শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫

এ জয় দেশের ফুটবলে নতুন ইতিহাস: প্রধানমন্ত্রী

পুরস্কার বিতরণী শেষে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর উল্লাস। ছবি: সুমন বাবুশেখ হাসিনা বলেন, “আমি মনে করি, এটা ফুটবলের জন্য একটা নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হল। সারা  বাংলাদেশেই এখন ফুটবল খেলা আরও জনপ্রিয়তা পাবে, আরও সুন্দরভাবে খেলবে।
 শুক্রবার গণভবনে টেলিভিশনে ফাইনাল খেলা দেখার পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় একথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম একটা ঐতিহাসিক জায়গা। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে ফুটবল খেলায় চট্টগ্রাম একটা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর এ বিজয় অত্যন্ত গৌরবের। এটা আবাহনী পরিবারের জন্যই একটা বিরাট গৌরব।
অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলকালে গণভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, আবাহনীর বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক ফুটবলাররা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা তাদের সঙ্গে বসে শেষ কয়েক মিনিটের খেলা দেখেন।
মত বিনিময়ের এক ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ফাইল দেখার কাজে ব্যস্ত থাকলেও খেলা শুরুর পর তা বন্ধ করে এই খেলা দেখেন।
পুরস্কার বিতরণী শেষে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর উল্লাস।  
খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি খাওয়াতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম আবাহনী দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে তার উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন জানিয়েছেন।   
নিজের পরিবারের সঙ্গে খেলাধুলার সম্পর্কের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “শেখ কামাল নিজে একজন খেলোয়াড় ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ফুটবল খেলতেন। আমার দাদা শেখ লুৎফর রহমানও একজন ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন।
তার নেতৃত্বাধীন সরকারও খেলাধুলার উন্নয়নে সব সময়ই আন্তরিক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা সব সময়ই চেষ্টা করি আমাদের দেশে ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে যুবকরা প্রত্যেকেই খেলাধুলার প্রতি আরও মনোনিবেশ করবে।
বিজয় আনার জন্য খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এই বিজয় বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট গৌরব বয়ে এনেছে। কাজেই আমার দোয়া আশির্বাদ তাদের জন্য রইলো।
আর এই ফুটবল খেলা আরও জনপ্রিয়তা পাক এবং হাটে মাঠে ঘাটে সব জায়গায় এই খেলা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ুক।
আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ধীরে ধীরে আরও নতুন নতুন গৌরব আসুক সে কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজয়ী ও রানার্স আপ দল, চট্টগ্রামবাসী এবং স্টেডিয়াম ও স্টেডিয়ামের বাইরের দর্শকদের অভিনন্দন জানান তিনি।