জাসদই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী
লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন,
‘স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনো বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত হানতে পারত না, যদি এই
গণবাহিনী, জাসদ বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে, মানুষ
হত্যা করে, এমপি মেরে পরিবেশ সৃষ্টি না করত। সুতরাং বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল
রহস্য বের করতে হবে, কারা কারা জড়িত ছিল।’
গতকাল রোববার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অনুষ্ঠিত শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় শেখ সেলিম এসব কথা বলেন। ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শেখ সেলিম বলেন, কর্নেল তাহের জাসদের গণবাহিনীর প্রধান ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সহানুভূতিশীল হয়ে যাঁকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন, তিনিও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে তাহেরের কী পরিণতি হয়েছিল, তা সবাই দেখেছেন।
শেখ সেলিম বঙ্গবন্ধুর সরকারের সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘শেখ মণি মারা যাওয়ার দেড়-দুই ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধুকে মারা হয়।...বঙ্গবন্ধু সবার কাছে ফোন দিয়েছেন। কর্নেল জামিল ছুটে আসছিল। আর উনি (সফিউল্লাহ) বসে বুড়ো আঙুল চুষেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা তো কোনো সেনা অভ্যুত্থান ছিল না। বিপথগামী সেনা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এটা করেছিল। যখন তারা অস্ত্র নেয়, তখনই তাদের কোর্ট মার্শাল হওয়া উচিত ছিল। উনি (সফিউল্লাহ) আগায়া আসল না। কেন ওই দিন বঙ্গবন্ধুর বাসার দিকে শাফায়াত জামিলকে সঙ্গে নিয়ে পাঁচখানা, দশখানা ট্রাক আসে নাই। কিসের জন্য সফিউল্লাহ নীরব ছিল?’
কে এম সফিউল্লাহকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘উনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন, আপনি একটু বাসা থেকে বের হয়ে যাইতে পারেন না। কত বড়...। বঙ্গবন্ধুকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আর্মির ভয়ে বাসা থেকে পালায় না, আর তাঁর বানানো আর্মি দেখে উনি পালায় যাবেন। ক্যান তুমি আসতে পারলা না?’
শেখ সেলিম বলেন, ‘জিয়াউর রহমান আর্মির ডেপুটি চিফ ছিল। সে-ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। এখন বিস্তারিত কিছু বলব না। জিয়াউর রহমান, শাফায়াত জামিল, খালেদ মোশাররফ কী করেছিল—এ প্রশ্নের জবাব একদিন দিতে হবে। এ জন্য একটা তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক।’ তিনি বলেন, রক্তের সঙ্গে যারা বেইমানি করেছে, তারা কখনো ভালো থাকতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধু সিঁড়ির ওপর পড়ে ছিল, জিয়াউর রহমানও সিঁড়ির ওপর পড়ে ছিল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তার করুণ পরিণতি হতো না। খালেদ মোশাররফ ওই পথে চলে গেছে।’
ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ, কলাবাগান থানার সভাপতি নাজমুল করিম, হাজারীবাগ থানার সভাপতি ইলিয়াছুর রহমান, নিউমার্কেট থানার সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
গতকাল রোববার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অনুষ্ঠিত শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় শেখ সেলিম এসব কথা বলেন। ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শেখ সেলিম বলেন, কর্নেল তাহের জাসদের গণবাহিনীর প্রধান ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সহানুভূতিশীল হয়ে যাঁকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন, তিনিও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে তাহেরের কী পরিণতি হয়েছিল, তা সবাই দেখেছেন।
শেখ সেলিম বঙ্গবন্ধুর সরকারের সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘শেখ মণি মারা যাওয়ার দেড়-দুই ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধুকে মারা হয়।...বঙ্গবন্ধু সবার কাছে ফোন দিয়েছেন। কর্নেল জামিল ছুটে আসছিল। আর উনি (সফিউল্লাহ) বসে বুড়ো আঙুল চুষেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা তো কোনো সেনা অভ্যুত্থান ছিল না। বিপথগামী সেনা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এটা করেছিল। যখন তারা অস্ত্র নেয়, তখনই তাদের কোর্ট মার্শাল হওয়া উচিত ছিল। উনি (সফিউল্লাহ) আগায়া আসল না। কেন ওই দিন বঙ্গবন্ধুর বাসার দিকে শাফায়াত জামিলকে সঙ্গে নিয়ে পাঁচখানা, দশখানা ট্রাক আসে নাই। কিসের জন্য সফিউল্লাহ নীরব ছিল?’
কে এম সফিউল্লাহকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘উনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন, আপনি একটু বাসা থেকে বের হয়ে যাইতে পারেন না। কত বড়...। বঙ্গবন্ধুকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আর্মির ভয়ে বাসা থেকে পালায় না, আর তাঁর বানানো আর্মি দেখে উনি পালায় যাবেন। ক্যান তুমি আসতে পারলা না?’
শেখ সেলিম বলেন, ‘জিয়াউর রহমান আর্মির ডেপুটি চিফ ছিল। সে-ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। এখন বিস্তারিত কিছু বলব না। জিয়াউর রহমান, শাফায়াত জামিল, খালেদ মোশাররফ কী করেছিল—এ প্রশ্নের জবাব একদিন দিতে হবে। এ জন্য একটা তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক।’ তিনি বলেন, রক্তের সঙ্গে যারা বেইমানি করেছে, তারা কখনো ভালো থাকতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধু সিঁড়ির ওপর পড়ে ছিল, জিয়াউর রহমানও সিঁড়ির ওপর পড়ে ছিল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তার করুণ পরিণতি হতো না। খালেদ মোশাররফ ওই পথে চলে গেছে।’
ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ, কলাবাগান থানার সভাপতি নাজমুল করিম, হাজারীবাগ থানার সভাপতি ইলিয়াছুর রহমান, নিউমার্কেট থানার সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ।