শিক্ষা, যোগাযোগ, বিশেষ করে দুর্যোগ পূর্বাভাস এবং প্রস্তুতির জন্য মহাকাশে স্যাটেলাইট স্থাপন করা বাংলাদেশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় বিষয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কিউবস্যাট-এর মতো- সহজেই বানানো যায় এমন- সাধারণ প্রযুক্তির স্যাটেলাইটও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হয় না শুধুমাত্র এর বিপুল স্থাপনা-ব্যয়ের জন্য।
জাতিসংঘের মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর আউটার স্পেস অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওওএসএ) এবং জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জেএএক্সএ) মধ্যে হওয়া চুক্তির মাধ্যমে সম্প্রতি এ সমস্যা সমাধানের একটি সুযোগ তৈরি হলো ।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ইউএনওওএসএ এবং জেএএক্স-এর মধ্যে হওয়া এই চুক্তির ফলে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের জাপান এক্সপেরিমেন্টাল মডিউল, কিবোর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোও মহাকাশে কিউবস্যাট স্থাপন করতে পারবে। আর এ জন্য তাদের দিতে হবে স্থাপনা-ব্যয়ের সামান্য একটি অংশ।
এবছর থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের মধ্যে এই চুক্তির আওতায় একটি উন্নয়নশীল দেশ প্রতিবছর একটি করে স্যাটেলাইট স্থাপন করতে পারবে। এই স্যাটেলাইটগুলো ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ২৫০ মাইল উচ্চতায় প্রতি ৯২ মিনিটে একবার পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে আসবে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে মহাকাশ গবেষণায় উৎসাহিত করাই এ প্রকল্পের প্রাথমিক লক্ষ্য।
এর আগে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে জাপানের ক্যুউশু ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কিউবস্যাট তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এই শিক্ষার্থীরা একটি কিউবস্যাট তৈরিও করেন। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে তা মহাকাশে পাঠানো সম্ভব ছিল না। নতুন এই প্রকল্পের সুযোগে ওই স্যাটলাইটটিকে এবার কাজে লাগানো যাবে বলে আশা করছেন এর নির্মাতারা।