বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

বঙ্গোপসাগরে যৌথ মহড়া শুরু




মহড়ার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই দেশের মধ্যে এ ধরনের মহড়া ভবিষ্যতেও চলবে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বি এন ফ্লোটিলার কমান্ডার কমডোর এম খালেদ ইকবাল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মহড়ায় পারস্পরিক আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে সমুদ্রপথে সন্ত্রাসবাদ, মানবপাচারসহ সকল প্রকার হুমকি মোকাবেলায় নিজেদের সমৃদ্ধ করা যাবে। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে বি এন ফ্লোটিলার এসডব্লিউটি অডিটরিয়ামেএক্সারসাইজ কো-অপারেশন অ্যাফ্লট রেডিনেস অ্যান্ড ট্রেইনিং’ (কারাট) নামের এই মহড়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর টাস্কফোর্স-৭৩ এর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল চার্লস উইলিয়ামস।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আখতার হাবিব ও বি এন ফ্লোটিলার কমান্ডার কমডোর এম খালেদ ইকবালও বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ২০১১ সালে প্রথমবার যৌথ নৌমহড়ায় অংশ নেয়। দুই দেশের মধ্যে এটি পঞ্চমবারের মতো যৌথ নৌমহড়া। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রেও নৌ কর্মকর্তা চালর্স উইলিয়ামস পাস্পরিক আদান প্রদানের ওপর জোর দিয়ে বলেন, যৌথ এ মহড়ার মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সক্ষমতা বাড়বে।গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া ৪ অক্টোবর শেষ হবে। এর মধ্যে পোতাশ্রয় পর্ব (শোর ফেস) অনুষ্ঠিত হবে দেশের বিভিন্ন নৌঘাঁটি ও জাহাজে, আর সমুদ্র পর্ব (সি ফেস) হবে বঙ্গোপসাগরে। যৌথ এ মহড়ায় শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন শনাক্তকরণ, গোলাবর্ষণ, সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া জাহাজ অনুসন্ধান, জাহাজ রক্ষা, সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং জলদস্যু ও চোরাচালানবিরোধী অভিযানের ওপর প্রশিক্ষণ হবে বলে নৌ কর্মকর্তারা জানান। মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ফোর্ট ওর্থইউএসএনএস সেফগার্ড’, ‘পি থ্রিসি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটসহ অন্যান্য বিশেষায়িত ইউনিট এবং নৌবাহিনীর জাহাজ বি এন এস বঙ্গবন্ধু, সমুদ্র জয়, আবু বকর, বিজয়, দুর্জয়, ধলেশ্বরী, বিএনটি খাদেম, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটসহ বিশেষায়িত ফোর্স স্কোয়াডস অংশ নিচ্ছে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়।