এইচএসসি পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় ঘটেছে। চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। সারা দেশে
জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। গতবারের চেয়ে এবার গড় পাসের হার ও জিপিএ-৫
উভয়ই কমেছে।
প্রধানত তিন কারণে এ বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে ধারণা করছেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ
কারণ তিনটি হলো:
ইংরেজি প্রশ্ন কঠিন হওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব
স্মরণকালের ফল বিপর্যয়ে মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ
মতিঝিল আইডিয়াল কলেজে এবার স্মরণকালের ফল বিপর্যয়রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল কলেজে এবার স্মরণকালের ফল বিপর্যয় হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষায় আইডিয়াল কলেজের ২৫ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
২০১৫ সালে মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ থেকে ১০৮৪ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬২৪ জন, বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৩০৪ ও মানবিক বিভাগ থেকে ১৫৬ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
ফলাফলে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে দু’জন অকৃতকার্য হয়েছে। ১৫৬ জন মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন ও ৩০৪ জন বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন অকৃতকার্য হয়েছে।
এবারই প্রথম বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আইডিয়াল কলেজ থেকে দুই শিক্ষার্থী কৃতকার্য হতে পারেনি। মানবিক বিভাগে ২০ জন শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনাও আগে এ কলেজে ঘটেনি।
ফল প্রকাশের পর মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে কোনো আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। কলেজের অধ্যক্ষকে দেখা যায়নি ক্যাম্পাসে। কোন উল্লাস ছিল না। ফলাফল জানতে এসে শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
উল্লেখ্য, এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেরা কলেজ নির্বাচিত করেনি।
ফল বিপর্যয়ের কারণ প্রসঙ্গে যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র
রবিবার ফলাফল প্রকাশের পর ফল বিপর্যয়ের কারণ প্রসঙ্গে যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের বলেছে এ বছর ইংরেজি প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। ফলাফলেও তা স্পষ্ট— যদিও কোনো বোর্ডই নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে না। বোডের্র প্রশ্নপত্র লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া এইচএসসির নির্বাচনী পরীক্ষার আগে থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেও শিক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবও শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষার আগেরদিন কথিত প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা চর্চা করে পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রকৃত প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল পায়নি। এটাও ফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।
যশোর বোর্ডে গত ৫ বছর ধারাবাহিকভাবে ফল নিম্নমুখী হওয়ার পর এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৪৫ ভাগ। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬০ দশমিক ৫৮, আর ২০১৩ সালে এ হার ছিল ৬৭ দশমিক ৪৯ ভাগ। এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও নেমে এসেছে অনেকে নিচে। এ সংখ্যা ১ হাজার ৯২৭ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২৩১, আর ২০১৩ সালে ছিল ৪ হাজার ৭৪০।
যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায়, যশোর বোর্ডে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ১৪ হাজার ২৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ২৭ হাজার ৫০ ও ছাত্রী ২৬ হাজার ৩৭। পাসের হার ৪৬ দশমিক ৪৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯২৭ জন। পরীক্ষায় বহিস্কৃত হয়েছিল ১২৯ জন।
এ বছর যশোর বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৩ হাজার ৭১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯ হাজার ৪৩০ জন। পাসের হার ৬৮ দশমিক ৭৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৭০ জন। মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৭২ হাজার ৬৮৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২৭ হাজার ২৫৮ জন। পাসের হার ৩৭ দশমিক ৫০ ভাগ। এই বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৬ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২৮ হাজার ৪৯৯ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ১৬ হাজার ৩৯৯ জন। পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭১ জন ছাত্র ছাত্রী।
যশোর বোর্ড সার্বিক ফলাফলে গত বছরের তুলনায় ব্যাপক ফল বিপর্যয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বোর্ডের থেকেও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। গত বছরের মতো এবারো সিংহভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে কৃতকার্য হতে পারেনি। এ বছর যশোর বোর্ডে ইংরেজিতেই ফেল করেছে ৪৯ দশমিক ০৯ ভাগ শিক্ষার্থী। কারণ হিসেবে ইংরেজি প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন। গড় পাসের হার ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। গতবার সারা দেশে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এবার সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭০ হাজার ৬০২ জন।
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধের কারণে পাসের হার কমেছে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধের কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবনে পরীক্ষার ফল হস্তান্তর তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার সময় বাংলাদেশে একটি অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছিল। সে সময় বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ তো ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল পেট্রোল বোমা মারা। এর মধ্য দিয়ে আমরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েছি। বিএনপি-জামায়াত আত্মঘাতী সহিংস কর্মকান্ড না করলে পাসের হার আরও বেশি হতো।
আইডিয়াল কলেজে ফল বিপর্যয়: শিক্ষামন্ত্রী
হরতাল অবরোধের কারণে পাশের হার কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ দেওয়ার কারণে বার বার সময়সূচি পরিবর্তন করতে হয়েছে। পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ না দেওয়ার অনুরোধ করার পরেও হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়নি।
প্রধানত তিন কারণে এ বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে ধারণা করছেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ
কারণ তিনটি হলো:
ইংরেজি প্রশ্ন কঠিন হওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব
স্মরণকালের ফল বিপর্যয়ে মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ
মতিঝিল আইডিয়াল কলেজে এবার স্মরণকালের ফল বিপর্যয়রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল কলেজে এবার স্মরণকালের ফল বিপর্যয় হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষায় আইডিয়াল কলেজের ২৫ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
২০১৫ সালে মতিঝিল আইডিয়াল কলেজ থেকে ১০৮৪ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬২৪ জন, বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৩০৪ ও মানবিক বিভাগ থেকে ১৫৬ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
ফলাফলে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে দু’জন অকৃতকার্য হয়েছে। ১৫৬ জন মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন ও ৩০৪ জন বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন অকৃতকার্য হয়েছে।
এবারই প্রথম বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আইডিয়াল কলেজ থেকে দুই শিক্ষার্থী কৃতকার্য হতে পারেনি। মানবিক বিভাগে ২০ জন শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনাও আগে এ কলেজে ঘটেনি।
ফল প্রকাশের পর মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে কোনো আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। কলেজের অধ্যক্ষকে দেখা যায়নি ক্যাম্পাসে। কোন উল্লাস ছিল না। ফলাফল জানতে এসে শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
উল্লেখ্য, এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেরা কলেজ নির্বাচিত করেনি।
ফল বিপর্যয়ের কারণ প্রসঙ্গে যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র
রবিবার ফলাফল প্রকাশের পর ফল বিপর্যয়ের কারণ প্রসঙ্গে যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের বলেছে এ বছর ইংরেজি প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। ফলাফলেও তা স্পষ্ট— যদিও কোনো বোর্ডই নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে না। বোডের্র প্রশ্নপত্র লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া এইচএসসির নির্বাচনী পরীক্ষার আগে থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেও শিক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবও শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষার আগেরদিন কথিত প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা চর্চা করে পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রকৃত প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল পায়নি। এটাও ফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।
যশোর বোর্ডে গত ৫ বছর ধারাবাহিকভাবে ফল নিম্নমুখী হওয়ার পর এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৪৫ ভাগ। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬০ দশমিক ৫৮, আর ২০১৩ সালে এ হার ছিল ৬৭ দশমিক ৪৯ ভাগ। এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও নেমে এসেছে অনেকে নিচে। এ সংখ্যা ১ হাজার ৯২৭ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ২৩১, আর ২০১৩ সালে ছিল ৪ হাজার ৭৪০।
যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায়, যশোর বোর্ডে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ১৪ হাজার ২৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ২৭ হাজার ৫০ ও ছাত্রী ২৬ হাজার ৩৭। পাসের হার ৪৬ দশমিক ৪৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯২৭ জন। পরীক্ষায় বহিস্কৃত হয়েছিল ১২৯ জন।
এ বছর যশোর বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৩ হাজার ৭১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯ হাজার ৪৩০ জন। পাসের হার ৬৮ দশমিক ৭৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৭০ জন। মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৭২ হাজার ৬৮৫ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২৭ হাজার ২৫৮ জন। পাসের হার ৩৭ দশমিক ৫০ ভাগ। এই বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৬ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২৮ হাজার ৪৯৯ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ১৬ হাজার ৩৯৯ জন। পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭১ জন ছাত্র ছাত্রী।
যশোর বোর্ড সার্বিক ফলাফলে গত বছরের তুলনায় ব্যাপক ফল বিপর্যয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বোর্ডের থেকেও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। গত বছরের মতো এবারো সিংহভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে কৃতকার্য হতে পারেনি। এ বছর যশোর বোর্ডে ইংরেজিতেই ফেল করেছে ৪৯ দশমিক ০৯ ভাগ শিক্ষার্থী। কারণ হিসেবে ইংরেজি প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ লাখ ৬১ হাজার ৬১৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন। গড় পাসের হার ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। গতবার সারা দেশে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এবার সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭০ হাজার ৬০২ জন।
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধের কারণে পাসের হার কমেছে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধের কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবনে পরীক্ষার ফল হস্তান্তর তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার সময় বাংলাদেশে একটি অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছিল। সে সময় বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ তো ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল পেট্রোল বোমা মারা। এর মধ্য দিয়ে আমরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েছি। বিএনপি-জামায়াত আত্মঘাতী সহিংস কর্মকান্ড না করলে পাসের হার আরও বেশি হতো।
আইডিয়াল কলেজে ফল বিপর্যয়: শিক্ষামন্ত্রী
হরতাল অবরোধের কারণে পাশের হার কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ দেওয়ার কারণে বার বার সময়সূচি পরিবর্তন করতে হয়েছে। পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ না দেওয়ার অনুরোধ করার পরেও হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়নি।