এবার বিশ্বের সেরা ১০০ সহমর্মী (কমপ্যাশিওনেট) ব্যবসায়ী নেতার তালিকায়
স্থান পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশী প্রফেসর ড.
মুহাম্মদ ইউনূস। ওই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। তালিকাটি করেছে
যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ‘সল্ট’। আরও উন্নত বিশ্ব নির্মাণে ব্যবসা
একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে- এ প্রত্যাশায় প্রকাশিত এ পত্রিকা
প্রথমবারের মতো সেরা ১০০ সহমর্মী (ঈড়সঢ়ধংংরড়হধঃব) ব্যবসায়ী নেতার তালিকা
প্রকাশ করেছে। তালিকা প্রকাশ উপলক্ষে ‘সল্ট’ সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, ‘ইউনূস ঋণকে মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার বলে বিবেচনা করেন এবং
লাখ লাখ মানুষকে ব্যাংকিংব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছেন।’ ওই
তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছেন যথাক্রমে পল পোলম্যান ও রিচার্ড
ব্র্যানসন। তালিকায় উল্লেখযোগ্য অন্যদের মধ্যে রয়েছেন বিল গেট্স,
অ্যারিয়ানা হাফিংটন, ল্যারি পেজ, টেড টার্নার, ওয়ানের বাফেট ও টিম কুক।
তালিকা তৈরির সময়ে যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে টিকে থাকার
সক্ষমতা, উদ্ভাবনশীলতা, সহমর্মিতা, ফলাফল এবং এ ধরনের তালিকায় সচরাচর
প্রত্যাশিত অন্যান্য মানদণ্ড। নবায়নযোগ্য শক্তি, সম্পদ সংরক্ষণ, কৃষি এবং
সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকার সক্ষমতার মানদণ্ডে প্রদর্শিত নেতৃত্বের
বিচারে ব্যক্তিত্বদের তালিকার জন্য বাছাই করা হয়েছে।
বাড়তি মানদণ্ডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল এই
ব্যক্তিরা তাদের শিল্পে কোন নতুন ধারণার প্রবর্তন করেছেন কি-না, প্রমিত
ব্যবসায়ী দৃষ্টান্তকে ছাড়িয়ে যায়- এমন কোন কোম্পানি সৃষ্টি করেছেন কি-না
এবং তাদের এ উদ্ভাবন কত মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে প্রফেসর ইউনূস ২০০৮ সালে ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০
নেতৃস্থানীয় চিন্তাবিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং ২০১২ সালে বিশ্বখ্যাত
‘ফরচুন’ ম্যাগাজিনের এ যুগের ১২ শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান
পেয়েছিলেন।