এদিন
দুপুরেই রঙিন পোস্টার নিয়ে গান গেয়ে,
কবিতা বলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও
কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল আরএসএস-এর
ভূমিকার কড়া সমালোচনায় সরব হন তারা।
এরপর প্রকাশ্যেই রান্না করা গো-মাংস
একে অপরকে খাইয়ে দেন সুবোধ সরকার ও
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যরা। তাদের দেখে
অনেকেই গো-মাংস মুখে তুলে নেন।
দেশ
জুড়ে যে অলিখিত খাদ্য ফতোয়া জারি
হয়েছে তার বিরোধিতা করে কবি সুবোধ সরকার
জানান, ‘কোন খাদ্য ফতোয়া জারি করা চলবে না। বিভিন্ন
জায়গায় খাদ্য নিয়ে যে ফতোয়া জারি করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। দেশ জুড়ে
খাদ্য ফতোয়া জারি হয়েছে তার বিরুদ্ধে আজ আমরা প্রতীকী প্রতিবাদ করছি। কেরল
হাউজে যে পুলিশি সক্রিয়তা দেখিয়েছে তারও একটা প্রতিবাদ হওয়া জরুরী ছিল। আমরা
আজকে গান গেয়ে, কবিতা বলে, গো-মাংস খেয়ে তার প্রতিবাদ করেছি।
সুবোধ
সরকারের মতে, গোমাংস প্রচুর মানুষ
খায়। এটা সস্তা এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ।
ডাক্তার যদি খেতে বলেন তাহলে খেতে বাধা
কেথায়। কিন্তু তুমি (কেন্দ্র সরকার)
নিষেধ করার কে?’
বিকাশ
রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘খাদ্যাভাষ
মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
খাদ্যাভাষের সঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। এর সঙ্গে ধর্মকে
মিলিয়ে দেশকে ভাঙার যে চেষ্টা চলছে তাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ। কেরল গেষ্ট
হাউজে পুলিশ যে হানা দিযেছে তারও বিরোধীতা করে তিনি বলেন এটা কেন করতে
হবে’।