
সোমবার দুপুরে বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ওয়ালিউর রহমান বলেন, সীমান্তে আরাকান আর্মিবিরোধী কম্বিং অপারেশন আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তিনি আরো বলেন, সীমান্তে আমাদের অবস্থা অনেক ভালো, অভিযানে আরাকান আর্মি বা উগ্রবাদীদের কোন সন্ধান পাচ্ছি না, তবে আমরা গভীর অরণ্যে ধাবিত হচ্ছি।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরাকান আর্মিবিরোধী অভিযানে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমার বন্ধুসুলভ আচরণ করছে। তারা জিরো লাইন বরাবর সিল করে দিয়েছে, যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের সেখানেও প্রবেশ করতে না পারে।
গত বুধবার সকালে জেলার থানচির বড়মদক এলাকা দিয়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের ব্যবহারের জন্য ১৩টি ঘোড়া নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে আরাকান আর্মির সদস্যরা বিজিবি’র সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে আরাকান আর্মির দুটি ঘোড়া মারা যায়, অন্য ঘোড়া আটক করা হয় এবং বিজিবি নায়েক (কর্পোরাল) জাকির হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বান্দরবান সদর জোন থেকে হেলিকপ্টারে করে দফায় দফায় অতিরিক্ত সেনাসদস্যদের পাঠানোর পর শুরু হয় যৌথ কম্বিং অপরেশন।