যে ইন্ডাস্ট্রির মোট আয় বছরে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে স্টারদের আয় কী রকম কখনও ভেবে দেখেছেন? জানলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। আয়ের নিরিখে অনেক দেশের বড় বড় স্টারদের অনায়াসে টেক্কা দিতে পারেন এই পর্নো তারকারা।
এক নজরে দেখে নিন, আয়ের বিচারে প্রথম ১০ জন পর্নো তারকা কারা এবং তাদের বার্ষিক আয় কত।
১) জেনা জেমসন্স: বয়ফ্রেন্ডের ওপর রাগ করে হঠাত্ করে ঠিক করেন পর্নো তারকা হবেন, ব্যস যেমন ভাবা তেমন কাজ। হয়েই গেলেন। এ মুহূর্তে রোজগারের বিচারে এক নম্বরে রয়েছেন জেনা। বার্ষিক আয় ৩ কোটি মার্কিন ডলার।
২) টেরা প্যাট্রিক: ১৯৯৯ সালে পর্নো দুনিয়ায় নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন টেরা। ২০০৮ সালে অবসর নিলেও নিজের প্রোডাকশন হাউস চালান। বিশ্বজুড়ে নিজের অভিনীত ছবিগুলিকে লাইসেন্স করিয়েছেন। সেই থেকেই বিরাট আয় হয় তার। এখন বছরে আয় করেন দেড় কোটি মার্কিন ডলার।
৩) পিটার নর্থ: গিয়েছিলেন মডেল হতে, হয়ে গেলেন পর্নো তারকা। একটি ইন্টারভিউতে নিজের মুখেই এ কথা স্বীকার করেছেন নর্থ। একটি প্রাইভেট পার্টিতে মডেলিংয়ের কাজ করার সময় এক পরিচালকের নজরে পড়ে যান তিনি। তার পর প্রচুর পর্নো মুভিতে অভিনয় করেছেন এবং নিজেও পরিচালনার কাজ করেছেন। বার্ষিক আয় ১ কোটি ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার।
৪) ট্রেসি লর্ডস: আসল নাম নোরা লুইসি কুজমা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে এক জন ন্যুড মডেল হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করেন ট্রেসি। দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। তার সঙ্গে বানিয়েছেন বিরাট ব্যাঙ্ক ব্যালান্স। বার্ষিক আয় ১ কোটি মার্কিন ডলার।
৫) জেসি জেন: নিউ ইয়র্কে তিনি রীতিমতো জনপ্রিয়। একটি আর্টিকেলে লেখা হয়েছিল, ‘তিনি ২ বার ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট অপারেশন করিয়েছেন। আসলে অপারেশন নয়, ইনভেস্টমেন্ট।’ বার্ষিক আয় ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার।
৬) মারিয়া তাকাগি: এ মুহূর্তে অন্যতম জনপ্রিয় পর্নো অভিনেত্রী। জাপান থেকে সোজা মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমানোর পর আয়ের বিচারেও সকলকে টেক্কা দিচ্ছেন। বার্ষিক আয় প্রায় ৮০ লক্ষ মার্কিন ডলার।
৭) রন জেরেমি: এক সময় শিক্ষক ছিলেন। পরে অভিনেতা হওয়ার আশায় নিউ ইয়র্কের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষে পর্যন্ত করতে হয়েছে তাকে। এখন তাকে বেস্ট মেল পর্নো স্টারের আখ্যা দেওয়া হয়। ব্যাঙ্ক ব্যালান্সও সে কথাই বলে। বার্ষিক আয় ৭৫ লক্ষ মার্কিন ডলার।
৮) ব্রি ওলসন: ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের শখ ছিল। স্টেজে এক সময় অভিনয়ও করেছেন। তার পর এ পেশায় আসা ঠিক করেন। এ মুহূর্তে আয়ের বিচারে তিনি ৮ নম্বরে রয়েছে। বার্ষিক আয় ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার।
৯) কেটি মর্গ্যান: এক সময় জেলবন্ধি জীবন কাটাচ্ছিলেন কেটি। মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় মারিজুয়ানা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের জামিন এবং মামলা লড়ার খরচ জোগাড় করতেই এই পেশায় আসেন কেটি। এখন অন্যতম ধনী তারকা তিনি। বছরে আয় ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলারের কিছু বেশি।
১০) লেক্সিনটন স্টিলি: এক সময় পেশায় স্টক ব্রোকার ছিলেন একটি নামকরা ফার্মে। ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে য়খন হামলা হয়, তখন তিনি সেখানেই ছিলেন। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছিলেন। এর বার্ষিক আয় ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার।
স্পেশাল মেনশন: হ্যাঁ, যাকে খুঁজছেন তিনিও আছেন তালিকায়। সানি লিওন। পর্নো সিনেমায় মুখ দেখানো ছেড়েছেন অনেক দিন হয়ে গিয়েছে, তবে আয়ের বিচারে তিনি আছেন ২১ নম্বরে।
পর্নোগ্রাফিযুক্ত কনটেন্ট নিয়ে সারা বিশ্বে প্রতি দিন ২ হাজার ৫০০ কোটি ই-মেল পাঠানো হয়। শুধুমাত্র মোবাইল পর্ন সাইটগুলি চলতি বছরে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার লাভ করবে বলে অনুমান। মার্কিন মুলুকেই প্রতি দিন ৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেটে পর্ন দেখেন।রবিবার বিশ্ব জুড়ে সব থেকে বেশি মানুষ পর্ন দেখেন। ইন্টারনেটে ৪টির মধ্যে ১টি সার্চ হয়ে থাকে পর্নের বিষয়ে। বিশ্বে প্রতিদিন যত জিনিস ডাউনলোড করা হয়, তার এক তৃতীয়াংশই Porn. প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন পুরুষ কাজের জায়গায় পর্ন দেখে থাকেন।