মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৫

চেতনা নাশক ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান : ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে তুলে নিয়ে ধর্ষণ


স্কুলে যাওয়ার পথে ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে চেতনা নাশক ইঞ্জেকশন নিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নে।
রোববার রাতে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মামা জাহেদুর রহমান জানান, ওই ছাত্রী গত ৩ অক্টোকর সকাল ৯ টায় স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা হয়। পথে অপরিচিত দুজন মোটর সাইকেল যোগে এসে ওই ছাত্রীর গতি রোধ করে। মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। পরে নির্জন স্থানের একটি বাড়িতে নিয়ে মুখ, হাত, পা ও কোমর বেধে চেতনা নাশক ইনজেকশন দেয়। পরে ধর্ষন করে ওই ছাত্রীকে। এদিকে মেয়ের খোজ না পেয়ে ছাত্রীর বাবা-মা সন্ধান করতে থাকে। পরে বিকেলে বিপ্লব নামে একজন মোটরসাইকেলে বালিযাডাঙ্গীর লাহেড়ি বাজার এলাকায় রেখে যায় ওই ছাত্রীটিকে। খবর পেয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে ওই ছাত্রীর মাঝে মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েতে থাকে। পরিবারের লোকজন তাকে রোববার রাত ১০টায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই রাতেই তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ছাত্রীর মামা অভিযোগ করে বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এ ঘটনা ঘটিয়েছে চাড়োল গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে সুজন (৩০)। সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত সুজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।