সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৬

সারা দেশ কাঁপিয়ে দিল প্রচণ্ড ভূমিকম্প

.


শীতের শান্ত ভোর। কারও ঘুম ভেঙেছে, কেউবা তখনো ঘুমিয়ে। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি। যাঁরা জেগে ছিলেন, তাঁদের ঠাওরাতে সময় লাগে না—কী ঘটেছে। ঘুমিয়ে থাকা অনেকেই ঝাঁকুনিতে জেগে ওঠেন ধড়মড়িয়ে। তারপর ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এই আতঙ্কের নাম ভূমিকম্প।
আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটা সাত মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ সময় আতঙ্কে অনেকে হুড়মুড়িয়ে বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ভারতের মণিপুর রাজ্যের ইম্ফল থেকে ২৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকা।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, ভারতের স্থানীয় সময় ভোর চারটা ৩৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় ভোর চারটা ৩৬ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। উৎপত্তিস্থল ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে টামেংলং জেলার নোনি গ্রামে।
ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ৩৫৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভূমিকম্পের সময় রিখটার স্কেলে ঢাকায় কম্পনের তীব্রতা ছিল চারের বেশি। মাটির খুব বেশি গভীরে না হওয়ায় কম্পন বেশি অনুভূত হয়েছে। এ ধরনের ভূমিকম্পকে ‘শ্যালো ফোকাস আর্থকোয়েক’ বলা হয়।
ভূমিকম্পে ভারত ও বাংলাদেশে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মানুষের মধ্যে এখনো বিরাজ করছে আতঙ্ক।