ডটার অব ইস্ট পাকিস্তানের
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ২০০৭
সালের ২৭ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে
বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন।
কিন্তু সেদিন যদি তিনি
গোয়েন্দাদের কথা শুনতেন, তাহলে
হয়তো এভাবে তাকে চলে
যেতে হতো না।
পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী
ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) তৎকালীন প্রধান ও উপপ্রধান
তাকে বারবার অনুরোধ করেছিলেন
রাওয়ালপিন্ডিতে না যাওয়ার জন্য। কিন্তু
তিনি তাদের কথা শোনেননি। বেনজির
ভুট্টোর তৎকালীন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সিনিয়র পুলিশ সুপার
ইমতিয়াজ হুসাইন সম্প্রতি সন্ত্রাসবিরোধী
আদালতকে জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে আইএসআইয়ের
প্রধান লে. জেনারেল নাদিম
তাজ এবং উপপ্রধান মেজর
জেনারেল এহসান হামলার বিষয়ে
সতর্ক করেছিলেন বেনজির ভুট্টোকে।
২০০৭ সালের ২৬ ও
২৭ আগস্টের রাতে বেনজির ভুট্টোর
সঙ্গে দেখা করেন নাদিম
তাজ ও এহসান।
তারা তাকে নিরাপত্তার বিষয়ে
সতর্ক করেছিলেন। র্যালিতে
অংশ না দিতে অনুরোধ
করেছিলেন তারা। কিন্তু
তাদের কথা শোনেননি তিনি। বেনজির
ভুট্টোকে যার মাশুল দিতে
হয় জীবন দিয়ে।
ইমতিয়াজ হুসাইন তার বক্তব্যে
বলেন, ‘আইএসআইয়ের প্রধান ও উপপ্রধান
বেনজির ভুট্টোকে নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন,
এ কথা বেনজির ভুট্টো
আমাকে বলেছিলেন। এ
নিয়ে আইএসআইয়ের প্রধান কয়েক ঘণ্টা
তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন।’ ইমতিয়াজ
আরো বলেন, বেনজির ভুট্টোকে
আইএসআইয়ের কাছে থাকা তথ্যের
বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল,
আত্মঘাতী হামলাকারীরা রাওয়ালপিন্ডিতে ঢুকেছে। র্যালির
আগে, পরে যখনই সুযোগ
হোক, সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা
চালাতে পারে।’ শেষ
পর্যন্ত গোয়েন্দাদের আশঙ্কাই সত্যি হয়।
আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ দিতে
হয় বেনজির ভুট্টোকে।