নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের আগেই সংসদ সদস্যপদ থেকে সরে দাঁড়ানোর
ঘোষণা দিলেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ
সিদ্দিকী। তিনি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
লতিফ সিদ্দিকীর এই ঘোষণায় টাঙ্গাইলের নিজ আসন কালিহাতীতে তাঁর সমর্থকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। তবে তাঁরা হতাশ হলেও দলীয় প্রধানের নির্দেশনা মেনে কাজ করবেন। এ আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের কেউ কেউ প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় লতিফ সিদ্দিকী দলীয় পদ ও মন্ত্রিত্ব হারান। আওয়ামী লীগ থেকে তাঁর সংসদ সদস্যপদ বাতিলের জন্য স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়। স্পিকার বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠান। তবে কমিশনের এই এখতিয়ার আছে কি না, তা চ্যালেঞ্জ করে লতিফ সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিলে তিনি আপিল বিভাগে যান।
গতকাল রোববার একই সঙ্গে আপিল বিভাগে এবং কমিশনে শুনানির দিন ধার্য ছিল। সকালে আপিল বিভাগ লতিফ সিদ্দিকীর আবেদনের ওপর কোনো আদেশ না দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এর ফলে লতিফ সিদ্দিকীকে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে যেতে হয়।
নির্বাচন কমিশনে শুনানি: বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত শুনানিতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে তাঁর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বলেছি, লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করবেন। তাই শুনানি স্থগিত করার জন্য কমিশনে লিখিত আবেদন করেছি।’
শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহ নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু আমার নেত্রী চান না আমি সংসদে থাকি, তাই আমি নিজেই পদত্যাগ করব। এ নিয়ে আর শুনানির প্রয়োজন নেই বলে কমিশনকে বলেছি। দল থেকে বহিষ্কার হলেও শেখ হাসিনাই আমার নেতা। নেতার প্রতি আমি অনুগত।’
জানতে চাইলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লতিফ সিদ্দিকী শুনানিতে উপস্থিত হয়ে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন। কমিশন তাঁর কথা শুনেছে। অপর দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে তাঁর আইনজীবী এ বি এম রিয়াজুল কবির কায়সার কেন লতিফ সিদ্দিকীর সদস্যপদ থাকবে না, সে বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। সদস্যপদ থাকা না-থাকার বিষয়ে কমিশন ৬ সেপ্টেম্বরের পর তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করলে শুনানির প্রয়োজন হবে কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক প্রথম আলোকে বলেন, লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করলে তো আর বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে না। যেহেতু বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্পিকার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছেন, আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, সুতরাং এ বিষয়ে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।
পদত্যাগের ঘোষণার পর টাঙ্গাইল: প্রথম আলোর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লতিফ সিদ্দিকী দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর সম্ভাব্য উপনির্বাচন সামনে রেখে অনেকেই মাঠে নেমেছিলেন।
গতকাল সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পর সম্ভাব্য সেই সব প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা চাঙা হয়ে উঠেছেন। উপনির্বাচন সামনে রেখে কয়েক মাস আগে থেকেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন। এঁদের মধ্যে আলোচনায় আছেন কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপপরিষদের সহসম্পাদক হাসান ইমাম খান (সোহেল হাজারী), জনতা ব্যাংক ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ইব্রাহিম, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সভাপতি কুদরত-ই-এলাহী খান, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও ব্যবসায়ী নেতা আবুল কাশেম।
১৯৭০ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে এ আসনে (টাঙ্গাইল-৪) লড়েছেন লতিফ সিদ্দিকী। ব্যতিক্রম ছিল ১৯৮৬ সালের নির্বাচন। কারাগারে থাকার কারণে তিনি ওই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তবে তাঁর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন।
কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার প্রতি নেতা-কর্মীর অবিচল আস্থা রয়েছে। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন এবং উপনির্বাচনে যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, তাঁর হয়েই দল কাজ করবে।
অবশ্য লতিফ সিদ্দিকীর কোনো কোনো সমর্থক হতাশা ব্যক্ত করেন। নাগবাড়ী গ্রামের মোশারফ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকীর এলাকার মানুষ হিসেবে এবং তাঁর একজন সমর্থক হিসেবে সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছি।’
রাজবাড়ী গ্রামের নুরুল আলম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর এই পদত্যাগের ঘোষণায় এলাকায় তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরেই মানুষ ধরে নিয়েছিল এমনটি হবে।
লতিফ সিদ্দিকীর এই ঘোষণায় টাঙ্গাইলের নিজ আসন কালিহাতীতে তাঁর সমর্থকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। তবে তাঁরা হতাশ হলেও দলীয় প্রধানের নির্দেশনা মেনে কাজ করবেন। এ আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের কেউ কেউ প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় লতিফ সিদ্দিকী দলীয় পদ ও মন্ত্রিত্ব হারান। আওয়ামী লীগ থেকে তাঁর সংসদ সদস্যপদ বাতিলের জন্য স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়। স্পিকার বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠান। তবে কমিশনের এই এখতিয়ার আছে কি না, তা চ্যালেঞ্জ করে লতিফ সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিলে তিনি আপিল বিভাগে যান।
গতকাল রোববার একই সঙ্গে আপিল বিভাগে এবং কমিশনে শুনানির দিন ধার্য ছিল। সকালে আপিল বিভাগ লতিফ সিদ্দিকীর আবেদনের ওপর কোনো আদেশ না দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এর ফলে লতিফ সিদ্দিকীকে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে যেতে হয়।
নির্বাচন কমিশনে শুনানি: বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত শুনানিতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে তাঁর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বলেছি, লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করবেন। তাই শুনানি স্থগিত করার জন্য কমিশনে লিখিত আবেদন করেছি।’
শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহ নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু আমার নেত্রী চান না আমি সংসদে থাকি, তাই আমি নিজেই পদত্যাগ করব। এ নিয়ে আর শুনানির প্রয়োজন নেই বলে কমিশনকে বলেছি। দল থেকে বহিষ্কার হলেও শেখ হাসিনাই আমার নেতা। নেতার প্রতি আমি অনুগত।’
জানতে চাইলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লতিফ সিদ্দিকী শুনানিতে উপস্থিত হয়ে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন। কমিশন তাঁর কথা শুনেছে। অপর দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে তাঁর আইনজীবী এ বি এম রিয়াজুল কবির কায়সার কেন লতিফ সিদ্দিকীর সদস্যপদ থাকবে না, সে বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। সদস্যপদ থাকা না-থাকার বিষয়ে কমিশন ৬ সেপ্টেম্বরের পর তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করলে শুনানির প্রয়োজন হবে কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক প্রথম আলোকে বলেন, লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করলে তো আর বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে না। যেহেতু বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্পিকার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছেন, আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, সুতরাং এ বিষয়ে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।
পদত্যাগের ঘোষণার পর টাঙ্গাইল: প্রথম আলোর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লতিফ সিদ্দিকী দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর সম্ভাব্য উপনির্বাচন সামনে রেখে অনেকেই মাঠে নেমেছিলেন।
গতকাল সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পর সম্ভাব্য সেই সব প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা চাঙা হয়ে উঠেছেন। উপনির্বাচন সামনে রেখে কয়েক মাস আগে থেকেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন। এঁদের মধ্যে আলোচনায় আছেন কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপপরিষদের সহসম্পাদক হাসান ইমাম খান (সোহেল হাজারী), জনতা ব্যাংক ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ইব্রাহিম, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সভাপতি কুদরত-ই-এলাহী খান, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও ব্যবসায়ী নেতা আবুল কাশেম।
১৯৭০ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে এ আসনে (টাঙ্গাইল-৪) লড়েছেন লতিফ সিদ্দিকী। ব্যতিক্রম ছিল ১৯৮৬ সালের নির্বাচন। কারাগারে থাকার কারণে তিনি ওই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তবে তাঁর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন।
কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার প্রতি নেতা-কর্মীর অবিচল আস্থা রয়েছে। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন এবং উপনির্বাচনে যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, তাঁর হয়েই দল কাজ করবে।
অবশ্য লতিফ সিদ্দিকীর কোনো কোনো সমর্থক হতাশা ব্যক্ত করেন। নাগবাড়ী গ্রামের মোশারফ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকীর এলাকার মানুষ হিসেবে এবং তাঁর একজন সমর্থক হিসেবে সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছি।’
রাজবাড়ী গ্রামের নুরুল আলম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর এই পদত্যাগের ঘোষণায় এলাকায় তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরেই মানুষ ধরে নিয়েছিল এমনটি হবে।