মেয়ে হয়ে জন্মানোর সমস্যা অনেক। তার সাথে
যোগ হয় রোগব্যাধিও। স্তন ক্যান্সার তার মধ্যে একটি। আগের চেয়ে স্তন
ক্যান্সার বিষয়ে নারীদের সচেতনতা বেড়েছে। তারপরও স্তন ক্যান্সারেই নারীদের
মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি।
স্তন ক্যান্সার মেয়েদের প্রাণঘাতি রোগ। আমাদের দেশে নারী মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ স্তন ক্যান্সার। বিশ্বব্যাপী মেয়েদের যত ক্যান্সার হয় তার মধ্যে ২৩ শতাংশ স্তন ক্যান্সার। সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২২ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যার ৭০ ভাগই মারা যায়। তারপরও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া মানেই কিন্তু মৃত্যু নয়, বেঁচে যাওয়ার হারও অনেক। একটু সচেতন হলে এবং রোগের সূচনাতে বুঝতে পারলে এ রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব। প্রতি বছর অক্টোবর মাসকে স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করা হয়। এবারো পালিত হচ্ছে।
স্তন ক্যান্সারের বিষয়ে সচেতন হতে হলে প্রাথমিক কিছু ধারণা সব মেয়েরই থাকা জরুরি।
ঝুঁকিতে আছেন যারা-
* বয়স ৩৫-এর ওপর হলে।
* কম বয়সে ঋতুবতী হওয়া অথবা দেরিতে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া।
* ৩০ বছর পর প্রথম সন্তান হওয়া অথবা নিঃসন্তান হওয়া।
* শিশুকে বুকের দুধ না দেয়া।
* স্তন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে।
* চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলে।
* মাদকাসক্ত হলে।
রোগ নির্ণয়
* প্রত্যেক নারীর উচিত মাসে একদিন নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করে দেখা। নিজ হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা-
* স্তনে চাকা বা গোটা আছে কি-না।
* স্তনের চামড়া মোটা হওয়া, ফুলে যাওয়া বা কোনো অংশ দেবে যাওয়া এসব আছে কি-না।
* স্তনের বোঁটা ভেতরে দেবে যাওয়া।
* বোঁটা থেকে অস্বাভাবিক নিঃসরণ বিশেষ করে রক্তযুক্ত নিঃসরণ। এ লক্ষণগুলো এক বা একাধিক যদি দিনের পর দিন দেখা যায় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
জীবন যাপনে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন হলে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ কিছুটা করা যেতে পারে।
* প্রথম সন্তান ৩০ বছর বয়সের আগে নেয়া।
* চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা। ফল, শাকসবজি বেশি করে খাওয়া।
* শিশুকে বুকের দুধ দেয়া।
* পরিমিত আহার ও হালকা ব্যায়াম করা।
* সব রকম মাদকদ্রব্য পরিহার করা।
স্তন ক্যান্সার থেকে বাঁচার একমাত্র পথ সচেতনতা। স্তন ক্যান্সার যদি শুরুতেই শনাক্ত করা যায় তাহলে চিকিৎসা করে পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব। তাই সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। প্রতি বছর এ জন্য অক্টোবর মাসকে পালন করা হয় স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে। কিন্তু একজন নারীকে শুধু অক্টোবর মাস নয়, সচেতন থাকতে হবে সারা বছর। বছরের প্রতিটি দিন। তাহলেই হয় তো প্রতিরোধ করা যাবে স্তন ক্যান্সার। সুস্থ থাকার দায় কিন্তু প্রত্যেকের নিজের। তাই সচেতন হতে হবে নিজেকেই।
স্তন ক্যান্সার মেয়েদের প্রাণঘাতি রোগ। আমাদের দেশে নারী মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ স্তন ক্যান্সার। বিশ্বব্যাপী মেয়েদের যত ক্যান্সার হয় তার মধ্যে ২৩ শতাংশ স্তন ক্যান্সার। সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২২ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যার ৭০ ভাগই মারা যায়। তারপরও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া মানেই কিন্তু মৃত্যু নয়, বেঁচে যাওয়ার হারও অনেক। একটু সচেতন হলে এবং রোগের সূচনাতে বুঝতে পারলে এ রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব। প্রতি বছর অক্টোবর মাসকে স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করা হয়। এবারো পালিত হচ্ছে।
স্তন ক্যান্সারের বিষয়ে সচেতন হতে হলে প্রাথমিক কিছু ধারণা সব মেয়েরই থাকা জরুরি।
ঝুঁকিতে আছেন যারা-
* বয়স ৩৫-এর ওপর হলে।
* কম বয়সে ঋতুবতী হওয়া অথবা দেরিতে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া।
* ৩০ বছর পর প্রথম সন্তান হওয়া অথবা নিঃসন্তান হওয়া।
* শিশুকে বুকের দুধ না দেয়া।
* স্তন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে।
* চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলে।
* মাদকাসক্ত হলে।
রোগ নির্ণয়
* প্রত্যেক নারীর উচিত মাসে একদিন নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করে দেখা। নিজ হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা-
* স্তনে চাকা বা গোটা আছে কি-না।
* স্তনের চামড়া মোটা হওয়া, ফুলে যাওয়া বা কোনো অংশ দেবে যাওয়া এসব আছে কি-না।
* স্তনের বোঁটা ভেতরে দেবে যাওয়া।
* বোঁটা থেকে অস্বাভাবিক নিঃসরণ বিশেষ করে রক্তযুক্ত নিঃসরণ। এ লক্ষণগুলো এক বা একাধিক যদি দিনের পর দিন দেখা যায় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
জীবন যাপনে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন হলে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ কিছুটা করা যেতে পারে।
* প্রথম সন্তান ৩০ বছর বয়সের আগে নেয়া।
* চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা। ফল, শাকসবজি বেশি করে খাওয়া।
* শিশুকে বুকের দুধ দেয়া।
* পরিমিত আহার ও হালকা ব্যায়াম করা।
* সব রকম মাদকদ্রব্য পরিহার করা।
স্তন ক্যান্সার থেকে বাঁচার একমাত্র পথ সচেতনতা। স্তন ক্যান্সার যদি শুরুতেই শনাক্ত করা যায় তাহলে চিকিৎসা করে পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব। তাই সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। প্রতি বছর এ জন্য অক্টোবর মাসকে পালন করা হয় স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে। কিন্তু একজন নারীকে শুধু অক্টোবর মাস নয়, সচেতন থাকতে হবে সারা বছর। বছরের প্রতিটি দিন। তাহলেই হয় তো প্রতিরোধ করা যাবে স্তন ক্যান্সার। সুস্থ থাকার দায় কিন্তু প্রত্যেকের নিজের। তাই সচেতন হতে হবে নিজেকেই।