শুধুমাত্র বোরকা ও হিজাব পরে ক্লাসে আসায় শিক্ষকের কাছে অপমানিত ও
মানসিকভাবে লাঞ্ছিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের
এক ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বেড়িয়ে যেতে হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী-বাম সমর্থিত নীলদলের প্রভাবশালী শিক্ষক অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমানের কাছে অপমান ও মানসিক লাঞ্ছনার শিকার হন ওই ছাত্রী।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের ৩য় তলায় মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৩০৪৪ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। নীলদলের ওই প্রভাবশালী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার।
হিজাব পড়ায় ওই শিক্ষক ছাত্রীকে নানা হেয় প্রতিপন্নমূলক কথাবার্তা বলে ক্লাস থেকে বের করে দেন । ওই ছাত্রী উপস্থিত সবার সামনে লজ্জায় কাঁদতে কাঁদতে শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ করেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম নাবিলা ইকবাল। তিনি ৩য় বর্ষের ছাত্রী। তবে তার সাথে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যটা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী জানান, ‘এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই আমি ওই শিক্ষককে ফোন দেই এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি।’ ওই শিক্ষক বলেন, ‘ক্লাসে বোরখা পরিহিত একটি মেয়ে হেজাব না খোলার কারণে বের করে দেওয়া হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্লাসের অন্যান্য সহপাঠীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত ওই দিনও ওই ছাত্রী বোরকা পরে ক্লাসে আসেন। সকাল ১০টার দিকে অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমানের ক্লাস শুরু হয়। ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ শিক্ষক আজিজুর রহমান ওই ছাত্রীকে দাঁড় করিয়ে বলেন, “তুমি বোরকা পড়েছ কেন? বোরকাতো জঙ্গিরা পড়ে। বোরকা পড়ে বোমা সরবরাহ করে। বোরকা গায়ে জড়িয়ে আর ক্লাসে আসবানা।” এসব বলে ওই ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ক্লাসে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা হতভম্ব হয়ে যায়। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। তবে তাদের মাঝে একজন এর বিরোধিতা করলেও ক্লাসে থাকতে পারেননি লাঞ্ছনার শিকার ওই ছাত্রী। পরে তিনি কাঁদতে কাঁদতে ক্লাস থেকে বের হয়ে যান।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম এ আমজাদ আলী আরো জানান, ওই দিন ঘটনা শোনার পরপরই আমি ওই শিক্ষককে ফোন করি এবং কেন তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এই বিষয়ে চানতে চাইলে শিক্ষক বলেন, তাকে বলেছিলাম তুমি হয় হেজাব খুলে ক্লাস করবে আর না হয় ক্লাস থেকে বের হয়ে যাবে। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি বলেও জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী।
ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে নীলদলের অন্যতম প্রভাবশালী ওই শিক্ষক অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান বলেন, সে যে পোশাক পরে ক্লাসে এসেছিল তাতে মানব না মানবী কিছুই বুঝা যাচ্ছিল না। আমার ক্লাসে কোন শিক্ষার্থী থাকবে আমি তাকে চিনবো না তা কি করে হয়। যার কারণে আমি তাকে বলেছি আমার ক্লাস করতে হলে অবশ্যই আমি তাকে চিনতে চাই। মুখ খোলা না রাখলে যে কাউকে চেনা মুশকিল। যার কারণে আমি তাকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলেছিলাম।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর একই বিভাগে আয়েশা মাহমুদা নামের এক শিক্ষিকা রোকসানা পারভিন নামের মাস্টার্সের এক ছাত্রীকে লাথি মেরে তার রুম থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষিকার বিচারের দাবিতে আন্দোলন ও ক্লাস বর্জন করেন। কিন্তু এ ঘটনায় এখনো কোন সুস্পষ্ট বিচার করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী-বাম সমর্থিত নীলদলের প্রভাবশালী শিক্ষক অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমানের কাছে অপমান ও মানসিক লাঞ্ছনার শিকার হন ওই ছাত্রী।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের ৩য় তলায় মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৩০৪৪ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। নীলদলের ওই প্রভাবশালী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার।
হিজাব পড়ায় ওই শিক্ষক ছাত্রীকে নানা হেয় প্রতিপন্নমূলক কথাবার্তা বলে ক্লাস থেকে বের করে দেন । ওই ছাত্রী উপস্থিত সবার সামনে লজ্জায় কাঁদতে কাঁদতে শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ করেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম নাবিলা ইকবাল। তিনি ৩য় বর্ষের ছাত্রী। তবে তার সাথে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যটা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী জানান, ‘এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই আমি ওই শিক্ষককে ফোন দেই এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি।’ ওই শিক্ষক বলেন, ‘ক্লাসে বোরখা পরিহিত একটি মেয়ে হেজাব না খোলার কারণে বের করে দেওয়া হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্লাসের অন্যান্য সহপাঠীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত ওই দিনও ওই ছাত্রী বোরকা পরে ক্লাসে আসেন। সকাল ১০টার দিকে অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমানের ক্লাস শুরু হয়। ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ শিক্ষক আজিজুর রহমান ওই ছাত্রীকে দাঁড় করিয়ে বলেন, “তুমি বোরকা পড়েছ কেন? বোরকাতো জঙ্গিরা পড়ে। বোরকা পড়ে বোমা সরবরাহ করে। বোরকা গায়ে জড়িয়ে আর ক্লাসে আসবানা।” এসব বলে ওই ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ক্লাসে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা হতভম্ব হয়ে যায়। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। তবে তাদের মাঝে একজন এর বিরোধিতা করলেও ক্লাসে থাকতে পারেননি লাঞ্ছনার শিকার ওই ছাত্রী। পরে তিনি কাঁদতে কাঁদতে ক্লাস থেকে বের হয়ে যান।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম এ আমজাদ আলী আরো জানান, ওই দিন ঘটনা শোনার পরপরই আমি ওই শিক্ষককে ফোন করি এবং কেন তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এই বিষয়ে চানতে চাইলে শিক্ষক বলেন, তাকে বলেছিলাম তুমি হয় হেজাব খুলে ক্লাস করবে আর না হয় ক্লাস থেকে বের হয়ে যাবে। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি বলেও জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী।
ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে নীলদলের অন্যতম প্রভাবশালী ওই শিক্ষক অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান বলেন, সে যে পোশাক পরে ক্লাসে এসেছিল তাতে মানব না মানবী কিছুই বুঝা যাচ্ছিল না। আমার ক্লাসে কোন শিক্ষার্থী থাকবে আমি তাকে চিনবো না তা কি করে হয়। যার কারণে আমি তাকে বলেছি আমার ক্লাস করতে হলে অবশ্যই আমি তাকে চিনতে চাই। মুখ খোলা না রাখলে যে কাউকে চেনা মুশকিল। যার কারণে আমি তাকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলেছিলাম।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর একই বিভাগে আয়েশা মাহমুদা নামের এক শিক্ষিকা রোকসানা পারভিন নামের মাস্টার্সের এক ছাত্রীকে লাথি মেরে তার রুম থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষিকার বিচারের দাবিতে আন্দোলন ও ক্লাস বর্জন করেন। কিন্তু এ ঘটনায় এখনো কোন সুস্পষ্ট বিচার করা হয়নি।