বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

৭ উইকেট ​পেলেই কপিল–ক্যালিসদের ক্লাবে সাকিব

সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে নমস্য। জ্যাক ক্যালিস। অন্তত পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদেরই একজন। সেই কপিল-ক্যালিসদের অভিজাত একটি ক্লাবে মিরপুর টেস্টেই ঢুকে ​যেতে পারেন সাকিব আল হাসান। দরকার আর মাত্র সাতটি উইকেট! সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এই অর্জন ছুঁতে চলেছেন সাকিব।
যে ক্লাবে আছেন হাতে-গোনা মাত্র কয়েকজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ হাজার রান ও ৪০০ উইকেটের ডাবল আছে মাত্র ৫ জনের। কপিল-ক্যালিসের নাম তো আগেই শুনেছেন। বাকি তিনজন হলেন সনাৎ​ জয়াসুরিয়া, শহীদ আফ্রিদি ও ক্রিস কেয়ার্নস। চট্টগ্রাম টেস্টের একমাত্র ইনিংসে ৪৭ রান করার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ হাজার রান পূর্ণ হয়েছে সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের উইকেট এখন ৩৯৩টি।
৪১ টেস্টে প্রায় ৪০ গড়ে ২ হাজার ৭৮৮ রানের পাশাপাশি ১৪৭টি উইকেট পেয়েছেন। ১৫৬টি ওয়ানডেতে ৩৫.৩৩ গড়ে ৪ হাজার ৩৮২ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ২০১টি উইকেট। ৩৮টি টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের রান ৮৪৩, উইকেট ৪৫টি। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনি। ওয়ানডের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হতে চাই আর মাত্র ৬টি উইকেট।
একই ক্লাবে আছেন বটে। তবে রানের দিক সবাইকে বিস্তর ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন ক্যালিস ও জয়াসুরিয়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যালিসের রান ২৫ হাজার ৫৩৪, উইকেট ৫৭৭টি। জয়াসুরিয়ার রান ২১ হাজার ৩২, উইকেট ৪৪০। বাকিদের মধ্যে ব্যবধান এমন বেশি নয়। আফ্রিদির রান ১০ হাজার ৯৪৫, ৫২৫টি উইকেট। কপিলের রান ৯ হাজার ৩১, উইকেট ৬৮৭টি। কেয়ার্নসের রান ৮ হাজার ২৭৩, ৪২০টি উইকেট।
এই ডাবল ছুঁতে জয়াসুরিয়াকে খেলতে হয়েছে ৫০৬টি ম্যাচ। আফ্রিদিকে ৩৮৩টি। ক্যালিসকে ৩৩৩টি। কেয়ার্নসকে ২৫৮টি। এবং কপিলকে ২৯৫টি ম্যাচ। এটা মোটামুটি নিশ্চিত ২৩৫টি ম্যাচ খেলা সাকিবই দ্রুততম সময়ে ৮ হাজার রান ও ৪০০ উইকেটের এই ডাবল ছুঁতে চলেছেন।