মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের নির্দেশ ফেলানীর পরিবারকে

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি (৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
ফেলানীর মামলা নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কিশোরী ফেলানী খাতুন ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারত থেকে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। দেশে ফেরার সময় অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের জওয়ান অমিয় ঘোষ গুলি করে হত্যা করে ফেলানিকে।
কাঁটাতারের ওপর দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকে ১৬ বছরের কিশোরী ফেলানীর মৃতদেহ যা দেশে বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
বিএসএফ নিজেই ফেলানী হত্যার অভিযোগে মামলা করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা আর বিএসএফে আইনের ১৪৬ ধারায় মামলা করা হয়েছিল।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিএসএফের আদালত ফেলানী হত্যা মামলায় অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেয়। সেই রায়ের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক। পুনর্বিবেচনারেও অমিয়কে খালাস দেয়া হয়।
পরে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার চেয়ে গত ১৪ আগস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালতে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগেই ভারতের মানবাধিকার কমিশন এ আদেশ দিল।