বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

স্বর্ণের খোঁজে ছুটছে মানুষ সাইলেসিয়ায়!



সোনা, সোনা! প্রচুর সোনা! প্রচুর হিরা, রতœ, মণি-মাণিক্যের সন্ধানপেয়ে, দিগি¦দিক হন্যে হয়ে ছুটে যাচ্ছে মানুষ। দক্ষিণ-পশ্চিম পোল্যান্ডের সাইলেসিয়ায়। জোর খবর রটেছে, সেখানে ঘন জঙ্গলে উঁচু একটা পাহাড়ের নিচে একটা চোরাগোপ্তাশহরে, সুড়ঙ্গের তলায় প্রচুর সোনাদানা, রতœ, মণি-মাণিক্যম বোঝাই করা রয়েছে একটি ট্রেনে। যেন সোনার ট্রেন’! সেই ট্রেন থেকেই সোনাদানা, মণি-মাণিক্য লুটপাটকরার জন্য পোল্যান্ডের যে যেখান থেকে পারেন, ছুটে আসছেন সাইলেসিয়ায়। সেই সোনার ট্রেনের নাগাল পাওয়া সম্ভব না-হলেও, রাতের অন্ধকারে গা-ঢাকা দিয়ে আশপাশের এলাকায় মানুষজন চোরাগোপ্তা খোঁড়াখুঁড়িও শুরু করে দিয়েছে। পুলিশের পরোয়া করছে না। এক তাল না হোক, এক কণা সোনা, মণি-মাণিক্য পেলে যদি কপাল খুলে যায়! এই সব সোনাদানা, রতœ, মণি-মাণিক্যের আলাদা অ্যান্টিক ভ্যালুও রয়েছে। ৭০ বছর ধরে সেসব বোঝাই করা রয়েছে একটি ট্রেনে। কোনো কোনো ইতিহাসবিদের মতে, সাইলেসিয়ায় ঘন জঙ্গলে উঁচু একটা পাহাড়ের নিচে একটা চোরাগোপ্তাশহর বানানো হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে, হিটলারের নির্দেশে। যেখানে থাকত প্রচুর নাৎসি সেনা। আর লুকিয়ে রাখা হতো এ দেশ, ও দেশ থেকে লুটপাট করা প্রচুর সোনাদানা, মণি-মাণিক্য। যেগুলির বেশির ভাগই জার্মানি বা, অন্যান্য দেশের রাজা-রাজড়াদের। মিত্রবাহিনীর নজর এড়াতে।জার্মানির সীমান্ত পেরিয়ে সোভিয়েত সেনারা ঢুকে পড়ার পর লুট করা মণি-মাণিক্য ওই ট্রেনের মধ্যে ঢুকিয়ে পাহাড়ের নিচে লুকোনো ওই শহর ছেড়ে পালিয়ে যায় নাৎসি সেনারা। কথিত, সেই থেকেই সোনার ট্রেনটি রাখা হয়েছে ওই এলাকায়। সূত্র: ওয়েবসাইট