মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

দৌলতপুরে বস্তাবন্দি লাশটি পাবনার কলেজ ছাত্র মাসুমের

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের কাছে যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা বস্তাবন্দি লাশ সে পাবনার আমিনপুর উপজেলার কাবাশকান্দা গ্রামের মুকুল শেখের ছেলে ও ডাঃ জহুরুল কামাল কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মাসুম শেখ। অপহরণের পর মুক্তিপনের ২০ লক্ষ টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার চাচাত বোনের স্বামী আজিমসহ ৪জনকে সুজানগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
যোগাযোগ করা হলে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাবিবুর রহমান জানান, গত মাসের ১৯ তারিখ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মাসুমের চাচাতো বোন রুপার স্বামী আজিম তাকে কলেজ থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাইশা গ্রামে আজিমের আতœীয়বাড়িতে তাকে আটকে রাখা হয়। অপহরণের পর মাসুমের ভাবির মোবাইল ফোনে আজিম ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ফোনে সে জানায় টাকা না দিলে মাসুমকে হত্যা করা হবে। এ ব্যাপারে মাসুমের বড় ভাই শিহাব উদ্দিন আজিমকে আসামী করে সুজানগর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩০ আগষ্ট আজিমের ৩ সহযোগী সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাইশা গ্রামের মৃত মহরত আলীর ছেলে সোলেমান (৩৩), মৃত তালেব সরকারের ছেলে আবু সাঈদ (৪৫) ও কিসমত শেখের ছেলে আবু মিস্ত্রিকে (৬০) গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর আজিমকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আজিম সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মিনি দিয়ারচর গ্রামের নুরে আলমের ছেলে। গ্রেফতারের পর আজিম পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আদালতের বিচারক একেএম রৌশন জাহানের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীরোক্তিমূলক জবানব›িন্দতে মাসুমকে অপহরণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে। মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল নিশাদ জানান, গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাঘুটিয়া এলাকার কয়েকজন মাঝি নদীর পাড়ে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। তিনি জানান সুজানগর থানা থেকে আগেই তাদের কাছে ইনফরমেশন ছিল যুবক শ্রেণীর কোন লাশ পাওয়া গেলে যেন তাদের জানানো হয়। বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পাওয়ার পর সুজানগর থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে নিহত মাসুমের মামা রফিকুল ইসলাম মানিকগঞ্জে এসে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন।