
ঢাকার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ জিহাদিরা বাংলাদেশে মৌলবাদের উত্থানের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। তরুণ ধর্মীয় মৌলবাদীদের তারা আইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল করে তুলছে। ব্রিটেনের বাঙালি কম্যুনিটিগুলো থেকে উগ্রবাদে অর্থায়নকারী ও লোক সংগ্রহকারীরা স্থানীয়দের আন্তর্জাতিক জিহাদে অংশ নিতে উৎসাহ জোগাচ্ছে এবং সালাফি গোষ্ঠীগুলোতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। এ বিষয়ে গার্ডিয়ানকে শেখ হাসিনা বলেন, মাঠ পর্যায়ে ব্রিটিশ সরকারের আরও উদ্যোগ নেওয়া উচিত। পূর্ব লন্ডনে জামায়াতের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। এটা সত্য। তারা টাকা সংগ্রহ করছে, তারা টাকা পাঠাচ্ছে।
সম্প্রতি ব্লগার হত্যায় ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুর রহমানকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তৌহিদুর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অর্থের জোগানদাতা এবং ব্লগার অভিজিৎ ও অনন্ত হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া জেএমবি, ইসলামিক স্টেট ও একিউআইএস (আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা) সংশ্লিষ্ট আরও বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ বাংলাদেশির কথা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামনে এসেছে।
সর্বশেষ গত মাসে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ড্রোন হামলায় নিহত আইএস সদস্য রুহুল আমিন ও রেয়াদ খান ব্রিটিশ বাংলাদেশি বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্ন মধ্য আয়ের ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ ক্রমশ উগ্রপন্থিদের জন্য ‘ঊর্বর ভূমিতে পরিণত হতে চলেছে বলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ও সাবেক কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী হিযবুত তাহরিরও বাংলাদেশে উগ্রপন্থার উত্থানে কাজ করছে বলে গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। “হিযবুত একটি খেলাফত চায়। তারা আইএসআইএসের একটি প্রদেশ বা স্টেট হতে চায়। হিযবুত কর্মীরা মধ্যবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সংখ্যা বাড়ছে।