনমত তৈরি করতে পারলেই তাদের লক্ষ্য পূর্ণ হবে। ছেলেদের মতো তারাও খালি গায়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে পারবে।