কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সোমবার অবস্থান নিয়ে এমন কথা জানালেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবে তারা।
গত শনিবার থেকে একই দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। ফলাফল বাতিল চেয়ে রোববার হাইকোর্টে একটি রিট দাখিল করা হয়। যা সোমবার খারিজ করে দেন আদালত।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় চার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
‘রিট খারিজ করে দেওয়া হয়েছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সালমান বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের পরীক্ষা অবশ্যই বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। লোকদেখানো এ পরীক্ষায় আমাদের পরিশ্রমকে বৃথা যেতে দিতে পারি না। এখন সারাদেশেই আমাদের আন্দোলন চলছে, আমরা আপাতত শহীদ মিনারে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
‘পরবর্তী সময়ে রাজপথ অবরোধের মতো বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন’ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করে ছাড়ব।’
সোমবার সকালে আটক হওয়া চার শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সারাদেশে একযোগে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পাসের হার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ।