মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে, তারাই এখন বড় গলায় কথা বলে: মতিয়া চৌধুরী


যে দেশগুলো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে, আবার বড় গলায় মানবাধিকারের কথা বলে তাদের উপর তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, আপনাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যদি কেউ খুন করে বাংলাদেশে আসতো, আর বাংলাদেশ সরকার যদি তাদের আশ্রয় দিত, তাহলে আপনারা কি করতেন? তখন কি আপনারা মানবাধিকারের কথা বলেতেন? আপনারা তখন ড্রোন দিয়ে হামলা করে বাংলাদেশ উড়িয়ে দিতেন।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকর‍্যালী পূর্ব আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মানবাধিকার কারও একার নয়, এটা সবার দাবি করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, আপনা সকলের মানবাধিকারের বিষয়ে চিন্তা করেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। তাহলে এটা কোন মানবাধিকার! মানবাধিকার সকলের জন্য সমান।
আমেরিকা, কানাডা সহ পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ যারা বিশ্বে মানবাধিকা নিয়ে বেশি কথা বলেন, সেই সকল দেশেই বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা আশ্রিত রয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা এই খুনিদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে প্রকৃত মানবাধিকারের পরিচয় দিন। তাহলেই আপনাদের মানবাধিকারের কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।
এবারের শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সারা দেশের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বলেন, সেই দিন (১৯৭৫) খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে কিন্তু তাঁর আদর্শকে রুদ্ধ করতে পারেনি। সারা দেশের মানুষ শোক ও শ্রদ্ধার সাথে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেছে।
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির কার্যকরের জোর দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শোককে আমরা শক্তিতে পরিণত করেছি। এবার সময় এসেছে খুনিদের বিচার করার। এটা তাদের প্রাপ্য শাস্তি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এডঃ কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ