বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীবের বাসার গৃহকর্মী
মাহফুজা আক্তার হ্যাপির শরীরের এমন কোনো স্থান নেই যেখানে ক্ষতের চিহ্ন
নেই। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস
সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক বিলকিস আক্তার।
হ্যাপি এখন ওসিসিতে চিকিৎসাধীন। বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তাররা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে বাংলামেইলকে জানিয়েছেন বিলকিস।
বিলকিস আক্তার বলেন, ‘তার (হ্যাপি) মাথায়, চোখে, হাতে, পায়ে, পিঠে ও পেটের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। অনেক স্থানে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
রোববার রাতে মিরপুর মডেল থানায় গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই শাহাদাত ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার পর পুলিশ বলছে, আসামি যতোই প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ বলছে, শাহাদাতকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে গৃহকর্মী হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে রোববার দুপুরে মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাহাদাত। এরপর সোমবার রাতে ওই গৃহকর্মী হ্যাপিকে পল্লবী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধারের পর জানা গেলো, তার উপর অমানসিক নির্যাতন করতো শাহাদাত ও তার স্ত্রী।
গৃহকর্মীকে উদ্ধারের পর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রোববার রাতেই একটি মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মোজ্জামেল হক। তিনি বলেন, ‘আমি সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে মানবিক কারণে মামলাটি দায়ের করেছি।’
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হ্যাপির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের কারণে যখম রয়েছে, অনেক স্থানে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। তার দুই চোখে আঘাতের চিহ্ন ও ফোলা রয়েছে, দুই পায়ে দাহ্য পদার্থ ও গরম খুন্তির ছ্যাঁকার চিহ্ন রয়েছে।
হ্যাপি বাংলামেইলকে জানিয়েছে, শাহাদাত ও তার স্ত্রী বিভিন্ন অজুহাতে তাকে মারধর করতো। শাহাদাত বাসায় যাওয়ার সময় একটি লাঠি কিনে নিয়ে যেতো, যা দিয়ে তাকে মারধর করা হতো। এমনকি গাড়িতেও সে একটি লাঠি রাখতো, হ্যাপিকে মারধরের জন্যও।
সে আরো জানায়, বিভিন্ন সময় তাকে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়া হতো। অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূইয়া মাহবুব হাসান বাংলামেইলকে বলেন, ‘শাহাদাত ও তার স্ত্রী এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার কাইয়ূমুজ্জামান বাংলামেইলকে বলেন, ‘আসামি যতোই প্রভাবশালী হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’ শাহাদাত ও তার স্ত্রীর অবস্থান সনাক্ত করতে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছেও বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিলকিস আক্তার বলেন, ‘তার (হ্যাপি) মাথায়, চোখে, হাতে, পায়ে, পিঠে ও পেটের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। অনেক স্থানে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
রোববার রাতে মিরপুর মডেল থানায় গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই শাহাদাত ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার পর পুলিশ বলছে, আসামি যতোই প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ বলছে, শাহাদাতকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে গৃহকর্মী হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে রোববার দুপুরে মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শাহাদাত। এরপর সোমবার রাতে ওই গৃহকর্মী হ্যাপিকে পল্লবী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধারের পর জানা গেলো, তার উপর অমানসিক নির্যাতন করতো শাহাদাত ও তার স্ত্রী।
গৃহকর্মীকে উদ্ধারের পর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রোববার রাতেই একটি মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মোজ্জামেল হক। তিনি বলেন, ‘আমি সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে মানবিক কারণে মামলাটি দায়ের করেছি।’
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হ্যাপির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের কারণে যখম রয়েছে, অনেক স্থানে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। তার দুই চোখে আঘাতের চিহ্ন ও ফোলা রয়েছে, দুই পায়ে দাহ্য পদার্থ ও গরম খুন্তির ছ্যাঁকার চিহ্ন রয়েছে।
হ্যাপি বাংলামেইলকে জানিয়েছে, শাহাদাত ও তার স্ত্রী বিভিন্ন অজুহাতে তাকে মারধর করতো। শাহাদাত বাসায় যাওয়ার সময় একটি লাঠি কিনে নিয়ে যেতো, যা দিয়ে তাকে মারধর করা হতো। এমনকি গাড়িতেও সে একটি লাঠি রাখতো, হ্যাপিকে মারধরের জন্যও।
সে আরো জানায়, বিভিন্ন সময় তাকে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়া হতো। অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূইয়া মাহবুব হাসান বাংলামেইলকে বলেন, ‘শাহাদাত ও তার স্ত্রী এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার কাইয়ূমুজ্জামান বাংলামেইলকে বলেন, ‘আসামি যতোই প্রভাবশালী হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’ শাহাদাত ও তার স্ত্রীর অবস্থান সনাক্ত করতে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছেও বলে তিনি উল্লেখ করেন।
