চলতি বছর মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজসমূহের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন
ফাঁসের অভিযোগ গুজব ও ভিত্তিহীন দাবি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মঙ্গলবার
অধিদফতরের মেডিকেল শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়নের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা
হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে জানাতে চায় যে, শতভাগ
সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিñিদ্র নীরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে
এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও
পরবর্তীতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন
করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা
হয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের যেসব অভিযোগ উত্থাপিত
হয়েছে তা মোটেও সঠিক নয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর,
১৭ সেপ্টেম্বর এবং ২২ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র
ফাঁসের জালিয়াতি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত
সন্দেহে র্যাবের হাতে আটক ৩টি চক্রের
কারও কাছে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি
পরীক্ষাসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নপত্র পাওয়া
যায়নি। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের
মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভুয়া
প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রলোভন দেখানোয় র্যাব তাদের আটক করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত
প্রশ্ন ফাঁসের কোনো অভিযোগ আসেনি। এমনকি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী
মোহাম্মদ নাসিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময়
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্য ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। তখনও কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি।
অধিকন্তু সারা দেশের ২৩টি ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের পরির্দশকদের
কাছেও কেউ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করেননিই। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উত্থাপন ও
ভর্তি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে দাখিল করা রিট আবেদনটি হাইকোর্ট খারিজ ও
পরবর্তীতে আপিল বিভাগ খারিজ আদেশ বহাল রেখেছেন। এতে করে এ বিষয়টি ইতিমধ্যে
মীমাংসিত। ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার সব ধরনের সতর্কতা
মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে অবলম্বন করা হয়েছিল। এমবিবিএস ও বিডিএস
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে
দেখা যায় যে, কোটা ব্যতীত কোনো
ছাত্রছাত্রী জিপিএ মোট নম্বর ৯ দশমিক
০৮-এর কমে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হয়নি। বলা যায়, জিপিএ
মোট নম্বর ৯ দশমিক ৫ বা তার বেশি পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেল ও ডেন্টাল
কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সুতরাং প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এবং সুবিধা
নিয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, এই অভিযোগ সঠিক নয়। সুতরাং অধিদফতর দৃঢ়তার সঙ্গে
দেশবাসীকে জানাতে চায় যে, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিতান্তই গুজব ও
ভিত্তিহীন।