ফরিদপুরে এক ক্লিনিক মালিক ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষক চিকিৎসকের নাম মো. মাহাবুবুর রহমান। এই ঘটনায় চিকিৎসককে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা। পরে মাহাবুবকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতাল ও সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া মাহাবুব নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত। ভাঙ্গা থানায় তার নিজ মালিকানাধীন একটি ক্লিনিক রয়েছে। এর আগেও এই ক্লিনিকে একাধিক নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে।
সোমবার এই ঘটনার পর ক্লিনিকটি সিলগালা করে দিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার নার্সের বাবা জানান, দুর্ঘটনায় আমার মেয়ের (বয়স ১৮) স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তান নিয়ে সে বিপাকে পড়ে। সন্তানের খরচ চালাতে দেড় মাস আগে স্থানীয় মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতাল ও সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি নেয়। সোমবার রাতে তার মেয়ে রাতের ডিউটি করতে হাসপাতালে যায়।
এ সময় ওই হাসপাতালের মালিক ও চিকিৎসক মাহাবুব তার মেয়েকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে। এতে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকালে ক্লিনিকের কয়েকজন সহকর্মী তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হলে সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে আবারো উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওই দিন বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সারমিন সুলতানা জানান, ওই নার্সের শরীর থেকে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। পরীক্ষার ফল পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।