
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস
মোড় থেকে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এবং চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা
পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্থায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। রোববার সকাল
থেকেই তীব্র যানজটের কবলে পরেছে সাধারণ যাত্রীরা।
হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, হঠাৎ করে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, উত্তর বঙ্গথেকে গুরু
ভর্তি ঢাকাগামী অসংখ্য ট্রাক,যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা নামা,
বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা, যান্ত্রিক ত্রæটিতে গাড়ি বিকল হওয়া ও মহাসড়কে
গরু নামানোর কারণে রোববার সকাল থেকে হঠাৎ করেই মহা সড়কে দীর্ঘ যানজটের
সৃষ্টি হয়। এ যানজট পর্যায়ক্রমে গাজীপুরের বাইপাস থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা
পর্যন্ত পৌছায়। ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। সকাল থেকেই কোনাবাড়ী
হাইওয়ে পুলিশ, কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের কর্মতৎপরতা
লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশের সহায়তায় মাঝে মধ্যে মহা সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক
হলেও ভোগড়া, কোনাবাড়ী, মৌচাক, সফিপুর, পল্লীবিদ্যূৎ,চন্দ্রা ত্রিমোড়,
কালিয়াকৈর,হাটু ভাঙ্গা, সোহাগপাড়া, মির্জাপুর,পাকুল্যা, জামুর্কি,
নাটিয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রীবাহী বাস গুলো যাত্রীর অপেক্ষা করায়
তীব্র যানজট লেগেই থাকে। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো স্থায়ী আকার ধারন করে এ
যানজট। বাসচালক রফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে গরুভর্তি অসংখ্য ট্রাক এ
মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার দিকে ঢুকছে। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় কোন গাড়ি আর রাস্তার
পাশের্^ মাটিতে নামতে চায়না এদিকে অনেক গরু বেপারি মহা সড়কে ট্রাক থামিয়ে
তাদের গরুগুলো নামানোর কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। টাঙ্গাইলগামী
বাসযাত্রী পপী আক্তার ও কবীর মিয়া জানান, গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রা
ত্রিমোড় পর্যন্ত পৌছাতে ৪ঘন্টা সময় লেগেছে। রাস্তা একটু ফাকা হলেই যানবাহন
চালকরা কে কার আগে যাবে তার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে ফলে আবার শুরু হয় যানজট।
ঢাকাগামী যাত্রী আব্দুর রহমান বলেন,সকালে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গাড়িতে
উঠেছি কালিয়াকৈর আসতেই দুপুর হলো ঢাকা যেতে রাত হবে কিনা কে জানে। দুপুরের
দিকে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হলেও দুুপুরের পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কোন
যানজট নেই বললে চলে। সুমন মিয়া নামের এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, পাবনা থেকে
গরু নিয়ে রওনা হইছি দুই দিন আগে। যানজটের কারনে গন্তব্যে পৌছাতে পাছিনা।
রাস্তায় গরুকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা না থাকায় ক্রমেই অসুস্থ্য হয়ে পরছে।
কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ আবু দাউদ জানান, রোববার সকাল থেকে
যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। আমাদের হাইওয়ে ও থানা পুলিশ সকাল থেকেই মহা সড়কে
অবস্থান করছি চেষ্টা চালাচ্ছি যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে। যানজট যাতে তীব্র
আকার ধারন করতে না পারে সে দিকে নজর রেখে আমরাও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ
করছি।আমাদের চেষ্টা থাকবে ঈদে ঘরমুখি যাত্রীদের দুর্ভোগ যাতে না হয়।