সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ফেসবুক আইডি থেকে ২০০ মেয়ের নগ্ন ছবি হাতিয়েছে যে যুবক

দেড় বছর ধরে ভারতের হায়দরাবাদের ২১ বছর বয়সী প্রকৌশল শিক্ষার্থী আবদুল মজিদ ফেসবুকে প্রায় ২০০ মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেককে বোকা বানিয়ে কিংবা ব্ল্যাকমেইল করে তাদের নগ্ন ছবি হাতিয়েছে। এ অভিযোগে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। মেয়েদের নাম দিয়ে প্রায় ৮টি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে মজিদ। এরপর হায়দরাবাদের স্কুলগামী মেয়েদের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে সে। পুলিশ কমিশনার সি ভি আনন্দ বলেন, তার ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে নামকরা কিংবা আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজত মজিদ। এরপর তাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতো। তার রিকোয়েস্ট গ্রহণকারী মেয়েদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা কিছুদূর গড়ানোর পরই তাদের সঙ্গে যৌনতা নিয়ে কথা বলা শুরু করতো। একপর্যায়ে সেসব মেয়ের কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় তাদের এ ‘নতুন বন্ধু’কে নিজের নগ্ন ছবি দিতে রাজি হয়। নতুন বন্ধুকে তারা কেউ জানতো বেদিকা নামে। কেউবা তানবি নামে। কেউবা আবার শ্রেয়া নামে। অন্যদের ব্ল্যাকমেইল করে নগ্ন ছবি হাতিয়ে নিতো মজিদ।
মেয়েদের নামে বানানো ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে মজিদ ওই মেয়েদের বলতো, সে একজন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে। অথবা তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ কথোপকথনের চিত্র তাদের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার কিংবা ফেসবুকে প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দিতো সে। সি ভি আনন্দ বলেন, অনেক ভুক্তভোগী মেয়ে যখন নিজেদের নগ্ন ছবি প্রকাশ করতে চাইতো না, তখন মজিদ তাদের ভয় দেখাতো। ভয় পেয়ে অনেকে নিজেদের নগ্ন ছবি তাকে দিয়েছে। অনেক টেলিফোন নম্বর থেকে মজিদ ওই মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতো। তাদের আরও নগ্ন ছবি পাঠাতে বলতো। যদি তারা অস্বীকৃতি জানাতো, তবে আগের নগ্ন ছবিগুলো পর্নো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দিত। এমনকি একটি ঘটনায়, একটি মেয়ের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে প্রায় ৮৬ হাজার রুপি আদায় করেছে। পুলিশের সন্দেহ, শত শত মেয়ে মজিদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেননা, পুলিশ তার মোবাইল ফোন ঘেঁটে এমন শত শত নগ্ন ছবি পেয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে তার কুকীর্তির অবসান ঘটেছে। কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী এক মেয়ের মা স্থানীয় পুলিশের সহায়তা কামনা করেন। স্থানীয় শহরের একটি কলেজের শিক্ষার্থী ওই মেয়েটি মজিদের হুমকি পাওয়ার পর নিজের দুর্দশার কথা মাকে খুলে বলতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। তার মা এরপর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই মেয়েটির সহায়তায় মজিদকে শুক্রবার আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।