রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৫

মেয়েদের যেভাবে দলে টানে আইএস

বৈরুত: জার্মানি থেকে স্বঘোষিত ইসলামিক স্টেট-আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া এবং ইরাকে যাচ্ছে মেয়েরা। এ পর্যন্ত যারা গেছেন তাদের মধ্যে অনেকের বয়সই ২৫ বা তার কম। তাদের অভিনব পন্থায় আকৃষ্ট করছে আইএস সমর্থকরা।
পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত জার্মানি থেকে মোট ৬৫০ জন পুরুষ আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া বা ইরাকে গিয়েছেন। ইসলামি জঙ্গি সংগঠনটির টানে মেয়ে অবশ্য সেই তুলনায় অনেক কম গিয়েছেন।
এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জার্মানি থেকে ১০০ জনের মতো নারী সিরিয়া বা ইরাকে গিয়েছেন। জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে দেশ ছাড়া মেয়েদের শতকরা ৪০ ভাগের বয়সই ২৫ বছর বা তারও কম।
জার্মানির অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক কার্যালয়ের উগ্রবাদ বিশেষজ্ঞ ফ্লোরিয়ান আন্দ্রেস জানান, আইএস সমর্থকরা সুকৌশলে জার্মানিতে বসবাসরত মেয়েদের আকৃষ্ট করে। তারা মেয়েদের সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখায়। সুন্দর পারিবারিক জীবনের স্বপ্ন। জার্মানিতে পরিবারের বন্ধন বেশি শক্ত নয় বলে অনেকের মনে এক ধরনের হতাশা কাজ করে। আইএস সমর্থকরা তারই সুযোগ নেয়।
ফ্লোরিয়ান আন্দ্রেস জানান, আইএসের হয়ে যারা লোক, বিশেষ করে নারী সংগ্রহের কাজ করছে, তারা সাধারণত ছোট কোনো সংস্থা বা গোষ্ঠীর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। খুব বড় বা সুপরিচিত পরিসরে তারা খুব একটা যান না।
এ কসময় সালাফিস্টদের সঙ্গে কাজ করেছেন এমন অনেক নারীই এখন আইএসের হয়ে কাজ করছে। তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খুব সক্রিয়। তাদের সক্রিয়তার মূল উদ্দেশ্য আইএসের জন্য যোদ্ধা বা আইএন যোদ্ধাদের জন্য নারী সংগ্রহ করা।
জার্মানি থেকে ইরাকে গিয়ে এক নারী নিয়মিত ব্লগ লিখছেন। ২০১৩ সালে জার্মানি ছাড়েন তিনি। ইরাকে থেকেই তিনি এখন ব্লগ লিখছেন ‘মুহাজিরা’ নামে। মুহাজিরা শব্দের অর্থ অভিবাসী বা শরণার্থী।
নিজের ব্লগে তিনি ইরাকে কেমন সময় কাটছে তা তো লিখে জানাচ্ছেনই, সেই সঙ্গে অন্যদের প্রতি রাখছেন ইরাকে চলে যাওয়ার আহ্বান। যে কোনো বিষয়ে পরামর্শের প্রয়োজন হলে যে কেউ মুহাজিরার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
মুজাহিরাই তাদের বলে দেন কখন, কোথায়, কী করতে হবে। মুজাহিরা নারীদের সবসময় খোলাখুলিই বলেন, ‘আমি আইএসের হয়ে নারী সংগ্রহের চেষ্টা করি। কেননা, এখানে অনেক অবিবাহিত মুজাহিদিন আছে।’
সূত্র: ডয়চে ভেলে।