শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫
ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এ ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর আহ্বান খালেদা জিয়ার
ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আজ রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপরসন বলেন, “দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, পিরোজপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন” এর প্রভাবে অতি বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। ওইসব অঞ্চলের রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় অধিকাংশ উপজেলাগুলো জেলা শহর থেকে ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত ও নাজুক হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বন্যা আক্রান্ত জনগণ বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাবার, ঔষুধ ও আশ্রয়ের সংকটে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জেনে দেশবাসীর ন্যায় খালেদা জিয়াও উদ্বিগ্ন।
খালেদা জিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত সরকার উল্লেখযোগ্য ত্রাণতৎপরতা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে, এটা খুবই দু:খজনক।
অনতিবিলম্বে দূর্গত এলাকার মানুষদের উদ্ধার এবং তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি, ঔষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন” এর আঘাতে ঘরবাড়ি হারানো অসহায় মানুষদের জন্য অবিলম্বে আবাসনের ব্যবস্থাগ্রহণ করতেও সরকারের প্রতি আহবান জানান খালেদা জিয়া।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইতিমধ্যে দূর্গত অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি। এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আহবান জানান খালেদা জিয়া।
আজ রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপরসন বলেন, “দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, পিরোজপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন” এর প্রভাবে অতি বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। ওইসব অঞ্চলের রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় অধিকাংশ উপজেলাগুলো জেলা শহর থেকে ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত ও নাজুক হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বন্যা আক্রান্ত জনগণ বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাবার, ঔষুধ ও আশ্রয়ের সংকটে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জেনে দেশবাসীর ন্যায় খালেদা জিয়াও উদ্বিগ্ন।
খালেদা জিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত সরকার উল্লেখযোগ্য ত্রাণতৎপরতা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে, এটা খুবই দু:খজনক।
অনতিবিলম্বে দূর্গত এলাকার মানুষদের উদ্ধার এবং তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি, ঔষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন” এর আঘাতে ঘরবাড়ি হারানো অসহায় মানুষদের জন্য অবিলম্বে আবাসনের ব্যবস্থাগ্রহণ করতেও সরকারের প্রতি আহবান জানান খালেদা জিয়া।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইতিমধ্যে দূর্গত অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি। এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আহবান জানান খালেদা জিয়া।
৫০ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দেবে বাহরাইন
বাহরাইনে অবস্থানরত প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মমিনুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। এরআগে অবৈধ বিদেশিদের নির্বিঘ্নে দেশে ফেরত যেতে ছয় মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল বাহরাইন। গত ১ জুলাই থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বলবৎ থাকবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মমিনুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। এরআগে অবৈধ বিদেশিদের নির্বিঘ্নে দেশে ফেরত যেতে ছয় মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল বাহরাইন। গত ১ জুলাই থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বলবৎ থাকবে বলে জানান তিনি।
মাহমুদুর রহমানের কোন অবৈধ সম্পদের হদিস পায়নি দুদক, সম্পদের হিসাব না দেয়ার মামলার রায় ১৩ আগস্ট
মাহমুদুর রহমানের কোন অবৈধ সম্পদের হদিস পায়নি দুদক। বৃহস্পতিবার আদালতে
শুনানিকালে একথা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। ঢাকার আলিয়া মাদরাসা
মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩ এ শুনানিকালে তার আ্ইনজীবীরা বলেন, আইনে আছে
প্রাথমিক অনুসন্ধানে কারও অবৈধ সম্পদের হদিস পেয়ে রিপোর্ট দিলে সেটা
বিবেচনায় নিয়ে সম্পদের হিসাব দেয়ার নোটিশ দিতে পারে দুদক। কিন্তু আদালতে
দুদকের আইনজীবী ও মাহমুদুর রহমানের মামলাল আইও কেউই বলতে পারেননি মাহমুদুর
রহমানের কী অবৈধ সম্পদ আছে, যার ওপর ভিত্তি করে সস্পদের হিসাব দেয়ার নোটিশ
দেয়া হয়েছে। সাক্ষী প্রদানকালে মামলার আইও ও দুদকের উপ-পরিচালক নুর আহম্মেদ
স্পস্ট করেই বলেছেন ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে মাহমুদুর
রহমানের কোন অবৈধ সম্পদের হদিস তারা পাননি। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, মাহমুদুর রহমানের অবৈধ সম্পদ আছে কিনা এটা কোন বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে মাহমুদুর রহমান দুদকের নোটিশ পাওয়ার পরও সম্পদের হিসাব দেননি। এ জন্য তার সবোর্চ্চ সাজা দাবি করেন তিনি। আইনে সম্পদের হিসাব না দিলে ৩ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ছিল শুনানীর শেষ দিন। অ্যাডভোকেট সৈয়দ মিজানুর রহমান,তাজুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেন নিয়ন মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আদালতে উপস্থিতথেকে শুনানি করেন।দুদকের পক্ষে মোমলরফ হোসেন কাজল সম্পানী বক্তব্য রাখেন। মাহমুদুর রহমানের পক্ষে সৈয়দ মিজানুর রহমান শুনানিতে সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে বলেন, দুদক আইনের সেকশন ২৬ এর ১ ধারা অনুযায়ী কোন তথ্যের ভিত্তিতে এবং কোন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক কমিশন বিষয়টি বিবেচনায় চিঠি দিয়েছিল সে বিষয়টি দেখতে হবে। এই প্রসিকিউশনে কমিশন তদন্ত এবং অনুসন্ধান দুটি বিষয় গুলিয়ে ফেলেছে। অনুসন্ধানের চেয়ে তদন্ত শব্দের অর্থ ব্যাপক এবং বিস্তৃত । এখানে তদন্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের পরে কোন ব্যক্তি অসৎ উপায়ে অর্থ উর্পাজন করেছে কিনা বা সম্পদ রয়েছে কিনা এ ধরনের সন্তুষ্টজনক কোন অনুসন্ধান রির্পোট নেই। এমনকি মাননীয় আদালত থেকে অসমাপ্ত অনুসন্ধানকে সমাপ্ত করার জন্য যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তা সমাপ্ত না করেই ‘ তদন্ত’ রির্পোট জমা দিয়েছে।
মামলা দায়ের করার পূর্বে কমিশনের কাছে কোন তদন্ত রির্পোট দাখিল করা হয়নি, মাননীয় আদালত জেরার সময় আ্ইও তা স্বীকার করেছেন। কোন রির্পোট যদি কমিশনের কাছে থাকে তা সন্তষ্টজনক হতে হবে। অনুসন্ধান রির্পোট পর্যন্ত অপক্ষো না করে নুর আহম্মেদকে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে যে অনুসন্ধান করে মাহমুদুর রহমানের এই সম্পদ পাওয়া গেছে। যা কমিশন এই প্রসিকিউশনে বলতে পারেনি।
দীর্ঘ এত বছর ধরেও মাহমুদুর রহমানের জ্ঞাত আয় বর্হিভুত কোন সম্পদ আছে কিনা এ তথ্য কমিশনের কাছে নাই। যদি থাকতো তাহলে জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদ থাকার অপরাধে ক্রিমিনাল কেইস আদালতে করতে পারতো কমিশণ । কিন্তু সম্পদ না পেয়ে নোটিশের জবাব কেন দেয়নি এ জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টা এমন হয়েছে মহামান্য আদালত যে, আপনি নামায পড়েছেন কিন্তু নামাজটা দুই রাকাত পড়ে ওঠে গেলেন কেন ? তার জবাব দিহিতা চাওয়ার মতো। কমিশনের কাছেও বিষয়টা এমন বলেই ওই নোটিশ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
আদালতের কাছে এর আগে বিষয়টা পরিস্কার হয়ে গেছে যে , মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ জারি করার পদ্ধতি ,কিভাবে অ্যাড্রেস করা হয়েছে, পোষ্ট অফিসের ঠিকানায় না দিয়ে চিঠি বিলি করা হয়েছে, অফিসের লোক না গিয়ে চাকরীবিহিন রাস্তার কোন এক লোককে দিয়ে চিঠি কিভাবে পাঠানো হয়েছে, চিঠি পাঠানো হয়েছে এক ঠিকানায়, দেয়া হয়েছে অন্য ঠিকানায়, কিভাবে অতি দ্রুততার সাথে চার্জশীট দেয়া হয়েছে, সব কিছুই একটা বড় ধরনের অস্বাভাবিকতা রয়েছে। এটা একটা খেলনা টাইপের মামলা হয়েছে।
চার্জশীটের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাটারকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে , যেভাবে তড়িঘড়ি করে দাখিল করা হয়েছে তা আলাদিনের দৈত্যর পক্ষেও সম্ভব নয়। এভাবে এক দিনে মঞ্জুরি অর্ডার পাওয়া , বিবরণী টাইপ করা, আদালতের নির্ধারিত টাইমের পরে প্রসিকিউশনে জমা দেয়া , গুলশান থানায দাখিল করা আবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে অফিস ত্যাগ করা । মাত্র ২/৩ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা শহরের মতো জায়গায় এত কাজ করার পেছনে চরম অস্বাভাবিকতাই প্রমান করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মামলা সাজানো হয়েছে এবং চার্জশীট দাাখিল করা হয়েছে।
মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী বলেন, আদালতে দুদকের উপপরিচালক ওমামলার বাদী নুর আহম্মেদকে জেরা করা হয়েছিল। সেখানে বাদীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মাহমুদুর রহমানের জ্ঞাত আয় বর্হিভুত কোন সম্পদের অভিযোগ পেয়েছিলেন কিনা বা কেউ অভিযোগ করেছিলেন কি না ? বাদী বলেছিলেন , না। তার মানে কোন অভিযোগ তথা তথ্য ছিল না। নিজে কোন অনুসন্ধান করেছিলেন কিনা বা কোন অনুসন্ধানী রির্পোট দাখিল করেছিলেন কি না ? তিনি বলেছেন না । এমনকি তাকে অসমাপ্ত অনুসন্ধান সমাপ্ত করতে দেয়া হয়েছিল সেটাও তিনি করেননি। মামলার পূর্বে যদি অনুসন্ধানী রির্পোট থাকে তাহলে ওই প্রতিবেদনটাই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানের এই মামলায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রনয়ন করেননি দাখিল ও করেনি কমিশণ।
যিনি অনুসন্ধান করেছেন বলে কমিশন দাবী করেছে , সেই জহিরুল হুদাকে জেরা করা হলো প্রথম ধাপে । তিনি আদালতে বললেন তিনি অসুস্থ কথা বলতে পারবেন না। আর এই কথাটি তিনি লিখিত বা প্রসিকিউটরের মাধ্যমে বলেননি। আদালতে দাড়িয়ে নিজের মুখে কথা বলেছেন। তিনি কিন্তু নিজের মুখেই কথা বলেছিলেন । এর পরবর্তী তারিখে তাকে ডাকা হলো , তিনি সরকারী তেল পুড়িযে , টিএ বিল নিয়ে আদালতের সামনে এসেছিলেন। অথচ তাকে গাড়ি থেকে নামানো হলো না। আদালতের অনুমতিও কেন নেয়া হলো না ? তিনি কেন সাক্ষী দিতে রাজি হলেন না ? কারন তিনি সাক্ষী দিলে সব অস্বাভাবিকতা বেরিয়ে আসতে পারতো। কার নির্দেশে কিভাবে চার্জশীট দেয়া হলো সেই সত্যটাও বেরিয়ে আসেত পারতো। ১৩৪ আ্যাক্টে বলা হয়েছে মামলায় কতগুলো সাক্ষী থাকবে তার সংখ্যা নির্ধারিত নয়। তবে আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে একটা সাক্ষী নিয়েও সাজা বা খালাস দিতে পারে।
এই মামলায় ২৬ ধারায় প্রসিড করার মতো কোন এভিডেন্স মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে এস্টাব্লিস্ট করতে পারেনি কমিশন। উপ-ধারার ১- আদেশ রয়েছে কমিশনের সন্তুষ্ট ছাড়াই নোটিশ দেয়ার এখতিয়ার নেই। সেই এখতিয়ার বর্হিভ’ত কোন নোটিশের জবাব দিতে নাগরিক বাধ্য নয়। অতএব,২৬র আওতায় মাহমুদুর রহমান পড়েনা। তাই ওই নোটিশের জবাব দিতে তিনি বাধ্য নয়। কমিশনের সাথে তথ্য নেই , সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই, বিবেচনা করার মতো কনক্লুসিভ আ্যাকসেপ্টবেল অনুসন্ধানী রির্পোট নেই। যিনি মামলার বাদী তিনিই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা । সাক্ষীদের জেরায় বারবার চলে এসেছে কোন অদৃশ্য শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলা তৈরী হয়েছে। সব কিছুর ভিত্তিতে এটাই প্রমানিত হয় ম্যালাফিশায় প্রসিকিউশনের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদকেরর আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, আমাদের বক্তব্য হলো দুদক নোটিশ দিয়েছে। মাহমুদুর রহমানের আইনগত দায়িত্ব ছিল তার তার সকল সম্পদের হিসাব দিয়ে নোটিশের জবাব দেয়া। তিনি নোটিশের জবাব দেননি।তিনি অপরাধ করেছেন তার সাজা হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে মাহমদুর রহমানের আইনজীবী হিসাবে তাজুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেন নিয়নও উপস্থিত থেকে শুনানিতে অংশ নেন। আরও উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ এর সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাহেদ চৌধুরী, এম আবদুল্লাহ, বাছির জামাল,বশীর আহমদ, মাহমুদা ডলিসহ আমার দেশ পরিবারের সদস্য ও মাহমুদুর রহমানের সহকর্মী পেশাজাবীরা।
আর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, মাহমুদুর রহমানের অবৈধ সম্পদ আছে কিনা এটা কোন বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে মাহমুদুর রহমান দুদকের নোটিশ পাওয়ার পরও সম্পদের হিসাব দেননি। এ জন্য তার সবোর্চ্চ সাজা দাবি করেন তিনি। আইনে সম্পদের হিসাব না দিলে ৩ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ছিল শুনানীর শেষ দিন। অ্যাডভোকেট সৈয়দ মিজানুর রহমান,তাজুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেন নিয়ন মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আদালতে উপস্থিতথেকে শুনানি করেন।দুদকের পক্ষে মোমলরফ হোসেন কাজল সম্পানী বক্তব্য রাখেন। মাহমুদুর রহমানের পক্ষে সৈয়দ মিজানুর রহমান শুনানিতে সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে বলেন, দুদক আইনের সেকশন ২৬ এর ১ ধারা অনুযায়ী কোন তথ্যের ভিত্তিতে এবং কোন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক কমিশন বিষয়টি বিবেচনায় চিঠি দিয়েছিল সে বিষয়টি দেখতে হবে। এই প্রসিকিউশনে কমিশন তদন্ত এবং অনুসন্ধান দুটি বিষয় গুলিয়ে ফেলেছে। অনুসন্ধানের চেয়ে তদন্ত শব্দের অর্থ ব্যাপক এবং বিস্তৃত । এখানে তদন্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের পরে কোন ব্যক্তি অসৎ উপায়ে অর্থ উর্পাজন করেছে কিনা বা সম্পদ রয়েছে কিনা এ ধরনের সন্তুষ্টজনক কোন অনুসন্ধান রির্পোট নেই। এমনকি মাননীয় আদালত থেকে অসমাপ্ত অনুসন্ধানকে সমাপ্ত করার জন্য যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তা সমাপ্ত না করেই ‘ তদন্ত’ রির্পোট জমা দিয়েছে।
মামলা দায়ের করার পূর্বে কমিশনের কাছে কোন তদন্ত রির্পোট দাখিল করা হয়নি, মাননীয় আদালত জেরার সময় আ্ইও তা স্বীকার করেছেন। কোন রির্পোট যদি কমিশনের কাছে থাকে তা সন্তষ্টজনক হতে হবে। অনুসন্ধান রির্পোট পর্যন্ত অপক্ষো না করে নুর আহম্মেদকে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে যে অনুসন্ধান করে মাহমুদুর রহমানের এই সম্পদ পাওয়া গেছে। যা কমিশন এই প্রসিকিউশনে বলতে পারেনি।
দীর্ঘ এত বছর ধরেও মাহমুদুর রহমানের জ্ঞাত আয় বর্হিভুত কোন সম্পদ আছে কিনা এ তথ্য কমিশনের কাছে নাই। যদি থাকতো তাহলে জ্ঞাত আয় বর্হিভুত সম্পদ থাকার অপরাধে ক্রিমিনাল কেইস আদালতে করতে পারতো কমিশণ । কিন্তু সম্পদ না পেয়ে নোটিশের জবাব কেন দেয়নি এ জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টা এমন হয়েছে মহামান্য আদালত যে, আপনি নামায পড়েছেন কিন্তু নামাজটা দুই রাকাত পড়ে ওঠে গেলেন কেন ? তার জবাব দিহিতা চাওয়ার মতো। কমিশনের কাছেও বিষয়টা এমন বলেই ওই নোটিশ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
আদালতের কাছে এর আগে বিষয়টা পরিস্কার হয়ে গেছে যে , মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ জারি করার পদ্ধতি ,কিভাবে অ্যাড্রেস করা হয়েছে, পোষ্ট অফিসের ঠিকানায় না দিয়ে চিঠি বিলি করা হয়েছে, অফিসের লোক না গিয়ে চাকরীবিহিন রাস্তার কোন এক লোককে দিয়ে চিঠি কিভাবে পাঠানো হয়েছে, চিঠি পাঠানো হয়েছে এক ঠিকানায়, দেয়া হয়েছে অন্য ঠিকানায়, কিভাবে অতি দ্রুততার সাথে চার্জশীট দেয়া হয়েছে, সব কিছুই একটা বড় ধরনের অস্বাভাবিকতা রয়েছে। এটা একটা খেলনা টাইপের মামলা হয়েছে।
চার্জশীটের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাটারকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে , যেভাবে তড়িঘড়ি করে দাখিল করা হয়েছে তা আলাদিনের দৈত্যর পক্ষেও সম্ভব নয়। এভাবে এক দিনে মঞ্জুরি অর্ডার পাওয়া , বিবরণী টাইপ করা, আদালতের নির্ধারিত টাইমের পরে প্রসিকিউশনে জমা দেয়া , গুলশান থানায দাখিল করা আবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে অফিস ত্যাগ করা । মাত্র ২/৩ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা শহরের মতো জায়গায় এত কাজ করার পেছনে চরম অস্বাভাবিকতাই প্রমান করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মামলা সাজানো হয়েছে এবং চার্জশীট দাাখিল করা হয়েছে।
মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী বলেন, আদালতে দুদকের উপপরিচালক ওমামলার বাদী নুর আহম্মেদকে জেরা করা হয়েছিল। সেখানে বাদীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মাহমুদুর রহমানের জ্ঞাত আয় বর্হিভুত কোন সম্পদের অভিযোগ পেয়েছিলেন কিনা বা কেউ অভিযোগ করেছিলেন কি না ? বাদী বলেছিলেন , না। তার মানে কোন অভিযোগ তথা তথ্য ছিল না। নিজে কোন অনুসন্ধান করেছিলেন কিনা বা কোন অনুসন্ধানী রির্পোট দাখিল করেছিলেন কি না ? তিনি বলেছেন না । এমনকি তাকে অসমাপ্ত অনুসন্ধান সমাপ্ত করতে দেয়া হয়েছিল সেটাও তিনি করেননি। মামলার পূর্বে যদি অনুসন্ধানী রির্পোট থাকে তাহলে ওই প্রতিবেদনটাই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানের এই মামলায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রনয়ন করেননি দাখিল ও করেনি কমিশণ।
যিনি অনুসন্ধান করেছেন বলে কমিশন দাবী করেছে , সেই জহিরুল হুদাকে জেরা করা হলো প্রথম ধাপে । তিনি আদালতে বললেন তিনি অসুস্থ কথা বলতে পারবেন না। আর এই কথাটি তিনি লিখিত বা প্রসিকিউটরের মাধ্যমে বলেননি। আদালতে দাড়িয়ে নিজের মুখে কথা বলেছেন। তিনি কিন্তু নিজের মুখেই কথা বলেছিলেন । এর পরবর্তী তারিখে তাকে ডাকা হলো , তিনি সরকারী তেল পুড়িযে , টিএ বিল নিয়ে আদালতের সামনে এসেছিলেন। অথচ তাকে গাড়ি থেকে নামানো হলো না। আদালতের অনুমতিও কেন নেয়া হলো না ? তিনি কেন সাক্ষী দিতে রাজি হলেন না ? কারন তিনি সাক্ষী দিলে সব অস্বাভাবিকতা বেরিয়ে আসতে পারতো। কার নির্দেশে কিভাবে চার্জশীট দেয়া হলো সেই সত্যটাও বেরিয়ে আসেত পারতো। ১৩৪ আ্যাক্টে বলা হয়েছে মামলায় কতগুলো সাক্ষী থাকবে তার সংখ্যা নির্ধারিত নয়। তবে আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে একটা সাক্ষী নিয়েও সাজা বা খালাস দিতে পারে।
এই মামলায় ২৬ ধারায় প্রসিড করার মতো কোন এভিডেন্স মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে এস্টাব্লিস্ট করতে পারেনি কমিশন। উপ-ধারার ১- আদেশ রয়েছে কমিশনের সন্তুষ্ট ছাড়াই নোটিশ দেয়ার এখতিয়ার নেই। সেই এখতিয়ার বর্হিভ’ত কোন নোটিশের জবাব দিতে নাগরিক বাধ্য নয়। অতএব,২৬র আওতায় মাহমুদুর রহমান পড়েনা। তাই ওই নোটিশের জবাব দিতে তিনি বাধ্য নয়। কমিশনের সাথে তথ্য নেই , সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই, বিবেচনা করার মতো কনক্লুসিভ আ্যাকসেপ্টবেল অনুসন্ধানী রির্পোট নেই। যিনি মামলার বাদী তিনিই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা । সাক্ষীদের জেরায় বারবার চলে এসেছে কোন অদৃশ্য শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলা তৈরী হয়েছে। সব কিছুর ভিত্তিতে এটাই প্রমানিত হয় ম্যালাফিশায় প্রসিকিউশনের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদকেরর আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, আমাদের বক্তব্য হলো দুদক নোটিশ দিয়েছে। মাহমুদুর রহমানের আইনগত দায়িত্ব ছিল তার তার সকল সম্পদের হিসাব দিয়ে নোটিশের জবাব দেয়া। তিনি নোটিশের জবাব দেননি।তিনি অপরাধ করেছেন তার সাজা হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে মাহমদুর রহমানের আইনজীবী হিসাবে তাজুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেন নিয়নও উপস্থিত থেকে শুনানিতে অংশ নেন। আরও উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ এর সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাহেদ চৌধুরী, এম আবদুল্লাহ, বাছির জামাল,বশীর আহমদ, মাহমুদা ডলিসহ আমার দেশ পরিবারের সদস্য ও মাহমুদুর রহমানের সহকর্মী পেশাজাবীরা।
শাওলিন মঠের অধ্যক্ষের যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস : রয়েছে অবৈধ সন্তান, মনরঞ্জনের জন্য ভাড়া করতেন পতিতা
দেড় হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো চীনের বিশ্ববিখ্যাত মার্শাল আর্ট কুংফু’র
জন্মস্থান বলে পরিচিত শাওলিন মঠের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বাড়ছে যৌন
কেলেঙ্কারির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তার অবৈধ সন্তানও রয়েছে বলে
সিএনএনসহ চীনের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করেছে। এ নিয়ে দেশটিতে
এখন তোলপাড় চলছে।
শাওলানি মঠটি বহু পুরোনো জেন বৌদ্ধ মতবাদ ও বিশেষ মার্শাল আর্ট চর্চার জন্য বিখ্যাত। গত সপ্তাহান্তের পর থেকে শাওলিনের একজন ভেতরের ব্যাক্তি চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ আনেন। তার দাবি, শাওলিন মঠের অধ্যক্ষ শিং ইয়ংশিন একজন অর্থ আত্মসাৎকারী ও নারীলোভী। তার অবৈধ সন্তানও রয়েছে। এমন অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে চীনে। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। নিজেকে শি ঝেংয়ি হিসেবে আখ্যায়িত করা ওই ব্যাক্তি নিজের অভিযোগের সঙ্গে কিছু নথিপত্রও যুক্ত করেছেন। সেখানে দেখা যায়, ১৯৮০’র দশকের শেষের দিকে অধ্যক্ষ শি ইয়ংশিনকে চুরির অভিযোগে মঠ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার নিজের শিক্ষকরাই তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ এনেছেন। শি ঝেংয়ি নিজের দাবির স্বপক্ষে অন্যান্য প্রমাণের মধ্যে হাজির করেছেন একটি জন্মসনদ। তার মতে, ওই জন্মসনদ অধ্যক্ষ শি ইয়ংশিনের এক উপপতিœর ঘরের সন্তানের। জন্মসনদের সঙ্গে শিশুটি ও তার মায়ের ছবিও রয়েছে। এমন অভিযোগ খুব দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়ছে ইন্টারনেটজুড়ে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও লুফে নিয়েছে এমন খবর। কারণ, চীনে শি ইয়ংশিং একজন জাতীয় মাপের তারকা। তবে শাওলিন মঠের ওয়েবসাইটে রবিবার একটি আক্রমণাত্মক বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এসবকে ‘সাজানো’ বলে দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব মিথ্যা অভিযোগ কেবল অধ্যক্ষের সুনামহানিই করেনি, বরং গোটা মঠের ইমেজহানি হয়েছে। শি ঝেংয়ির বিরুদ্ধে একটি পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছে মঠ কর্তৃপক্ষ। সিএনএন বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও স্থানীয় পুলিশের কোনো বক্তব্য সংগ্রহ করতে পারেনি। শিং ঝেংয়ির সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
তবে ১৯৯৯ সালে মঠের অধ্যক্ষ হবার পর থেকেই ইয়ংশিনের পেছন থেকে অভিযোগ যেন পিছু হটছেই না। রাজনীতি বেশ ভালো বোঝেন তিনি, গণমাধ্যমের সঙ্গেও রয়েছে সখ্য। প্রায়ই বিশ্বনেতা ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত সময় কাটান তিনি। বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ থেকে শুরু করে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক - সবার সঙ্গেই বৈঠক হয়েছে তার। কিন্তু বিব্রতকর খবরের শিরোনাম আগেও হয়েছেন তিনি। যেমন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিলাসবহুল গাড়ি ও ২৫ হাজার ডলার মূল্যমানের পোশাক গ্রহণ। গুঞ্জন রয়েছে, তিনি প্রায়ই পতিতা ভাড়া করেন, রাখেন বহু উপপতœী। তিনি শাওলিনকে একটি ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যাপক কাজ করেছেন। একে প্রতিষ্ঠা করেছেন শত-কোটি ডলারের ব্যবসা হিসেবে। তার এ প্রচেষ্টাও সমালোচনার কুড়িয়েছে। সম্প্রতি তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি শহরে শাওলিনের শাখা খোলার জন্য ৩০ লাখ ডলারের চেক অনুমোদন করেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে, তিনি বলেন, যদি চীন ডিজনি আমদানি করতে পারে, তাহলে কেন অন্য দেশগুলো শাওলিন আমদানি করতে পারবে না?
তবে সাম্প্রতিক অভিযোগগুলো তাকে দুর্নীতিগ্রস্থ ভিক্ষু হিসেবে চিত্রিত করেছে। এমন সময় এ ঘটনা ঘটলো, যখন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুর্নীতি নির্মুলে কঠোর অবস্থান গ্রহণে অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেছেন। ১৩০ কোটি জনগণের দেশটি সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে অনেকদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছে। শি জিনপিং-এর ভাষায়, দুর্নীতি করলে ‘বাঘ থেকে মাছি’ পর্যন্ত কেউই নিস্তার পাবে না। প্রেসিডেন্টের এমন হুঁশিয়ারি যে স্রেফ কথার কথা নয়, তা অনেকেই টেরও পেয়েছে। হাজার হাজার উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী সরকারী কর্মকর্তা ও কম্যুনিস্ট পার্টির নেতা ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে সাজা পেয়েছেন কিংবা গ্রেপ্তার হয়েছেন। চীনের নামেমাত্র পার্লামেন্টে শি ইয়ংশিনও একজন আইনপ্রণেতা। সে হিসেবে তাকেও সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে ধরা যায়। তবে সারাদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পরও তাকে খুব একটা শঙ্কিত মনে হচ্ছে না। চীনা প্রাচীন একটি নীতিবাক্যকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাই দরজায় কড়া নাড়তে থাকা শয়তানের ভয়ে আমি ভীত নই।
শাওলানি মঠটি বহু পুরোনো জেন বৌদ্ধ মতবাদ ও বিশেষ মার্শাল আর্ট চর্চার জন্য বিখ্যাত। গত সপ্তাহান্তের পর থেকে শাওলিনের একজন ভেতরের ব্যাক্তি চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ আনেন। তার দাবি, শাওলিন মঠের অধ্যক্ষ শিং ইয়ংশিন একজন অর্থ আত্মসাৎকারী ও নারীলোভী। তার অবৈধ সন্তানও রয়েছে। এমন অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে চীনে। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। নিজেকে শি ঝেংয়ি হিসেবে আখ্যায়িত করা ওই ব্যাক্তি নিজের অভিযোগের সঙ্গে কিছু নথিপত্রও যুক্ত করেছেন। সেখানে দেখা যায়, ১৯৮০’র দশকের শেষের দিকে অধ্যক্ষ শি ইয়ংশিনকে চুরির অভিযোগে মঠ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার নিজের শিক্ষকরাই তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ এনেছেন। শি ঝেংয়ি নিজের দাবির স্বপক্ষে অন্যান্য প্রমাণের মধ্যে হাজির করেছেন একটি জন্মসনদ। তার মতে, ওই জন্মসনদ অধ্যক্ষ শি ইয়ংশিনের এক উপপতিœর ঘরের সন্তানের। জন্মসনদের সঙ্গে শিশুটি ও তার মায়ের ছবিও রয়েছে। এমন অভিযোগ খুব দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়ছে ইন্টারনেটজুড়ে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও লুফে নিয়েছে এমন খবর। কারণ, চীনে শি ইয়ংশিং একজন জাতীয় মাপের তারকা। তবে শাওলিন মঠের ওয়েবসাইটে রবিবার একটি আক্রমণাত্মক বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এসবকে ‘সাজানো’ বলে দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব মিথ্যা অভিযোগ কেবল অধ্যক্ষের সুনামহানিই করেনি, বরং গোটা মঠের ইমেজহানি হয়েছে। শি ঝেংয়ির বিরুদ্ধে একটি পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছে মঠ কর্তৃপক্ষ। সিএনএন বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও স্থানীয় পুলিশের কোনো বক্তব্য সংগ্রহ করতে পারেনি। শিং ঝেংয়ির সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
তবে ১৯৯৯ সালে মঠের অধ্যক্ষ হবার পর থেকেই ইয়ংশিনের পেছন থেকে অভিযোগ যেন পিছু হটছেই না। রাজনীতি বেশ ভালো বোঝেন তিনি, গণমাধ্যমের সঙ্গেও রয়েছে সখ্য। প্রায়ই বিশ্বনেতা ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত সময় কাটান তিনি। বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ থেকে শুরু করে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক - সবার সঙ্গেই বৈঠক হয়েছে তার। কিন্তু বিব্রতকর খবরের শিরোনাম আগেও হয়েছেন তিনি। যেমন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিলাসবহুল গাড়ি ও ২৫ হাজার ডলার মূল্যমানের পোশাক গ্রহণ। গুঞ্জন রয়েছে, তিনি প্রায়ই পতিতা ভাড়া করেন, রাখেন বহু উপপতœী। তিনি শাওলিনকে একটি ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যাপক কাজ করেছেন। একে প্রতিষ্ঠা করেছেন শত-কোটি ডলারের ব্যবসা হিসেবে। তার এ প্রচেষ্টাও সমালোচনার কুড়িয়েছে। সম্প্রতি তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি শহরে শাওলিনের শাখা খোলার জন্য ৩০ লাখ ডলারের চেক অনুমোদন করেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে, তিনি বলেন, যদি চীন ডিজনি আমদানি করতে পারে, তাহলে কেন অন্য দেশগুলো শাওলিন আমদানি করতে পারবে না?
তবে সাম্প্রতিক অভিযোগগুলো তাকে দুর্নীতিগ্রস্থ ভিক্ষু হিসেবে চিত্রিত করেছে। এমন সময় এ ঘটনা ঘটলো, যখন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুর্নীতি নির্মুলে কঠোর অবস্থান গ্রহণে অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেছেন। ১৩০ কোটি জনগণের দেশটি সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে অনেকদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছে। শি জিনপিং-এর ভাষায়, দুর্নীতি করলে ‘বাঘ থেকে মাছি’ পর্যন্ত কেউই নিস্তার পাবে না। প্রেসিডেন্টের এমন হুঁশিয়ারি যে স্রেফ কথার কথা নয়, তা অনেকেই টেরও পেয়েছে। হাজার হাজার উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী সরকারী কর্মকর্তা ও কম্যুনিস্ট পার্টির নেতা ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে সাজা পেয়েছেন কিংবা গ্রেপ্তার হয়েছেন। চীনের নামেমাত্র পার্লামেন্টে শি ইয়ংশিনও একজন আইনপ্রণেতা। সে হিসেবে তাকেও সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে ধরা যায়। তবে সারাদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পরও তাকে খুব একটা শঙ্কিত মনে হচ্ছে না। চীনা প্রাচীন একটি নীতিবাক্যকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাই দরজায় কড়া নাড়তে থাকা শয়তানের ভয়ে আমি ভীত নই।
ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে : যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রস্তাব
'বাংলাদেশ গোলযোগের মধ্যে রয়েছে। গত বছর
ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পর থেকেই এ দেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে দেখা দিয়েছে
ব্যাপক উদ্বেগ' এমন অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক হাউজ
অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাব কমিটির সদস্য, রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসওমেন তুলসি
গাব্বার্ড।
বুধবার কংগ্রেসে উত্থাপিত এক প্রস্তাবে তিনি ওই অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মানবাধিকার রক্ষায় তৎপরতা বৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা ও জঙ্গি উত্থান প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে তুলসি গাব্বার্ড এ প্রস্তাব তোলার পর বক্তব্য রাখেন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সাব কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসম্যান ম্যাট স্যামন ও একই দলের কংগ্রেসম্যান বব ডোল্ড। বব ডোল্ট বলেন, কোন দেশ তার নাগরিকদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যর্থ হলে তা বরদাশত করা হবে না। বিশ্বের মানবিক মূল্যবোধের বৃহৎ শক্তি হিসেবে সেসব দেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্র একসুরে এই বার্তা পাঠাতে বাধ্য। তুলসি গাব্বার্ড ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশে ঝুঁকিতে থাকা সব সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের প্রতি। তুলসি গাব্বার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রেস রিলিজ ও টুইটারে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে হিন্দু সম্প্রদায়ের একমাত্র সদস্য এই তুলসি গাব্বার্ড। তিনি কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, আমি বিশেষ করে ধর্মীয় স্বাধীনতা, বিশেষ করে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্তরা প্রায়ই থেকে যাচ্ছে শাস্তির বাইরে। এসব সংখ্যালঘুদের ওপর যারা সহিংসতা উসকে দিচ্ছে ও সংঘটিত করছে তাদেরকে থামাতে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। এই প্রস্তাবে সংখ্যালঘু সহ সব নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদশে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাস শক্তিশালী করতে ও কট্টরপন্থি গ্রুপগুলোকে প্রতিহত করতে হবে সরকারকে। কংগ্রেসম্যান ম্যাট স্যামন বলেন, আমরা আশা করি মানবিক মূল্যবোধ, মুক্তমত ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার প্রতি সম্মান দেখাবে বাংলাদেশ। সব নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও রাজনৈতিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
বুধবার কংগ্রেসে উত্থাপিত এক প্রস্তাবে তিনি ওই অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মানবাধিকার রক্ষায় তৎপরতা বৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা ও জঙ্গি উত্থান প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে তুলসি গাব্বার্ড এ প্রস্তাব তোলার পর বক্তব্য রাখেন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সাব কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসম্যান ম্যাট স্যামন ও একই দলের কংগ্রেসম্যান বব ডোল্ড। বব ডোল্ট বলেন, কোন দেশ তার নাগরিকদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যর্থ হলে তা বরদাশত করা হবে না। বিশ্বের মানবিক মূল্যবোধের বৃহৎ শক্তি হিসেবে সেসব দেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্র একসুরে এই বার্তা পাঠাতে বাধ্য। তুলসি গাব্বার্ড ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশে ঝুঁকিতে থাকা সব সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের প্রতি। তুলসি গাব্বার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রেস রিলিজ ও টুইটারে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে হিন্দু সম্প্রদায়ের একমাত্র সদস্য এই তুলসি গাব্বার্ড। তিনি কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, আমি বিশেষ করে ধর্মীয় স্বাধীনতা, বিশেষ করে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্তরা প্রায়ই থেকে যাচ্ছে শাস্তির বাইরে। এসব সংখ্যালঘুদের ওপর যারা সহিংসতা উসকে দিচ্ছে ও সংঘটিত করছে তাদেরকে থামাতে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। এই প্রস্তাবে সংখ্যালঘু সহ সব নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদশে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাস শক্তিশালী করতে ও কট্টরপন্থি গ্রুপগুলোকে প্রতিহত করতে হবে সরকারকে। কংগ্রেসম্যান ম্যাট স্যামন বলেন, আমরা আশা করি মানবিক মূল্যবোধ, মুক্তমত ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার প্রতি সম্মান দেখাবে বাংলাদেশ। সব নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও রাজনৈতিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
বৃষ্টির বাগড়ায় দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটা বেশ ভালোভাবেই শেষ হয়েছিল। খেলা হয়েছিল ৮৮.১
ওভার। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে একটি বলও মাঠে গড়াল
না। পুরো দিনের খেলাই পরিত্যক্ত হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকার আকাশ কেঁদে চলেছে। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডের বেশিরভাগ অংশই ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ৯টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। প্রথম সেশনের খেলাই পণ্ড হয়ে যায়। এর পরও বৃষ্টি না থামায় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এদিন দুই দল মাঠেই আসেনি। হোটেলেই রয়েছে তারা।
প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪৬ রান। দিনের শেষ বলে আউট হন মোহাম্মদ শহীদ। ১৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন নাসির হোসেন। প্রথম দিন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ডেল স্টেইন ও জেপি ডুমিনি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
এর আগে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টেও বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছিল। বৃষ্টিতে শেষ দুই দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ায় নিষ্প্রাণ ড্র হয় ম্যাচটি। ফলে ঢাকা টেস্ট সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এখানেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেরসিক বৃষ্টি।
শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকার আকাশ কেঁদে চলেছে। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডের বেশিরভাগ অংশই ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ৯টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। প্রথম সেশনের খেলাই পণ্ড হয়ে যায়। এর পরও বৃষ্টি না থামায় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এদিন দুই দল মাঠেই আসেনি। হোটেলেই রয়েছে তারা।
প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪৬ রান। দিনের শেষ বলে আউট হন মোহাম্মদ শহীদ। ১৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন নাসির হোসেন। প্রথম দিন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ডেল স্টেইন ও জেপি ডুমিনি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
এর আগে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টেও বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছিল। বৃষ্টিতে শেষ দুই দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ায় নিষ্প্রাণ ড্র হয় ম্যাচটি। ফলে ঢাকা টেস্ট সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এখানেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেরসিক বৃষ্টি।
দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় কোমেন স্থল নিম্নচাপে পরিণত : ৭ থেকে নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় কোমেন এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটা এখন নোয়াখালী ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজ সমূহকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজ সমূহকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫
ইনিংস বড় হচ্ছে না বাংলাদেশের
৩০,৪০, ৩৫,৩৫—এই চারটি সংখ্যা ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের শীর্ষ
চার ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত স্কোর। ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ
ও সাকিব আল হাসান—এই চারজনই আজ নিজেদের ইনিংসের শক্তি ভিত্তি গড়ে
তুলেছিলেন। উইকেটে জমে গিয়েছিলেন দারুণভাবেই। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের
বিপক্ষে বুক চিতিয়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই চারজনই। কিন্তু চারজনই
কেন যেন তাঁদের ব্যক্তিগত ইনিংস বড় করতে পারেননি। নিজেদের আরও মেলে ধরার
সময়ই এঁরা চারজনই বিদায় নিয়েছেন দলকে বিপদে ফেলে দিয়ে।
এই চারটি সংখ্যার সঙ্গে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৬৫-কেও নিয়ে আসুন। মুশফিকুর রহিমও ছিলেন বড় ইনিংস গড়ার পথেই। তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর আউটের সিদ্ধান্তটি নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু তারপরেও তো তিনি আউট। বড় সংগ্রহ না গড়েই আউট। সেট ব্যাটসম্যানদের অসময়ে বিদায় নেওয়ার এই প্রবণতা আজ ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটাকে আক্ষেপের একটা দিনেই পরিণত করে দিল। প্রোটিয়া বোলারদের চাপে ফেলার সুযোগটা যেখানে ছিল, সেখানে ৮৮.১ ওভার খেলে ২৪৬ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে উল্টো দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় বাংলাদেশ দল।
ডেল স্টেইন আর জেপি ডুমিনি দুজন মিলেনই আজ ভেঙেছেন বাংলাদেশের মেরুদণ্ড। কিন্তু স্টেইনের আধিপত্যটা মেনে নেওয়া গেলেও ডুমিনির প্রভাবটা কিন্তু ঠিক মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ঠিক যেমন মানা যাচ্ছে না ডিন এলগারকে উইকেট উপহার দেওয়ার ব্যাপারটি। আট উইকেটের মধ্যে কতটি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে প্রোটিয়া বোলাররা উপহার পেয়েছেন, তার একটি তাত্ত্বিক হিসাবও নেওয়া যেতে পারে।
দিনের শুরুতেই স্টেইনের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের একটি বল তাড়া করে নিজের উইকেটটি বিলিয়ে দিয়ে আসেন তামিম ইকবাল। এই উইকেটেই ‘ক্লাব ৪০০ ’র গর্বের জায়গাটা নিজের করে ফেলেন এই প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার। এরপর মুমিনুল, ইমরুল, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, লিটন—আউটগুলো দেখে মনেই হয়নি যে এগুলো পেতে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয়েছে প্রোটিয়া বোলারদের।
তামিমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ একটা জুটি গড়েছিলেন মুমিনুল হক ও ইমরুল কায়েস। ৬৯ রানের এই জুটিটি মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক পরপরই ভেঙে যায় মুমিনুলের ফেরায়। ডুমিনির অফ স্টাম্পের বাইরের ওই বলটি খোঁচা যদি মুমিনুল না দিতেন, তাহলে নিজের ৪০ রানের ইনিংসটি বড় হতেই পারত। ডুমিনির উইকেট সোজা ধেয়ে আসা একটি বলে ইমরুল এলবির ফাঁদে পড়লেন ব্যক্তিগত ৩০ রানে। সেট হয়ে যাওয়ার পর ওই ঢংয়ে ফেরাটা যেকোনো শীর্ষ পর্যায়ের ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে দৃষ্টিকটু। সাজঘরে ফিরে এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই কোচের কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে। চট্টগ্রামেও নিজের ইনিংসটি এমন পর্যায়েই থেমে যেতে দেখেছেন ইমরুল। ব্যাপারটি নিয়ে অবশ্যই তাঁর কাজ করার অনেক কিছু আছে।
মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহর জুটিটি আধিপত্য ছড়িয়েছিল প্রোটিয়াদের ওপর। ৩৫ রানে স্টেইনের কিছুটা রিভার্স হয়ে যাওয়া বলে ফ্লিক খেলে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনেন তিনি। শর্ট মিড উইকেটে ডেম্বা বাভুমার উপস্থিতি কী বেমালুম চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল মাহমুদউল্লাহর? সাকিবও ফিরলেন মরকেলের বলে পুরোপুরি সেট হয়ে। লিটন ডুমিনিকে তাঁর তৃতীয় উইকেটটি যেভাবে উপহার দিলেন, তার ফুটেজ দেখে তিনি নিশ্চয়ই লজ্জা পেয়ে যাবেন।
মুশফিকুর রহিম নিজেকে দুর্ভাগ্য ভাবতেই পারেন। দুর্ভাগ্য অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমেরও। দারুণ ব্যাট করছিলেন তিনি। দীর্ঘ রান খরার পর আজ রানের বৃষ্টিতে ভিজছিলেন বাংলাদেশের ‘লিটল মাস্টার।’ কিন্তু ৬৫ রানে উইকেটের পেছনে ধরা পড়লেন তিনি ডিন এলগারের বলে। নিজের আউটের রিভিউও চেয়েছিলেন তিনি। বলটি মুশফিকের গ্লাভস বা ব্যাট ছুঁয়ে বাঁক খেয়ে উইকেট রক্ষকের কাছে গেছে কিনা, রিভিউয়ে দেখার বিষয় ছিল ওটাই। দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখেও তৃতীয় আম্পায়ার খুব যে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছেন, তা কিন্তু বলা যায় না। কিন্তু তারপরেও তিনি আউট। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মুশফিকুর রহিম যে খুব খুশি হয়েছেন-এ কথা কিন্তু বলা যায় না।
তাইজুলের বদলে দলে জায়গা পাওয়া নাসির হোসেনই এই মুহূর্তে ভরসা হয়ে আছেন বাংলাদেশের জন্য। কাল সকালে যখন নাসির মাঠে নামবেন আবার তখন সঙ্গী হিসেবে পাবেন মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেনকে। এই দুজনকে নিয়ে নাসির দলকে কতটা টেনে নিয়ে যেতে পারেন, দেখার বিষয় এখন এটিই।
এই চারটি সংখ্যার সঙ্গে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৬৫-কেও নিয়ে আসুন। মুশফিকুর রহিমও ছিলেন বড় ইনিংস গড়ার পথেই। তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর আউটের সিদ্ধান্তটি নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু তারপরেও তো তিনি আউট। বড় সংগ্রহ না গড়েই আউট। সেট ব্যাটসম্যানদের অসময়ে বিদায় নেওয়ার এই প্রবণতা আজ ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটাকে আক্ষেপের একটা দিনেই পরিণত করে দিল। প্রোটিয়া বোলারদের চাপে ফেলার সুযোগটা যেখানে ছিল, সেখানে ৮৮.১ ওভার খেলে ২৪৬ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে উল্টো দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় বাংলাদেশ দল।
ডেল স্টেইন আর জেপি ডুমিনি দুজন মিলেনই আজ ভেঙেছেন বাংলাদেশের মেরুদণ্ড। কিন্তু স্টেইনের আধিপত্যটা মেনে নেওয়া গেলেও ডুমিনির প্রভাবটা কিন্তু ঠিক মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ঠিক যেমন মানা যাচ্ছে না ডিন এলগারকে উইকেট উপহার দেওয়ার ব্যাপারটি। আট উইকেটের মধ্যে কতটি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে প্রোটিয়া বোলাররা উপহার পেয়েছেন, তার একটি তাত্ত্বিক হিসাবও নেওয়া যেতে পারে।
দিনের শুরুতেই স্টেইনের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের একটি বল তাড়া করে নিজের উইকেটটি বিলিয়ে দিয়ে আসেন তামিম ইকবাল। এই উইকেটেই ‘ক্লাব ৪০০ ’র গর্বের জায়গাটা নিজের করে ফেলেন এই প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার। এরপর মুমিনুল, ইমরুল, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, লিটন—আউটগুলো দেখে মনেই হয়নি যে এগুলো পেতে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয়েছে প্রোটিয়া বোলারদের।
তামিমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ একটা জুটি গড়েছিলেন মুমিনুল হক ও ইমরুল কায়েস। ৬৯ রানের এই জুটিটি মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক পরপরই ভেঙে যায় মুমিনুলের ফেরায়। ডুমিনির অফ স্টাম্পের বাইরের ওই বলটি খোঁচা যদি মুমিনুল না দিতেন, তাহলে নিজের ৪০ রানের ইনিংসটি বড় হতেই পারত। ডুমিনির উইকেট সোজা ধেয়ে আসা একটি বলে ইমরুল এলবির ফাঁদে পড়লেন ব্যক্তিগত ৩০ রানে। সেট হয়ে যাওয়ার পর ওই ঢংয়ে ফেরাটা যেকোনো শীর্ষ পর্যায়ের ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে দৃষ্টিকটু। সাজঘরে ফিরে এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই কোচের কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে। চট্টগ্রামেও নিজের ইনিংসটি এমন পর্যায়েই থেমে যেতে দেখেছেন ইমরুল। ব্যাপারটি নিয়ে অবশ্যই তাঁর কাজ করার অনেক কিছু আছে।
মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহর জুটিটি আধিপত্য ছড়িয়েছিল প্রোটিয়াদের ওপর। ৩৫ রানে স্টেইনের কিছুটা রিভার্স হয়ে যাওয়া বলে ফ্লিক খেলে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনেন তিনি। শর্ট মিড উইকেটে ডেম্বা বাভুমার উপস্থিতি কী বেমালুম চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল মাহমুদউল্লাহর? সাকিবও ফিরলেন মরকেলের বলে পুরোপুরি সেট হয়ে। লিটন ডুমিনিকে তাঁর তৃতীয় উইকেটটি যেভাবে উপহার দিলেন, তার ফুটেজ দেখে তিনি নিশ্চয়ই লজ্জা পেয়ে যাবেন।
মুশফিকুর রহিম নিজেকে দুর্ভাগ্য ভাবতেই পারেন। দুর্ভাগ্য অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমেরও। দারুণ ব্যাট করছিলেন তিনি। দীর্ঘ রান খরার পর আজ রানের বৃষ্টিতে ভিজছিলেন বাংলাদেশের ‘লিটল মাস্টার।’ কিন্তু ৬৫ রানে উইকেটের পেছনে ধরা পড়লেন তিনি ডিন এলগারের বলে। নিজের আউটের রিভিউও চেয়েছিলেন তিনি। বলটি মুশফিকের গ্লাভস বা ব্যাট ছুঁয়ে বাঁক খেয়ে উইকেট রক্ষকের কাছে গেছে কিনা, রিভিউয়ে দেখার বিষয় ছিল ওটাই। দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখেও তৃতীয় আম্পায়ার খুব যে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছেন, তা কিন্তু বলা যায় না। কিন্তু তারপরেও তিনি আউট। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মুশফিকুর রহিম যে খুব খুশি হয়েছেন-এ কথা কিন্তু বলা যায় না।
তাইজুলের বদলে দলে জায়গা পাওয়া নাসির হোসেনই এই মুহূর্তে ভরসা হয়ে আছেন বাংলাদেশের জন্য। কাল সকালে যখন নাসির মাঠে নামবেন আবার তখন সঙ্গী হিসেবে পাবেন মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেনকে। এই দুজনকে নিয়ে নাসির দলকে কতটা টেনে নিয়ে যেতে পারেন, দেখার বিষয় এখন এটিই।
আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে পারছে না বড় দুদলই
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে
পারছে না দেশের বড় দুটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
দল (বিএনপি)। সময় শেষ হওয়ার একদিন আগে আজ বৃহস্পতিবার বাড়তি সময় চেয়েছে দুই
দলই।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসির কাছে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। তবে আজ ৩০ জুলাই পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
বাড়তি সময় চেয়ে আবেদনের পর কমিশন আওয়ামী লীগকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি সময় চেয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ ব্যাপারে কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কিছু জানানো হয়নি।
গত বছর বিএনপি কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেয় ১৪ আগস্ট। এবার সময় বাড়ানোর আবেদন প্রসঙ্গে বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার দলের পক্ষ থেকে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সময় চাওয়ার বিষয়টি নিয়মের মধ্যেই আছে। এর আগে রমজান ও ঈদের ব্যস্ততা ছিল। বর্তমানে দলের মহাসচিব চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আছেন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মহাসচিবের সই প্রয়োজন। সব মিলিয়ে দলের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। কমিশন এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
২০০৮ সালের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালার ৯ (খ) তে নিবন্ধনের শর্ত পরিপালন সম্পর্কে কমিশনকে অবহিতকরণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রতিবছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। একটি রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে অডিট করে অডিট প্রতিবেদনের কপি কমিশনে দাখিল করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কোনো দল পরপর তিনবার কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো তথ্য সরবরাহ না করলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে কমিশন।
কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের কাছে আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন দাখিল করতে আইনগতভাবে বাধ্য। তবে প্রতিবারের মতো এবারও প্রধান দুটি দলসহ বেশ কিছু দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আইনে সময় বাড়ানোর কথা বলা নেই। তবে বিষয়টি কমিশনের এখতিয়ারে আছে। কমিশন বিভিন্ন বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে সময় বাড়ায়। এবারও সময় বাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাল ৩১ জুলাই শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বিষয়টি হয়তো বিবেচনা করবে কমিশন।
কমিশনে খোঁজ নিয়ে আজ বিকেল পর্যন্ত কমিশনের নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মোট ৩১টি দলের অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে। কমিশনও অন্য দলগুলোর অবস্থান জানে না বলে জানালেন আরেকজন কর্মকর্তা।
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বড় দুইটি দলের পাশাপাশি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে। তবে কমিশন আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কয়টি দলের আবেদনে সময় বাড়িয়েছে সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), জাতীয় পার্টি (জেপি), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি, খেলাফত মজলিস, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বি জে পি, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ইসির কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসির কাছে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। তবে আজ ৩০ জুলাই পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
বাড়তি সময় চেয়ে আবেদনের পর কমিশন আওয়ামী লীগকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি সময় চেয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ ব্যাপারে কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কিছু জানানো হয়নি।
গত বছর বিএনপি কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেয় ১৪ আগস্ট। এবার সময় বাড়ানোর আবেদন প্রসঙ্গে বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার দলের পক্ষ থেকে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সময় চাওয়ার বিষয়টি নিয়মের মধ্যেই আছে। এর আগে রমজান ও ঈদের ব্যস্ততা ছিল। বর্তমানে দলের মহাসচিব চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আছেন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মহাসচিবের সই প্রয়োজন। সব মিলিয়ে দলের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। কমিশন এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
২০০৮ সালের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালার ৯ (খ) তে নিবন্ধনের শর্ত পরিপালন সম্পর্কে কমিশনকে অবহিতকরণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রতিবছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। একটি রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে অডিট করে অডিট প্রতিবেদনের কপি কমিশনে দাখিল করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কোনো দল পরপর তিনবার কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো তথ্য সরবরাহ না করলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে কমিশন।
কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের কাছে আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন দাখিল করতে আইনগতভাবে বাধ্য। তবে প্রতিবারের মতো এবারও প্রধান দুটি দলসহ বেশ কিছু দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আইনে সময় বাড়ানোর কথা বলা নেই। তবে বিষয়টি কমিশনের এখতিয়ারে আছে। কমিশন বিভিন্ন বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে সময় বাড়ায়। এবারও সময় বাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাল ৩১ জুলাই শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বিষয়টি হয়তো বিবেচনা করবে কমিশন।
কমিশনে খোঁজ নিয়ে আজ বিকেল পর্যন্ত কমিশনের নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মোট ৩১টি দলের অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে। কমিশনও অন্য দলগুলোর অবস্থান জানে না বলে জানালেন আরেকজন কর্মকর্তা।
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বড় দুইটি দলের পাশাপাশি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে। তবে কমিশন আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কয়টি দলের আবেদনে সময় বাড়িয়েছে সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), জাতীয় পার্টি (জেপি), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি, খেলাফত মজলিস, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বি জে পি, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ইসির কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে।
সুন্দরবনের বাঘ পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে গেছে, বেড়ানো শেষে চলে আসবে : বললেন বনমন্ত্রী
সুন্দরবনের বাঘ কোনোদিনই বিলুপ্ত হবে না দাবি করে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার
হোসেন মঞ্জু বলেছেন, কে বলেছে বাঘ কমে গেছে? বাঘ পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে
বেড়াতে গেছে। বেড়ানো শেষে আবার চলে আসবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিশ্ব বাঘ দিবস ও মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত বাঘের পরিসংখ্যানটি সঠিক নয়। পরিসংখ্যান যারা দেয় তারাও সত্যবাদি নন। আমার আত্মীয়স্বজনরা সুন্দরবনে বেড়ানো শেষে বলে বাঘ দেখে এসেছি। তখন পরিসংখ্যানকারীদের জিজ্ঞেস করলে বলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে এসেছি। এই হলো বাঘ দেখার পরিস্থিতি। পায়ের ছাপ দেখে ও ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ কখনই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বাঘ রক্ষার জন্য বিশ্ব ব্যাংক, ইউরোপিয় ইউনিয়ানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মহল দায়িত্বে আছে। কিন্তু যখন বাঘ বিলুপ্তির পথে তখন আমাদের দায়ী করা হয়। এই অনুষ্ঠানে তাদের নিয়ে আসা প্রয়োজন ছিল।
অনুষ্ঠানে বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ ইসলাম আল জ্যাকব, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার রাকিবুর রহমান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল ঢাকা বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাংলাদেশ অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টাইন ই কিমস।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিশ্ব বাঘ দিবস ও মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত বাঘের পরিসংখ্যানটি সঠিক নয়। পরিসংখ্যান যারা দেয় তারাও সত্যবাদি নন। আমার আত্মীয়স্বজনরা সুন্দরবনে বেড়ানো শেষে বলে বাঘ দেখে এসেছি। তখন পরিসংখ্যানকারীদের জিজ্ঞেস করলে বলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে এসেছি। এই হলো বাঘ দেখার পরিস্থিতি। পায়ের ছাপ দেখে ও ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ কখনই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বাঘ রক্ষার জন্য বিশ্ব ব্যাংক, ইউরোপিয় ইউনিয়ানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মহল দায়িত্বে আছে। কিন্তু যখন বাঘ বিলুপ্তির পথে তখন আমাদের দায়ী করা হয়। এই অনুষ্ঠানে তাদের নিয়ে আসা প্রয়োজন ছিল।
অনুষ্ঠানে বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ ইসলাম আল জ্যাকব, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার রাকিবুর রহমান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল ঢাকা বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাংলাদেশ অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টাইন ই কিমস।
তরুণীদের জিম্মি করে যৌনকাজে বাধ্য করাতো ওরা
স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সহযোগীরা মিলে তরুণীদের
জিম্মি করে যৌনকাজে বাধ্য করাতো। নানা কৌশলে ফাঁদে ফেলে তরুণীদের আনা হতো
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায়। তাদের ফাঁদ থেকে এক তরুণী পালিয়ে খবর দিলে
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে।
চান্দগাঁও এলাকায় বুধবার গভীর রাতে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নগরীর চান্দগাঁও থানার ফরিদাপাড়া এলাকার বদিউল আলম (৩৫) ও তার স্ত্রী মণি বেগম (৩২), বদিউলের সহযোগী বেবি আক্তার (৩০), ওমর ফারুক (২৫), আরিফুল ইসলাম (১৯), আবু তালেব (৪৫) ও মো. আলমাস (৩০)।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন জানান, গত ২৬ জুলাই বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে এক তরুণীকে ফাঁদে ফেলে নিয়ে যায় বদিউলের লোকজন। পরে ওই তরুণীকে চান্দগাঁও থানার ফরিদাপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় রেখে জোর করে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। বুধবার তরুণী সেখান থেকে পালিয়ে এসে তার ভাইকে ঘটনা জানালে তিনি বাকলিয়া থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে বুধবার গভীর রাতে পুলিশ ফরিদাপাড়ায় বদিউলের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বদিউলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে বদিউলের দেওয়া তথ্যমতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের আরো ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানান, গ্রেফতারকৃত বদিউল ও তার স্ত্রী মিলে যৌন ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। বদিউলের সহযোগীরা নানা কৌশলে ফাঁদ ফেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণীদের এনে জিম্মি করে বিভিন্ন ভাড়া বাসায় রেখে যৌনকাজে বাধ্য করাতো।
তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
চান্দগাঁও এলাকায় বুধবার গভীর রাতে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নগরীর চান্দগাঁও থানার ফরিদাপাড়া এলাকার বদিউল আলম (৩৫) ও তার স্ত্রী মণি বেগম (৩২), বদিউলের সহযোগী বেবি আক্তার (৩০), ওমর ফারুক (২৫), আরিফুল ইসলাম (১৯), আবু তালেব (৪৫) ও মো. আলমাস (৩০)।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন জানান, গত ২৬ জুলাই বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে এক তরুণীকে ফাঁদে ফেলে নিয়ে যায় বদিউলের লোকজন। পরে ওই তরুণীকে চান্দগাঁও থানার ফরিদাপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় রেখে জোর করে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। বুধবার তরুণী সেখান থেকে পালিয়ে এসে তার ভাইকে ঘটনা জানালে তিনি বাকলিয়া থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে বুধবার গভীর রাতে পুলিশ ফরিদাপাড়ায় বদিউলের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বদিউলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে বদিউলের দেওয়া তথ্যমতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের আরো ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানান, গ্রেফতারকৃত বদিউল ও তার স্ত্রী মিলে যৌন ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। বদিউলের সহযোগীরা নানা কৌশলে ফাঁদ ফেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণীদের এনে জিম্মি করে বিভিন্ন ভাড়া বাসায় রেখে যৌনকাজে বাধ্য করাতো।
তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
পাবনার বেড়ায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই যুবক আটক
পাবনার বেড়ায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত
নয়টার দিকে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশী
পিস্তল, ১৪ রাউন্ড গুলি ও দুইটি ম্যাগজিন। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার হাটুরিয়া
পূর্বপাড়া গ্রামের আবু বকর শেখের ছেলে রেজুয়ান হোসেন (৩৫) ও নতুন
পেঁচাকোলা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০)। বেড়া থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে দুই
পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে-এমন সংবাদের ভিত্তিতে
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। এ সময় একটি বিদেশী তৈরী পিস্তল, ১৪টি গুলি ও
২টি ম্যাগজিন সহ উল্লেখিত দুইজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় আটকৃকতদের বিরুদ্ধে
পুলিশ বাদি একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চললে বলেও জানান ওসি।
পাবনায় নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালা
পাবনা সদর উপজেলার আফুরিয়ায় নিষিদ্ধ ও জনস্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর পলিথিন
কারখানা আবিস্কার করেছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ম্যাজিষ্ট্রেটের
উপস্থিতিতে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী
অফিসার রায়হানা ইসলাম ও র্যাব পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আজমল
হোসেন খানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে আফুরিয়ার পূর্বপাড়ার
মানিক হোসেনের মালিকানাধীন মানিক এন্ড ব্রাদার্স নামের পলিথিন কারখানায়
মালিককে না পেয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
তাইজুলের জায়গায় নাসির
একটা সময় ব্যাট হাতে ইনিংস ‘ফিনিশ’ করে আসতেন। এখন ভূমিকা কিছুটা বদলেছে।
প্রতিপক্ষকে ‘ফিনিশ’ করতে নাসিরের প্রধান অস্ত্র বল। গত কয়েকটা সিরিজে বল
হাতে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। তবে সবগুলোই সীমিত ওভারের ম্যাচে। এ বছর এখনো
টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি। আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ
টেস্টে নাসিরের একাদশে থাকার ভালো সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে টিম
ম্যানেজমেন্ট সূত্রে।
আজ সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও একটি পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন। তবে পরিবর্তনটি কে, সেটি খোলাসা করেননি। আসলে চূড়ান্ত একাদশ আগামীকাল সকালে নির্ধারিত হবে। তবে আপাতত টিম ম্যানেজমেন্ট যেভাবে ভাবছে, তাতে প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলের সাদা পোশাক আবার গায়ে চড়তে পারে নাসিরের। সে ক্ষেত্রে একাদশের বাইরে চলে যেতে পারেন তাইজুল ইসলাম।
নাসির নাকি সৌম্য সরকার—এই দোদুল্যমানতার কারণেই নাকি এখনো নিশ্চিত হয়নি একাদশ। আজ টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমাদের যেহেতু পাঁচজন স্পিনার আছেই, সে দিক দিয়ে চিন্তা করলে একজন পেসার বা একজন ব্যাটসম্যান সেরা একাদশে ঢুকেও যেতে পারে।’ এ ক্ষেত্রে সৌম্যের প্রবল সম্ভাবনা।
নাসির সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছরে সেপ্টেম্বরে। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে পরে জাতীয় দল থেকেই ছিটকে পড়লেন। বিশ্বকাপ দিয়ে দলে ফিরলেও এ বছর বাংলাদেশের খেলা চার টেস্টের একটিতেও ছিলেন না। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বোলার হিসেবেও আস্থার একটা জায়গা তৈরি করেছেন। গত আট ওয়ানডেতে পেয়েছেন ৮ উইকেট, ইকোনমি ৩.৯৭।
দলের বেশ কটি জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল বোলার নাসিরের। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু এনে দিয়েছিলেন নাসিরই। ওই ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচেও বল হাতে নাসির ছিলেন দুর্দান্ত। ৮ ওভারে ২৬ রানে পেয়েছিলেন ৩ উইকেট।
ধীরে ধীরে দলের অপরিহার্য বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন নাসির, স্পষ্ট বোলিং ফিগারেই। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পুরো ১০ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটো টি-টোয়েন্টিতেও পুরো চার ওভারের কোটা পূরণ করেছেন। তাঁর স্পিন প্রোটিয়াদের ভুগিয়েছেও। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান নিয়মিত দিয়ে চলেছেন।
সর্বশেষ চার ইনিংসে ২ উইকেট নেওয়া তাইজুলের বদলি হিসেবে নাসিরকে দলে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আরেকটি কারণে। বাংলাদেশের সামনে টেস্ট সিরিজটা ড্র করার সুবর্ণ সুযোগ। টেস্টের এক নম্বর দলের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করাতে পারলে রেটিং পয়েন্ট বেড়ে হয়ে যাবে ৪৭। এই সিরিজের আগে যেটি ছিল ৪১। বাংলাদেশ তাই আবারও আট ব্যাটসম্যানের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ওয়ানডের সিরিজ সেরা সৌম্যই হয়তো ভালো বিকল্প হতেন। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৮ রানে অলআউট করে দেওয়া বাংলাদেশ বোলিংয়েও ভারসাম্য হারাতে চায় না।
এ কারণেই সৌম্যর বদলে নাসিরের ভালো সুযোগ আছে। কিন্তু ওই ভারসাম্যের প্রশ্নেই ‘খারাপ করলেই ছেঁটে ফেলো’ নীতির বিপক্ষে টিম ম্যানেজমেন্টের একটি অংশ। দ্রুত তরবারির কোপ দেওয়ার বদলে সুযোগ দিয়ে আস্থা তৈরি করাটাই ভালো ফল দেয়, তার প্রমাণ নিকট অতীত মাহমুদউল্লাহ-তামিমরাই দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই ১০ উইকেট নেওয়া তাইজুলকে তাই আস্থার সংকটে না ফেলারও পক্ষে।
তবে র্যাঙ্কিংয়ের সমীকরণটাই শেষ পর্যন্ত একাদশে ঢুকিয়ে দিতে পারে নাসিরকে। কিংবা সৌম্যকেও!
আজ সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও একটি পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন। তবে পরিবর্তনটি কে, সেটি খোলাসা করেননি। আসলে চূড়ান্ত একাদশ আগামীকাল সকালে নির্ধারিত হবে। তবে আপাতত টিম ম্যানেজমেন্ট যেভাবে ভাবছে, তাতে প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলের সাদা পোশাক আবার গায়ে চড়তে পারে নাসিরের। সে ক্ষেত্রে একাদশের বাইরে চলে যেতে পারেন তাইজুল ইসলাম।
নাসির নাকি সৌম্য সরকার—এই দোদুল্যমানতার কারণেই নাকি এখনো নিশ্চিত হয়নি একাদশ। আজ টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমাদের যেহেতু পাঁচজন স্পিনার আছেই, সে দিক দিয়ে চিন্তা করলে একজন পেসার বা একজন ব্যাটসম্যান সেরা একাদশে ঢুকেও যেতে পারে।’ এ ক্ষেত্রে সৌম্যের প্রবল সম্ভাবনা।
নাসির সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছরে সেপ্টেম্বরে। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে পরে জাতীয় দল থেকেই ছিটকে পড়লেন। বিশ্বকাপ দিয়ে দলে ফিরলেও এ বছর বাংলাদেশের খেলা চার টেস্টের একটিতেও ছিলেন না। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বোলার হিসেবেও আস্থার একটা জায়গা তৈরি করেছেন। গত আট ওয়ানডেতে পেয়েছেন ৮ উইকেট, ইকোনমি ৩.৯৭।
দলের বেশ কটি জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল বোলার নাসিরের। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু এনে দিয়েছিলেন নাসিরই। ওই ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচেও বল হাতে নাসির ছিলেন দুর্দান্ত। ৮ ওভারে ২৬ রানে পেয়েছিলেন ৩ উইকেট।
ধীরে ধীরে দলের অপরিহার্য বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন নাসির, স্পষ্ট বোলিং ফিগারেই। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পুরো ১০ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটো টি-টোয়েন্টিতেও পুরো চার ওভারের কোটা পূরণ করেছেন। তাঁর স্পিন প্রোটিয়াদের ভুগিয়েছেও। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান নিয়মিত দিয়ে চলেছেন।
সর্বশেষ চার ইনিংসে ২ উইকেট নেওয়া তাইজুলের বদলি হিসেবে নাসিরকে দলে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আরেকটি কারণে। বাংলাদেশের সামনে টেস্ট সিরিজটা ড্র করার সুবর্ণ সুযোগ। টেস্টের এক নম্বর দলের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করাতে পারলে রেটিং পয়েন্ট বেড়ে হয়ে যাবে ৪৭। এই সিরিজের আগে যেটি ছিল ৪১। বাংলাদেশ তাই আবারও আট ব্যাটসম্যানের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ওয়ানডের সিরিজ সেরা সৌম্যই হয়তো ভালো বিকল্প হতেন। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৮ রানে অলআউট করে দেওয়া বাংলাদেশ বোলিংয়েও ভারসাম্য হারাতে চায় না।
এ কারণেই সৌম্যর বদলে নাসিরের ভালো সুযোগ আছে। কিন্তু ওই ভারসাম্যের প্রশ্নেই ‘খারাপ করলেই ছেঁটে ফেলো’ নীতির বিপক্ষে টিম ম্যানেজমেন্টের একটি অংশ। দ্রুত তরবারির কোপ দেওয়ার বদলে সুযোগ দিয়ে আস্থা তৈরি করাটাই ভালো ফল দেয়, তার প্রমাণ নিকট অতীত মাহমুদউল্লাহ-তামিমরাই দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই ১০ উইকেট নেওয়া তাইজুলকে তাই আস্থার সংকটে না ফেলারও পক্ষে।
তবে র্যাঙ্কিংয়ের সমীকরণটাই শেষ পর্যন্ত একাদশে ঢুকিয়ে দিতে পারে নাসিরকে। কিংবা সৌম্যকেও!
৭ উইকেট পেলেই কপিল–ক্যালিসদের ক্লাবে সাকিব
সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে নমস্য। জ্যাক ক্যালিস। অন্তত
পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদেরই একজন।
সেই কপিল-ক্যালিসদের অভিজাত একটি ক্লাবে মিরপুর টেস্টেই ঢুকে যেতে পারেন
সাকিব আল হাসান। দরকার আর মাত্র সাতটি উইকেট! সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এই অর্জন
ছুঁতে চলেছেন সাকিব।
যে ক্লাবে আছেন হাতে-গোনা মাত্র কয়েকজন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ হাজার রান ও ৪০০ উইকেটের ডাবল আছে মাত্র ৫ জনের।
কপিল-ক্যালিসের নাম তো আগেই শুনেছেন। বাকি তিনজন হলেন সনাৎ জয়াসুরিয়া,
শহীদ আফ্রিদি ও ক্রিস কেয়ার্নস। চট্টগ্রাম টেস্টের একমাত্র ইনিংসে ৪৭ রান
করার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ হাজার রান পূর্ণ হয়েছে সাকিবের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের উইকেট এখন ৩৯৩টি।
৪১ টেস্টে প্রায় ৪০ গড়ে ২
হাজার ৭৮৮ রানের পাশাপাশি ১৪৭টি উইকেট পেয়েছেন। ১৫৬টি ওয়ানডেতে ৩৫.৩৩ গড়ে ৪
হাজার ৩৮২ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ২০১টি উইকেট। ৩৮টি টি-টোয়েন্টিতে
সাকিবের রান ৮৪৩, উইকেট ৪৫টি। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে
সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনি। ওয়ানডের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হতে চাই আর
মাত্র ৬টি উইকেট।
একই ক্লাবে আছেন বটে। তবে রানের দিক সবাইকে বিস্তর
ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন ক্যালিস ও জয়াসুরিয়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
ক্যালিসের রান ২৫ হাজার ৫৩৪, উইকেট ৫৭৭টি। জয়াসুরিয়ার রান ২১ হাজার ৩২,
উইকেট ৪৪০। বাকিদের মধ্যে ব্যবধান এমন বেশি নয়। আফ্রিদির রান ১০ হাজার ৯৪৫,
৫২৫টি উইকেট। কপিলের রান ৯ হাজার ৩১, উইকেট ৬৮৭টি। কেয়ার্নসের রান ৮ হাজার
২৭৩, ৪২০টি উইকেট।
এই ডাবল ছুঁতে জয়াসুরিয়াকে খেলতে হয়েছে ৫০৬টি ম্যাচ।
আফ্রিদিকে ৩৮৩টি। ক্যালিসকে ৩৩৩টি। কেয়ার্নসকে ২৫৮টি। এবং কপিলকে ২৯৫টি
ম্যাচ। এটা মোটামুটি নিশ্চিত ২৩৫টি ম্যাচ খেলা সাকিবই দ্রুততম সময়ে ৮
হাজার রান ও ৪০০ উইকেটের এই ডাবল ছুঁতে চলেছেন।
মোল্লা ওমর ‘মারা গেছেন’
আফগানিস্তানের তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মারা গেছেন বলে দাবি করেছে
আফগান কর্তৃপক্ষ। তবে এ ব্যাপারে জঙ্গি সংগঠনটির কোনো মন্তব্য পাওয়া
যায়নি। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আফগান সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের দাবি, মোল্লা ওমর দুই থেকে তিন বছর আগেই মারা গেছেন। এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি বিবৃতি দেওয়া হবে বলে তালেবানের মুখোপাত্র জানিয়েছেন বলে ওই খবরে জানানো হয়েছে।
এর আগেও মোল্লা ওমর মারা গেছেন বলে কয়েক দফায় খবর বের হয়েছিল। কিন্তু এবারই প্রথম আফগানিস্তান সরকারের কোনো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আফগান সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের দাবি, মোল্লা ওমর দুই থেকে তিন বছর আগেই মারা গেছেন। এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি বিবৃতি দেওয়া হবে বলে তালেবানের মুখোপাত্র জানিয়েছেন বলে ওই খবরে জানানো হয়েছে।
এর আগেও মোল্লা ওমর মারা গেছেন বলে কয়েক দফায় খবর বের হয়েছিল। কিন্তু এবারই প্রথম আফগানিস্তান সরকারের কোনো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হামলার পরিকল্পনা করছে আইএস?
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ভারতে যুদ্ধ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তারা বলছে, এ যুদ্ধের পরিণতিতে বিশ্বের ধ্বংস ঘনিয়ে আসতে পারে।
পাকিস্তানে জঙ্গি এই সংগঠনে সদস্য ভর্তি করতে তৈরি এক নথিতে এমন তথ্য
পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএ টুডে পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত
একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি তার সব মিত্রকে নিয়েও হামলার
চেষ্টা করে, যা তারা অবশ্যই করবে, তবু বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহ একত্র
হবে। শুরু হবে চূড়ান্ত লড়াই। নথিতে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে
সক্রিয় তালেবানের বিভিন্ন উপদলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক এটি ইংরেজিতে অনুবাদ
করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত
কর্মকর্তারা এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা এবং ব্রুকিং ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো ব্রুস রাইডেল বলেন, আইএস ভারত আক্রমণ করলে এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ধ্বংসের মুখে পড়বে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা নিবিড়ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।