রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

দু’দিনে তিন বাংলাদেশীকে গুলী করে হত্যা : সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতির পরও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে সীমান্ত হত্যা জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনার কথা বললেও তা সম্ভব হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেয়া সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়ন হলো না! সর্বশেষ গত শুক্রবার সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর গোতামারী সীমান্তের ৯০১নং মেইন পিলারে ৫/৬ নং সাব পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলীতে অমুল্য কুমার চন্দ্র (৩৮) নামে এক বাংলাদেশী রাখাল নিহত হয়েছে। নিহত অমুল্য কুমার চন্দ্র হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ভুটিয়ামঙ্গল গ্রামের মহেশ চন্দ্রের ছেলে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে সীমান্তের প্রধান খুঁটির (মেইন পিলার) ১৩নং উপস্তম্ভের (সাবপিলার) কাছে ভারতের তারালি ও সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলীতে সদর উপজেলার বাঁশদহ ইউনিয়নের পাঁচরখি গ্রামের শের আলী বিশ্বাসের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম ও কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল খালেক সরদার নিহত হয়। ভারত থেকে গরু নিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টাকালে বিএসএফ’র গুলীতে এ দু’টি হত্যাকা- ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া শ্রীমঙ্গলের কুলাউড়া সীমান্তে উপজেলার ডবলছড়া সীমান্তের শূন্যরেখার ভারতীয় অংশ থেকে গত বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে রাধে শ্যামভর (৩৫) নামে এক চা-শ্রমিকের লাশ। তিনি কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর চা-বাগানের নারায়ণ ধরের ছেলে।
এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এ ৬ মাসে সীমান্তে নিহত হয়েছেন ২৩ জন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৫ জন এবং অপহরণের শিকার হয়েছেন ৩৯ জন আর গুম হয়েছে ৩৮ জন বাংলাদেশী।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিএসএফ’র গুলীতে বিভিন্ন সীমান্তে এক হাজার ৩৫ জন বাংলাদেশী নিহত ও ৯১৯ জন আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর গত ১৭ নবেম্বর বাংলাদেশ-ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এমএ গণপতি তার দেশের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বন্ধুপ্রতীম দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয় বৈঠকে। এ সময় সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকারও করেছিলেন দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। নানা উদ্যোগ ও আশ্বাস সত্ত্বেও বন্ধ হচ্ছে না সীমান্ত হত্যা। বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ যৌথ উদ্যোগে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সমঝোতা এবং চুক্তি লঙ্ঘন করে বিএসএফ সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের গুলী করে হত্যা করছে ও অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে-এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। সীমান্তে হত্যা বন্ধের আশ্বাস দেয়া হয় সবসময়ই, কিন্তু সে আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতির পুরোটাই যেন প্রহসন! বারবার বাংলাদেশী নাগরিকের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। বন্ধুভাবাপন্ন দু’দেশের সীমান্তে এ রকম প্রাণহানি অস্বাভাবিক, অমানবিক। সীমান্তে হত্যাকা- নতুন কোনো ঘটনা নয়। ঘটছে ঘটবে-যেন এটাই স্বাভাবিক। কোনো কিছুই মানছে না বিএসএফ। বিধিনিষেধ, পতাকা বৈঠক বা প্রতিবাদকে তোয়াক্কা না করে সীমান্তবর্তী মানুষের ওপর হিংস্র আচরণ করছে এ বাহিনী। ফেলানীকে হত্যার পর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখলে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। এরপর ভারতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ঢাকা এসে এক বৈঠকে সীমান্তে হত্যার বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হলে, তিনি আশ্বাস দেন সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশের ৩০টি সীমান্তবর্তী জেলা ভারতের সাথে রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় বিএসএফ সীমান্তে যে নির্যাতনে মানবধিকার সংগঠন হতবাক।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে সৌহার্দ-সম্প্রীতির পাশাপাশি বিএসএফ’র বেআইনী হত্যাকা- বন্ধে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জরুরি। উভয় দেশের শান্তি রক্ষার্থে এবং সীমান্ত অপরাধ দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দু’রাষ্ট্রেও পারস্পরিক সৌহার্দ্যরে বিকল্প নেই।

কক্সবাজারে প্রশিক্ষণ মহড়ায় গোলা বিস্ফোরণে সেনা সদস্য নিহত, আহত ৩


কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মনখালীতে সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ার সময় প্রশিক্ষণ গোলার বিস্ফোরণে লেন্স কর্পোরাল ইব্রাহিম খলিল নিহত হয়েছেন। আর এ ঘটনায় আরো ৩ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, গাজীপুর রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের হুমায়ুন (৪৩), রামু ৫৮ইসিবির হাবিবুর রহমান (৪০) একই ইসিবির রাসেল (৩১)। এদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালে কর্নেল ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের জানান, বিমান বিধ্বসী প্রশিক্ষন মহড়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
অপর দিকে আন্ত:বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা শীর্ষ নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অফিসারগণ কাজ করছেন, পরে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫

বাংলা ছবিতে ফের আসছে অশ্লীলতার যুগ

খুব বেশি আগের কথা নয়। বাংলা ছবিতে এমন একটা সময় এসেছিল যেটাকে অশ্লীলতার যুগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। নায়ক-নায়িকাদের যৌন সুড়সুড়ি জাগানো দৃশ্য ও কাটপিচে ভরা থাকতো তখনকার সব ছবি। জনরোশের মুখে ও বাংলা চলচ্চিত্রের কিছু রুচিশীল নায়ক-নায়িকা, পরিচালক- প্রযোজকদের প্রতিবাদ ও উদ্যোগে সেই যুগ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় ঢালিউড জগত। আটকে দেয়া হয় ওই সময়ে নির্মিত বেশকিছু অশ্লীল ছবি। সুস্থ ধারা ফিরে আসে বাংলা চলচ্চিত্রে।

কিন্তু আবারও বোধহয় আসতে চলেছে সেই যুগ। একটা একটা করে মুক্তি পাচ্ছে অশ্লীল যুগে নির্মিত সেই সকল রুচিহীন ছবিগুলো। নানা জটিলতা ও সমালোচনায় যে ছবিগুলো ওই সময় মুক্তি পায়নি। এরই মধ্যে ৩০ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে অশান্ত মেয়েনামের একটি ছবি। রাজধানীর বেশকিছু সিনেমা হলে চলেছেও। পাইপ লাইনে রয়েছে অশ্লীল যুগের অশ্লীল নায়ক আলেকজান্ডার বো অভিনীত ছবি পাকড়াও। ১৩ নভেম্বর ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানান এর বুকিং এজেন্টরা।  

এ দুটি ছবি ছাড়াও অশ্লীল দৃশ্য ও ইংরেজি ছবির কাটপিচ যুক্ত করার দায়ে অশ্লীলতার ওই যুগে অনেক ছবিই ছাড়পত্র পায়নি। এখন তাই চুপিসারে ফাঁক-ফোঁকর গলে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে ছবিগুলো। আবার যদি বাংলা ছবির সেই ধারা ফিরে আসে তবে এখন যেমন পরিবার নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে একসঙ্গে ছবি দেখা যাচ্ছে, তখন যাবে কিনা, বারবার এই প্রশ্নটিই আসছে ঘুরেফিরে।

bangladeshi actor's Joya Ahsan Hot Sexy Scene

bangladeshi actor's Joya Ahsan Hot Sexy Scene

ইউরোপের বাজারে ইসরাইলি পণ্য প্রবেশ নিষেধ!



ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার এক সিদ্ধান্তে জানিয়েছে, ইসরাইলে উৎপাদিত পণ্যের গায়ে ‘পশ্চিমতীরে উৎপাদিত’ লেবেল থাকতে হবে অন্যথায় তাদের পণ্য ইউরোপের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না।
ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ বন্ধের আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করার কারণে এবং ফিলিস্তিনের সাথে পুনরায় শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগের জন্যই ইইউ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসরাইল এ পদক্ষেপকে অন্যায় ও বৈষম্যমূলক বলে নিন্দা জানিয়েছে।
বসতিস্থাপন ও ফিলিস্তিনি ইস্যুতে আন্তর্জাতিক জনমত উপেক্ষা করার কারণে দেশটি দিন দিন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইহুদি বসতি স্থাপন ও সম্প্রসারণ ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ইসরাইলের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
ওয়াশিংটন সফররত প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইইউর সিদ্ধান্ত ভন্ডামীপূর্ণ ও দ্বিমুখী। ইসরাইলকে অন্যায়ভাবে পৃথক করে দেয়া হচ্ছে। ইইউর লজ্জিত হওয়া উচিত।’
এদিকে, সৌদি সফররত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইইউর অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় এবং দ্রুতই সেখানে ইহুদি বসতি স্থাপন করে। ফিলিস্তিন ওই ভূখন্ড দু’টি তাদের বলে দাবি করে আসছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন আছে।

টি-টোয়েন্টিতেও জয়ে শুরু বাংলাদেশের



ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
যদিও বাংলাদেশের জয়টা সহজ ছিল না। ১৩২ রানের ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮০ রানেই পথম সারির ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ কঠিন করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক মাশরাফি।
শুক্রবার মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপে পড়ে ১৯.২ ওভারে ১৩১ রানেই অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
১৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চার মেরে ইনিংসের শুরু করেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ওই ওভারের শেষ বলে রান আউটে কাটা পড়েন টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় (১)।
শুরুতে এনামুলের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে সাব্বির রহমানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তামিম। এই দুজনের ব্যাটে বেশ ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে ক্রেইগ আরভিনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাব্বির রহমানের (১৮) বিদায়ে ভাঙে ৩৯ রানের জুটি।
এরপর চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে নেমে দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় ৫৪ রানে গ্রায়েম ক্রেমারের বলে সিকান্দার রাজাকে ক্যাচ দেন মুশফিক (২)।
চতুর্থ উইকেটে নাসির হোসেনকে নিয়ে তামিম আবার প্রতিরোধ গড়লেও ক্রেমারের একই ওভারে দুজনই বিদায় নেন। নাসির (১৬), তামিম (৩১) দুজনই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন। আর এই দুজনের বিদায়ে ৮০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর বোলিংয়ে শুরুটাও দুর্দান্ত হয় বাংলাদেশের। মাত্র ১০ রানের মধ্যেই জিম্বাবুয়ের ৩ উইকেট তুলে নেন স্বাগতিক বোলাররা।
জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফিই। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সিকান্দার রাজাকে (৪) মিড অফে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন বাংলাদেশের সেরা এই পেসার।
পরের ওভারে আল-আমিন বোলিংয়ে এসে তৃতীয় বলেই বিদায় করেন রেগিস চাকাভাকে। ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। আর মাশরাফি নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে সাজঘরে ফেরান এল্টন চিগুম্বুরাকে। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে বোল্ড করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ইনিংসের নবম ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন নাসির হোসেন। ১৫ রান করা শন উইলিয়ামসকে বোল্ড করেন এই অফ স্পিনার। ফলে ৩৮ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
দ্রুত ৪ উইকেট হারালেও ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রতিরোধ গড়েন ম্যালকম ওয়ালার। মিরপুরে চার-ছক্কার ঝড় তোলেন এই ডানহাতি। ৫টি ছক্কা ও ৩টি চারে মাত্র ২০ বলে তুলে নেন ফিফটি, যা জিম্বাবুয়ের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
অন্য প্রান্তে ক্রেইগ আরভিনকে মাহমুদউল্লাহ বিদায় করলে ভাঙে মাত্র ৩৪ বলে গড়া ৬৭ রানের জুটি। এ জুটিতে ওয়ালারের অবদানই ৫৮ রান!
এরপর একই ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের রানের চাকা থামিয়ে দেন টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত জুবায়ের হোসেন লিখন। প্রথমে লুক জংউইকে এলবিডব্লিউ করার পর নেভিল মাদজিভাকে নাসিরের ক্যাচে পরিণত করেন এই লেগ স্পিনার। জুবায়েরের জোড়া আঘাতে ১০৮ রানে ৭ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
এরপর জিম্বাবুয়ের ইনিংস আর বেশিদূর এগোয়নি। বিধ্বংসী হয়ে ওঠা ওয়ালারকে দলীয় ১২২ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ১২৬ রানে গ্রায়েম ক্রেমারকে বোল্ড করেন আল-আমিন। আর ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে তিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে এলবিডব্লিউ করে সফরকারীদের ইনিংসের ইতি টেনে নেন মুস্তাফিজ।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে ওয়ালারের ব্যাট থেকেই। তার ৩১ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি ছক্কা ও ৪টি চারের মার।
বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি বিন মুর্তজা, আল-আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও অভিষিক্ত জুবায়ের হোসেন ২টি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া নাসির হোসেন ও মাহমুদউল্লাহর ঝুলিতে জমা পড়ে একটি করে উইকেট।
ওয়ানডে সিরিজে একাদশে জায়গা না হলেও আজ টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয় ও জুবায়ের হোসেন লিখন।
আর ওয়ানডে সিরিজে টানা দুই ম্যাচে ফিফটি করা ইমরুল কায়েস টি-টোয়েন্টিতে বাদ পড়েছেন। বাদ পড়েছেন স্পিনার আরাফাত সানীও।
বাংলাদেশ দল:
মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, জুবায়ের হোসেন লিখন, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।
জিম্বাবুয়ে দল:
রেগিস চাকাভা, ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, এল্টন চিগুম্বুরা, ম্যালকম ওয়ালার, গ্রায়েম ক্রেমার, তিনাশে পানিয়াঙ্গারা, লুক জংউই, টেন্ডাই চিসোরো ও নেভিল মাদজিভা।

অনিচ্ছাকৃত শরীরী খেলায় জেরিন


এত দিন পরে বলিউডে ফিরে জোর-জবরদস্তির শিকার হলেন অভিনেত্রী জেরিন খান! তিনি না চাইলেও তাঁর দুর্বলতার সুযোগ নিল এক ক্ষমতাশালী পুরুষ! এই জোর-জবরদস্তির ব্যাপারটা অবশ্য পুরোটাই চিত্রনাট্যনির্ভর! পরিচালক বিশাল পাণ্ডে তাঁর ছবি হেট স্টোরি থ্রির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন ওই ভাবেই!

ছবির গল্পে দেখা যাবে, এক ক্ষমতাশালী পুরুষ জেরিনের জন্য পাগল! তার লালসা এক সময়ে বিপদের মুখে ফেলে জেরিনের সুখী দাম্পত্যকে। বাধ্য হয়ে, আর কোনো রাস্তা খোলা না দেখে জেরিনকে যেতেই হয় সেই পুরুষটির কাছে।

তারপর? একা বাড়িতে স্বাভাবিক ভাবেই সেই পুরুষটির সঙ্গে জেরিনের স্বচ্ছন্দ বোধ না করারই কথা! সেই অস্বাচ্ছন্দ্যের দরুণ সে বেছে নিলেন নেশার পথ! আর, পুরুষটি জেরিনকে নিয়ে গেল শরীরী ভালবাসার দিকে।

রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

ইয়েমেন ও লিবিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে রাশিয়া


antorjatik-somyerkonthosor

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইয়েমেন ও লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। পুতিন বলেছেন, বিশ্বের যেখানেই রুশ নাগরিক থাকুক না কেন তাদের রক্ষা করা তার প্রথম দায়িত্ব। সিরিয়ায় যখন রুশ হামলা জোরদার হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে তখন ইয়েমেন ও লিবিয়ায় রুশ হামলার ইঙ্গিত নিয়ে খবর দিল ডেইলি এক্সেপ্রস।
গত মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও তার আঞ্চলিক ১০টি মিত্র দেশ ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে। অন্যদিকে, সাবেক শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির হত্যার পর লিবিয়ায় কথিত ইসলামপন্থি উগ্রবাদীরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এসব দেশে বহু রুশ নাগরিকের বসবাস রয়েছে।
রাজধানী মস্কোয় ৫ম বিশ্ব স্বদেশি সম্মেলনে পুতিন বলেন, “যেসব মানুষ নানা কারণে রাশিয়ায় বসবাস করেন না, দেশের বাইরে থাকেন তাদের নিশ্চিত থাকা উচিত যে, আমরা সবসময় আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করব তা যদি সিরিয়া, ইয়েমেন কিংবা লিবিয়ার মতো জায়গাও হয়।ইয়েমেনে সৌদি জোটের নৌ ও আকাশ অবরোধ অমান্য করে রাশিয়া সম্প্রতি দুটি ত্রাণবাহী কার্গো বিমান পাঠিয়েছে।