মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশন ‘আইরিন’


বিশ্বের ৩৩টি দেশের মতো চট্টগ্রাম বন্দরেও শুরু হয়েছে অস্ত্র মাদক চোরাচালান বিরোধী যৌথ অভিযান অপারেশনআইরিন গতকাল (সোমবার) সকাল থেকে শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের নেতৃত্বে দুই দিনের অভিযান শুরু হয় অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্যÑবৈধ বাণিজ্যের আড়ালে সব ধরনের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করা বিশেষ করে বন্দর হয়ে যাতে কোনো অস্ত্র-গোলাবারুদ কোনো সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে জঙ্গি সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধারে আসিয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৩টি দেশের মতো বাংলাদেশেও চলছে যৌথ অপারেশনআইরিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বন্দরের নম্বর শেড থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় বিজিবির ডগ স্কোয়াডের তিনটি কুকুর দিয়ে আলাদাভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতর অভিযানের মূল কার্যক্রম পরিচালনা করে এছাড়া বন্দর, কাস্টমসসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থা অভিযানে সহায়তা করছে অভিযান আজও চলবে সকাল থেকেই বিজিবির ডগ স্কোয়াড দিয়ে বন্দরের অভ্যন্তরে জেটিতে আমদানি পণ্যের চালানে তল্লাশি চালানো হয় তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিস্ফোরক, অস্ত্র বা মাদক ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমেদ তিনি জানান, রাইলোর নির্দেশে বিশ্বের ৩৩টি দেশের মতো বাংলাদেশের অভিযান চলছে শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতর অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে মূলত বন্দর ব্যবহার করে কোন ধরনের বিস্ফোরক, অস্ত্র, গোলাবারুদ মাদক যেন সন্ত্রাসীরা আমদানি করতে না পারে বা খালাস করতে না পারে সে উদ্দেশ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) অধীনেরিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজোঁ অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ (রাইলো এপি) অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে গত জুলাই থেকে বাংলাদেশে অভিযান শুরু হয় মূলত দেশের বিমান, স্থল, নৌবন্দরগুলোতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এর ফলে, বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা বাড়বে বলে মনে করছেন শুল্ক কর্মকর্তারা বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে বিশ্বের এমন ৩৩টি দেশে যৌথভাবে অভিযান শুরু হয় গেল জুলাই তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে অভিযান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেল তিন বছরে আমদানি-রফতানির আড়ালে আশিয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অস্ত্র, মাদক বা বিস্ফোরক চোরাচালান, যা হুমকি তৈরি করেছে বৈধ বাণিজ্যের জন্য