ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান ও ইসলামের স্বঘোষিত খলিফা আবু বকর আল
বাগদাদির বিরুদ্ধে এক মার্কিন তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এবিসি নিউজকে এ তথ্য জানানো হয়।
কেইলা মুলার (২৬) নামের ওই তরুণীকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা। মুলার সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ত্রাণকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে আইএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, জর্ডানে মার্কিন বিমান হামলায় মুলার নিহত হন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তার মৃত্যুর জন্য আইএসকে দায়ী করে আসছিল।
মুলারের বাবা-মা এবিসি নিউজকে বলেন, গত জুনে আমরা মার্কিন সরকারকে বলেছিলাম মুলার বাগদাদির হাতে বন্দি রয়েছে। আইএস-প্রধান তার ওপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
আটক হওয়ার পর মুলার টেলিফোনে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিল। তবে বাগদাদি তার প্রতি দয়া ও খুবই সম্মানজনক আচরণ করত বলে জানিয়েছিলেন মুলার।
যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের এ ত্রাণকর্মী ২০১২ সালে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে যান।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানায়, বাগদাদি আইএসের আরেক জ্যেষ্ঠ সদস্য আবু সাইফের বাড়ি থেকে মুলারকে তুলে নিয়ে আসে। আইএসের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা আবু সাইফ দখলকৃত তেল ও গ্যাসক্ষেত্রের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। গত মে মাসে সাইফ যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এবিসি নিউজ জানিয়েছে।
এবিসি নিউজ চ্যানেল আরো জানায়, মুলারকে আটক রাখা কম্পাউন্ডে বাগদাদির নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হতো। সাইফের আস্তানায় মার্কিন বাহিনীর অভিযানের সময় আরো দুই তরুণী ছিল। ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের এ দুই তরুণীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করত সাইফ।
মুলারকে আবু সাইফ ও তার স্ত্রী উম্মে সাইফ ধরে নিয়ে যায়। মে মাসের অভিযানে উম্মে সাইফকে আটক করে মার্কিন সেনারা। ওই অভিযানে বেশ কিছু ইয়াজিদি নারীকেও উদ্ধার করা হয়। এসব নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করত আইএস যোদ্ধারা। আবু সাইফ ও উম্মে সাইফ এসব নারীর তত্ত্বাবধান করত বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে উম্মে সাইফকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কুর্দি কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের জন্য তুলে দেয় মার্কিন সেনারা।
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।
কেইলা মুলার (২৬) নামের ওই তরুণীকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা। মুলার সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ত্রাণকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে আইএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, জর্ডানে মার্কিন বিমান হামলায় মুলার নিহত হন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তার মৃত্যুর জন্য আইএসকে দায়ী করে আসছিল।
মুলারের বাবা-মা এবিসি নিউজকে বলেন, গত জুনে আমরা মার্কিন সরকারকে বলেছিলাম মুলার বাগদাদির হাতে বন্দি রয়েছে। আইএস-প্রধান তার ওপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
আটক হওয়ার পর মুলার টেলিফোনে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিল। তবে বাগদাদি তার প্রতি দয়া ও খুবই সম্মানজনক আচরণ করত বলে জানিয়েছিলেন মুলার।
যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের এ ত্রাণকর্মী ২০১২ সালে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে যান।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানায়, বাগদাদি আইএসের আরেক জ্যেষ্ঠ সদস্য আবু সাইফের বাড়ি থেকে মুলারকে তুলে নিয়ে আসে। আইএসের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা আবু সাইফ দখলকৃত তেল ও গ্যাসক্ষেত্রের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। গত মে মাসে সাইফ যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এবিসি নিউজ জানিয়েছে।
এবিসি নিউজ চ্যানেল আরো জানায়, মুলারকে আটক রাখা কম্পাউন্ডে বাগদাদির নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হতো। সাইফের আস্তানায় মার্কিন বাহিনীর অভিযানের সময় আরো দুই তরুণী ছিল। ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের এ দুই তরুণীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করত সাইফ।
মুলারকে আবু সাইফ ও তার স্ত্রী উম্মে সাইফ ধরে নিয়ে যায়। মে মাসের অভিযানে উম্মে সাইফকে আটক করে মার্কিন সেনারা। ওই অভিযানে বেশ কিছু ইয়াজিদি নারীকেও উদ্ধার করা হয়। এসব নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করত আইএস যোদ্ধারা। আবু সাইফ ও উম্মে সাইফ এসব নারীর তত্ত্বাবধান করত বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে উম্মে সাইফকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কুর্দি কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের জন্য তুলে দেয় মার্কিন সেনারা।
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।